চূড়ান্ত প্রার্থিতায় কারা
২০১৬
সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের লড়াইয়ে মাঠে
নেমেছেন প্রার্থীরা। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট
প্রার্থীরা জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রার্থিতা ঘোষণা দিয়েছেন
রিপাবলিকান দলের ১৫ নেতা। পক্ষান্তরে ডেমোক্রেট দল থেকে প্রচারণা চালাচ্ছেন
৬ প্রার্থী। মূল ভোটের আগে দলের চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা জয়ের জন্য
সতীর্থ নেতাদের সঙ্গে লড়ছেন উভয় দলের প্রার্থীরা। চূড়ান্ত প্রার্থী
নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি ‘প্রাইমারি’ বলে পরিচিত। প্রাইমারির লড়াইয়ে
প্রার্থীরা নিজ দলের রাজনীতিবিদ, নেতৃবৃন্দ আর দাতাদের সমর্থন আদায়ে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সাধারণত প্রাইমারি জয়ী প্রার্থী দলের পক্ষ থেকে
প্রার্থিতা পেয়ে থাকেন। শেষমেশ কে কে হতে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট আর রিপাবলিকান
দলের চূড়ান্ত প্রার্থী সেদিকেই সবার চোখ। ডেমোক্রেট প্রার্থীদের মধ্যে এখন
পর্যন্ত এগিয়ে আছেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্ষীয়ান
ডেমোক্রেট নেতা বার্নি স্যান্ডার্স। ওদিকে রিপাবলিকান দলের প্রার্থীদের
মধ্যে সব থেকে বেশি আলোচনায় রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ জব্লিউ বুশের
ভাই জেব বুশ ও বিলিয়নেয়ার বিজনেস টাইকুন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এছাড়া,
সাম্প্রতিক প্রেডিকশন মার্কেটে এগিয়ে রয়েছেন আরেক রিপাবলিকান নেতা মার্কো
রুবিও। অতীত ইতিহাস থেকে দেখা গেছে, প্রাইমারির লড়াইয়ে মাঠে নামা
প্রার্থীদের মধ্যে জরিপ, তহবিল গঠন আর সমর্থনের (এনডোর্সমেন্ট) মানদণ্ডে
যারা শীর্ষ তিনটি অবস্থানে থাকেন, তাদের মধ্য থেকেই একজন দলের চূড়ান্ত
প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এসব মানদণ্ডের বিচারে এখন পর্যন্ত দুই দলের
কোন প্রার্থী কোন অবস্থানে রয়েছেন তা বিস্তারিত তুলে ধরেছে নিউ ইয়র্ক
টাইমস।
প্রেডিকশন মার্কেট: চূড়ান্ত প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে আগাম ধারণা পাওয়ার জন্য প্রেডিকশন মার্কেটের অতীত ইতিহাস বেশ ভালো। প্রচারণার সময় ট্রেডাররা সম্ভাব্য চূড়ান্ত ফল নিয়ে বাজি ধরেন। কিন্তু প্রেডিকশন মার্কেটের অন্যতম একটি দুর্বলতা হলো, তারা কখনও কখনও অপেক্ষাকৃত কম সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের সম্ভাবনা অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করে থাকে। মার্কেটের সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী, ডেমোক্রেট দলের প্রার্থিতা জয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এরপর আছেন বার্নি স্যান্ডার্স। আর এখনও নির্বাচনে নামার ঘোষণা না দিয়েও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থিতা জয়ের সম্ভাবনায় জেব বুশকে হটিয়ে শীর্ষে গেছেন মার্কো রুবিও। তৃতীয় অবস্থানে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জাতীয় সমর্থন (ন্যাশনাল এনডোর্সমেন্ট): রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিন ভ্যাভরেকের মতে, চূড়ান্ত প্রার্থী কে হবেন ১৯৮০ সাল থেকে সে ধারণা পাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র সেরা নির্দেশক হলো ন্যাশনাল এনডোর্সমেন্ট। এর কারণ হলো, দীর্ঘ প্রচারণায় কে টিকে থাকতে পারবে সে বিষয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো ধারণা থাকে রাজনৈতিক অভিজাতদের। তাছাড়া, তারা প্রার্থীদের প্রশংসা বা সমালোচনা করে ভোটার ও দাতাদের প্রভাবিত করতে পারেন। এবারের নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো একটি বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত শীর্ষ রিপাবলিকান প্রার্থীরা এনডোর্সমেন্ট পেয়েছেন অনেক কম। জেব বুশ রিপাবলিকান সিনেটর, প্রতিনিধি আর গভর্নরদের মাত্র ৮.৮ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন। অপরদিকে, ৬০.২ শতাংশ ডেমোক্রেট কর্মকর্তার সমর্থন পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।
আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের জরিপ: নির্বাচনের এখনও অনেক মাস বাকি থাকায়, জরিপের গুরুত্ব ততটা জোরালো নয়। কেননা, বেশিরভাগ ভোটার এখনও নির্বাচন নিয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন না। এর আগের ৬টি রিপাবলিকান প্রার্থিতা লড়াইয়ে মাত্র দুবার চূড়ান্ত প্রার্থীকে আগাম বেছে নিতে সক্ষম হয় আইওয়া। পক্ষান্তরে ডেমোক্রেটদের ক্ষেত্রে আইওয়া অপেক্ষাকৃত ভালো করেছে। বিগত ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনকে সঠিক বেছে নিয়েছে জরিপে। এবারে আইওয়া জরিপে এগিয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থিতায় এগিয়ে আছেন হিলারি। তার পরেই আছেন স্যান্ডার্স। পক্ষান্তরে রিপাবলিকানদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন ট্রাম্প। এরপর আছেন অপর রিপাবলিকান প্রার্থী বেন কারসন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের জরিপেও রিপাবলিকান শীর্ষ দুই প্রার্থী তারা। আর ডেমোক্রেট প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বার্নি স্যান্ডার্স। দ্বিতীয় অবস্থানে হিলারি। চূড়ান্ত প্রার্থী বেছে নিতে নিউহ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের রেকর্ড আইওয়া থেকে কিছুটা ভালো। বিগত ৬ দফায় রিপাবলিকান ৪ জন ও ডেমোক্রেট ৩ জন চূড়ান্ত প্রার্থীকে আগাম বেছে নিতে সক্ষম হয়েছেন এ অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা। উল্লেখ্য, উভয় রাজ্যে সাম্প্রতিক পাঁচটি পৃথক জরিপের গড় ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়েছে।
তহবিল সংগ্রহ: জাতীয় সমর্থনের মতো তহবিল সংগ্রহও দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত এটা একজন প্রার্থীর সামর্থ্যের প্রকাশ। এবং দ্বিতীয়ত, এটা তার সামর্থ্য আরও বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তর হয়। তহবিল গঠনের দিক দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশ ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেন। জেব বুশের নির্বাচনী প্রচারণায় এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ হয়েছে। পক্ষান্তরে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা তহবিলে জমা পড়েছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।
শেষমেশ দুই দল থেকে কে জয়ী হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে নির্বাচনের এখনও অনেক মাস বাকি থাকতেই জমে উঠেছে লড়াই।
প্রেডিকশন মার্কেট: চূড়ান্ত প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে আগাম ধারণা পাওয়ার জন্য প্রেডিকশন মার্কেটের অতীত ইতিহাস বেশ ভালো। প্রচারণার সময় ট্রেডাররা সম্ভাব্য চূড়ান্ত ফল নিয়ে বাজি ধরেন। কিন্তু প্রেডিকশন মার্কেটের অন্যতম একটি দুর্বলতা হলো, তারা কখনও কখনও অপেক্ষাকৃত কম সম্ভাবনাময় প্রার্থীদের সম্ভাবনা অতিরঞ্জিত করে উপস্থাপন করে থাকে। মার্কেটের সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী, ডেমোক্রেট দলের প্রার্থিতা জয়ের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এরপর আছেন বার্নি স্যান্ডার্স। আর এখনও নির্বাচনে