আকস্মিক সফরে মস্কোয় বাশার, যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
ক্রেমলিনে মঙ্গলবারের বৈঠকের সময় করমর্দন করেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আকস্মিক সফরে সেদিনই মস্কো যান বাশার l ছবি: রয়টার্স |
সিরিয়ায়
চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই প্রথম দেশের বাইরে গেলেন
দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। গত মঙ্গলবার আকস্মিক সফরে সবচেয়ে বড়
মিত্র বলে পরিচিত রাশিয়া গিয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
করেছেন তিনি। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার
অঙ্গীকার করেন। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পুতিন ও বাশার। বৈঠকে সিরিয়ায় ‘জঙ্গিবিরোধী’ বিমান হামলা চালানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের মস্কো সফরকে ‘কাজের সফর’ বলে উল্লেখ করেন। সিরিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার গতকাল বুধবার সকালের মধ্যেই সিরিয়া ফিরে গেছেন। দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট বাশার সিরিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরই তাঁর সফরের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মস্কো।
ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার বৈঠকে পুতিন সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমরা সিরিয়ায় শুধু অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবদান রাখতে চাই না, সিরিয়ায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও অবদান রাখতে চাই। আর এই প্রক্রিয়ায় অবশ্যই বিশ্বের পরাশক্তিগুলো এবং ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যারা সিরিয়া সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকবে।’
পুতিন বলেন, সিরিয়ার জনগণই তাদের দেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সব রাজনৈতিক পক্ষ, জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে নিয়েই।
সিরিয়ায় অভিযান চালানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার। তিনি বলেন, ‘সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি প্রথমেই রুশ ফেডারেশনের নেতৃত্বের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সন্ত্রাসবাদ এখন পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিস্তৃতি আরও বাড়ছে। রাশিয়ার উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত ছাড়া সন্ত্রাসবাদ আরও ছড়িয়ে পড়বে।’
বাশার বলেন, সিরিয়া সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে রাশিয়া যেসব রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দেশটিকে আরও দুর্যোগময় পরিস্থিতির দিকে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছে।
পক্ষে ‘যুক্তি-প্রমাণ’ উল্লেখ করে বাশার দাবি করেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক নীতি মেনেই সিরিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সংবাদে পুতিন-বাশারের বৈঠককে প্রধান প্রতিবেদন করা হয়। টেলিভিশনের ভিডিওচিত্রে গাঢ় রঙের স্যুট পরা বাশারকে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায়। এ সময় বাশারকে নিরুদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোউগু উপস্থিত ছিলেন।
পরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোউগু বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার সরকারকে মস্কোর সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, রুশ বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইতিমধ্যে আইএসের কবজা থেকে বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রাশিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে। মস্কো বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধেই তাদের এই অভিযান। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি মিত্র দেশের অভিযোগ, আইএসের কথা বললেও রাশিয়ার হামলার মূল্য লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করা।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গণতন্ত্রপন্থীদের বাশারবিরোধী আন্দোলন ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। পাশাপাশি সেখানে উত্থান ঘটে আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর।
রুশ প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ক্রেমলিনে মঙ্গলবার বৈঠক করেন পুতিন ও বাশার। বৈঠকে সিরিয়ায় ‘জঙ্গিবিরোধী’ বিমান হামলা চালানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের মস্কো সফরকে ‘কাজের সফর’ বলে উল্লেখ করেন। সিরিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার গতকাল বুধবার সকালের মধ্যেই সিরিয়া ফিরে গেছেন। দৃশ্যত প্রেসিডেন্ট বাশার সিরিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরই তাঁর সফরের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মস্কো।
ক্রেমলিন থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, দুই নেতার বৈঠকে পুতিন সিরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বলেন, ‘আমরা সিরিয়ায় শুধু অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবদান রাখতে চাই না, সিরিয়ায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়ও অবদান রাখতে চাই। আর এই প্রক্রিয়ায় অবশ্যই বিশ্বের পরাশক্তিগুলো এবং ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ, যারা সিরিয়া সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থাকবে।’
পুতিন বলেন, সিরিয়ার জনগণই তাদের দেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সব রাজনৈতিক পক্ষ, জাতিগত ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোকে নিয়েই।
সিরিয়ায় অভিযান চালানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার। তিনি বলেন, ‘সিরিয়াকে সহায়তা দেওয়ার জন্য আমি প্রথমেই রুশ ফেডারেশনের নেতৃত্বের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সন্ত্রাসবাদ এখন পুরো অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। এর বিস্তৃতি আরও বাড়ছে। রাশিয়ার উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত ছাড়া সন্ত্রাসবাদ আরও ছড়িয়ে পড়বে।’
বাশার বলেন, সিরিয়া সংকট সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে রাশিয়া যেসব রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দেশটিকে আরও দুর্যোগময় পরিস্থিতির দিকে যাওয়া থেকে ঠেকিয়ে রেখেছে।
পক্ষে ‘যুক্তি-প্রমাণ’ উল্লেখ করে বাশার দাবি করেন, রাশিয়া আন্তর্জাতিক নীতি মেনেই সিরিয়ায় অভিযান চালাচ্ছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের সংবাদে পুতিন-বাশারের বৈঠককে প্রধান প্রতিবেদন করা হয়। টেলিভিশনের ভিডিওচিত্রে গাঢ় রঙের স্যুট পরা বাশারকে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায়। এ সময় বাশারকে নিরুদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোউগু উপস্থিত ছিলেন।
পরে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সোউগু বলেন, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সিরিয়ার সরকারকে মস্কোর সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, রুশ বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইতিমধ্যে আইএসের কবজা থেকে বেশ কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
রাশিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে। মস্কো বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধেই তাদের এই অভিযান। তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি মিত্র দেশের অভিযোগ, আইএসের কথা বললেও রাশিয়ার হামলার মূল্য লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করা।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গণতন্ত্রপন্থীদের বাশারবিরোধী আন্দোলন ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। পাশাপাশি সেখানে উত্থান ঘটে আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর।
বাশারের রাশিয়া সফরে যুক্তরাষ্ট্রের নিন্দা
সিরিয়ার
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মস্কো সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্র। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো
হয়। মস্কোয় বাশারকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানোয় রাশিয়ার সমালোচনা করেছে
হোয়াইট হাউস।
এদিকে বাশারের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার পর রাশিয়া সিরিয়ার সংকট সমাধানে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। মস্কো বলেছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ আগামীকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন। সৌদি ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এরিক স্কালজ বলেন, বাশারের জন্য লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেখলাম, যিনি (বাশার) তাঁর নিজের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাশারের মস্কো সফরে তাঁরা বিস্মিত নন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাশার সরকারের প্রতি রাশিয়ার চলমান সামরিক সমর্থন।
গত মঙ্গলবার আকস্মিক সফরে রাশিয়া যান বাশার। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে সিরিয়ায় ‘জঙ্গিবিরোধী’ বিমান হামলা চালানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার।
সিরিয়ায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই প্রথম দেশের বাইরে গেলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার।
সিরিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার গতকাল বুধবার সকালের মধ্যেই সিরিয়া ফিরে গেছেন। সিরিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরই দৃশ্যত তাঁর সফরের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মস্কো।
রাশিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে।
মস্কো বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধেই তাদের এই অভিযান।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি মিত্র দেশের অভিযোগ, আইএসের কথা বললেও রাশিয়ার হামলার মূল্য লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করা।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গণতন্ত্রপন্থীদের বাশারবিরোধী আন্দোলন ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। পাশাপাশি সেখানে উত্থান ঘটে আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর।
এদিকে বাশারের সঙ্গে পুতিনের আলোচনার পর রাশিয়া সিরিয়ার সংকট সমাধানে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। মস্কো বলেছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই লাভরভ আগামীকাল শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলবেন। সৌদি ও তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র এরিক স্কালজ বলেন, বাশারের জন্য লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেখলাম, যিনি (বাশার) তাঁর নিজের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বাশারের মস্কো সফরে তাঁরা বিস্মিত নন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান উদ্বেগের বিষয় বাশার সরকারের প্রতি রাশিয়ার চলমান সামরিক সমর্থন।
গত মঙ্গলবার আকস্মিক সফরে রাশিয়া যান বাশার। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এ সময় রুশ প্রেসিডেন্ট সিরিয়ায় সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেন। বৈঠকে সিরিয়ায় ‘জঙ্গিবিরোধী’ বিমান হামলা চালানোর জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার।
সিরিয়ায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের মধ্যে এই প্রথম দেশের বাইরে গেলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার।
সিরিয়ার সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার গতকাল বুধবার সকালের মধ্যেই সিরিয়া ফিরে গেছেন। সিরিয়ায় ফিরে যাওয়ার পরই দৃশ্যত তাঁর সফরের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে মস্কো।
রাশিয়া গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করে।
মস্কো বলছে, জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধেই তাদের এই অভিযান।
তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ কয়েকটি মিত্র দেশের অভিযোগ, আইএসের কথা বললেও রাশিয়ার হামলার মূল্য লক্ষ্য প্রেসিডেন্ট বাশারবিরোধী বিদ্রোহীদের নিশ্চিহ্ন করা।
সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া গণতন্ত্রপন্থীদের বাশারবিরোধী আন্দোলন ধীরে ধীরে গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। পাশাপাশি সেখানে উত্থান ঘটে আইএসসহ বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর।
No comments