নামার ঘোষণা না দিয়েও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অন্যদিকে, রিপাবলিকান প্রার্থিতা জয়ের সম্ভাবনায় জেব বুশকে হটিয়ে শীর্ষে গেছেন মার্কো রুবিও। তৃতীয় অবস্থানে আছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জাতীয় সমর্থন (ন্যাশনাল এনডোর্সমেন্ট): রাষ্ট্রবিজ্ঞানী লিন ভ্যাভরেকের মতে, চূড়ান্ত প্রার্থী কে হবেন ১৯৮০ সাল থেকে সে ধারণা পাওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র সেরা নির্দেশক হলো ন্যাশনাল এনডোর্সমেন্ট। এর কারণ হলো, দীর্ঘ প্রচারণায় কে টিকে থাকতে পারবে সে বিষয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো ধারণা থাকে রাজনৈতিক অভিজাতদের। তাছাড়া, তারা প্রার্থীদের প্রশংসা বা সমালোচনা করে ভোটার ও দাতাদের প্রভাবিত করতে পারেন। এবারের নির্বাচনে চোখে পড়ার মতো একটি বিষয় হলো, এখন পর্যন্ত শীর্ষ রিপাবলিকান প্রার্থীরা এনডোর্সমেন্ট পেয়েছেন অনেক কম। জেব বুশ রিপাবলিকান সিনেটর, প্রতিনিধি আর গভর্নরদের মাত্র ৮.৮ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন। অপরদিকে, ৬০.২ শতাংশ ডেমোক্রেট কর্মকর্তার সমর্থন পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।
আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের জরিপ: নির্বাচনের এখনও অনেক মাস বাকি থাকায়, জরিপের গুরুত্ব ততটা জোরালো নয়। কেননা, বেশিরভাগ ভোটার এখনও নির্বাচন নিয়ে মনোযোগ দিচ্ছেন না। এর আগের ৬টি রিপাবলিকান প্রার্থিতা লড়াইয়ে মাত্র দুবার চূড়ান্ত প্রার্থীকে আগাম বেছে নিতে সক্ষম হয় আইওয়া। পক্ষান্তরে ডেমোক্রেটদের ক্ষেত্রে আইওয়া অপেক্ষাকৃত ভালো করেছে। বিগত ৬ প্রার্থীর মধ্যে ৪ জনকে সঠিক বেছে নিয়েছে জরিপে। এবারে আইওয়া জরিপে এগিয়ে ডেমোক্রেট প্রার্থিতায় এগিয়ে আছেন হিলারি। তার পরেই আছেন স্যান্ডার্স। পক্ষান্তরে রিপাবলিকানদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন ট্রাম্প। এরপর আছেন অপর রিপাবলিকান প্রার্থী বেন কারসন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের জরিপেও রিপাবলিকান শীর্ষ দুই প্রার্থী তারা। আর ডেমোক্রেট প্রার্থীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বার্নি স্যান্ডার্স। দ্বিতীয় অবস্থানে হিলারি। চূড়ান্ত প্রার্থী বেছে নিতে নিউহ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের রেকর্ড আইওয়া থেকে কিছুটা ভালো। বিগত ৬ দফায় রিপাবলিকান ৪ জন ও ডেমোক্রেট ৩ জন চূড়ান্ত প্রার্থীকে আগাম বেছে নিতে সক্ষম হয়েছেন এ অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা। উল্লেখ্য, উভয় রাজ্যে সাম্প্রতিক পাঁচটি পৃথক জরিপের গড় ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে প্রার্থীদের অবস্থান নির্ণয় করা হয়েছে।
তহবিল সংগ্রহ: জাতীয় সমর্থনের মতো তহবিল সংগ্রহও দুটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত এটা একজন প্রার্থীর সামর্থ্যের প্রকাশ। এবং দ্বিতীয়ত, এটা তার সামর্থ্য আরও বৃদ্ধির উৎসে রূপান্তর হয়। তহবিল গঠনের দিক দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রিপাবলিকান প্রার্থী জেব বুশ ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছেন। জেব বুশের নির্বাচনী প্রচারণায় এখন পর্যন্ত ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলার তহবিল সংগ্রহ হয়েছে। পক্ষান্তরে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা তহবিলে জমা পড়েছে ৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।
শেষমেশ দুই দল থেকে কে জয়ী হবে তা সময়ই বলে দেবে। তবে নির্বাচনের এখনও অনেক মাস বাকি থাকতেই জমে উঠেছে লড়াই।
No comments