আঙুলের ছাপ শনাক্তের নতুন পদ্ধতি
আঙুলের ছাপ শনাক্তের নতুন পদ্ধতি। ছবি: সিএসআইআরও |
সম্প্রতি
অস্ট্রেলিয়ার একজন গবেষক এক ধরনের তরল পদার্থ প্রক্রিয়াজাতকরণের দাবি
করেছেন যা কোনো পৃষ্ঠের ওপর ফেললে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আঙুলের ছাপ উজ্জ্বল
হয়ে ফুটে উঠবে। গবেষকেরা দাবি করছেন, এ পদ্ধতির প্রয়োগে তদন্ত প্রক্রিয়ায়
সময় ও খরচ কমে যাবে।
অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস সাময়িকীতে এ গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও) গবেষক ক্যাং লিয়াং বলেন, অপরাধীর আঙুলের ছাপ সংগ্রহে পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। অনেক সময় জটিল কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে প্রমাণ পরীক্ষাগারে পাঠাতে হয় এবং সেখানে তাপ ও ভ্যাকুয়াম ট্রিটমেন্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঙুলের ছাপ বের করা হয়।
কিন্তু নতুন এ পদ্ধতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া লাগবে না। ঘটনাস্থলেই আঙুলের ছাপ খুঁজে বের করে ডিজিটাল একটি যন্ত্রে তার ছবি তুলে রিয়েল টাইমে আগের ডেটাবেজে মিলিয়ে নেওয়ার সুবিধা থাকবে।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যে মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (এমওএফ) ক্রিস্টাল লিকুইড তৈরি করেছেন তা কোনো পৃষ্ঠে এক ড্রপ ফেলে আলট্রাভায়োলেট লাইট দিয়ে দেখলে অদৃশ্য আঙুলের ছাপ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, পেপটিড ও লবণ দিয়ে তৈরি এই তরল পৃষ্ঠের ওপর হালকা একটি প্রলেপ তৈরি করে যা আঙুলের ছাপের অনুরূপ বা রেপ্লিকা তৈরি তৈরি করতে পারে। এটি যেহেতু আণবিক স্তরে কাজ করে তাই প্রিন্ট নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে বলে লিয়াং দাবি করেছেন।
জানালা, মদের গ্লাস, ধাতব ব্লেড, প্লাস্টিকের বৈদ্যুতিক বাতি প্রভৃতির ওপর এ তরল পদার্থটির পরীক্ষা চালিয়ে সফল হওয়ার দাবি করেছেন গবেষকেরা। গত ১০০ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
গবেষকেরা বলছেন, নতুন এই পদ্ধতি প্রয়োগে সময় ও খরচ বাঁচবে এবং তদন্তে দক্ষতা বাড়বে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস সাময়িকীতে এ গবেষণা সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও) গবেষক ক্যাং লিয়াং বলেন, অপরাধীর আঙুলের ছাপ সংগ্রহে পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেন। অনেক সময় জটিল কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে প্রমাণ পরীক্ষাগারে পাঠাতে হয় এবং সেখানে তাপ ও ভ্যাকুয়াম ট্রিটমেন্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঙুলের ছাপ বের করা হয়।
কিন্তু নতুন এ পদ্ধতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া লাগবে না। ঘটনাস্থলেই আঙুলের ছাপ খুঁজে বের করে ডিজিটাল একটি যন্ত্রে তার ছবি তুলে রিয়েল টাইমে আগের ডেটাবেজে মিলিয়ে নেওয়ার সুবিধা থাকবে।
গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা যে মেটাল অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্ক (এমওএফ) ক্রিস্টাল লিকুইড তৈরি করেছেন তা কোনো পৃষ্ঠে এক ড্রপ ফেলে আলট্রাভায়োলেট লাইট দিয়ে দেখলে অদৃশ্য আঙুলের ছাপ দৃশ্যমান হয়ে উঠবে। ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, পেপটিড ও লবণ দিয়ে তৈরি এই তরল পৃষ্ঠের ওপর হালকা একটি প্রলেপ তৈরি করে যা আঙুলের ছাপের অনুরূপ বা রেপ্লিকা তৈরি তৈরি করতে পারে। এটি যেহেতু আণবিক স্তরে কাজ করে তাই প্রিন্ট নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে বলে লিয়াং দাবি করেছেন।
জানালা, মদের গ্লাস, ধাতব ব্লেড, প্লাস্টিকের বৈদ্যুতিক বাতি প্রভৃতির ওপর এ তরল পদার্থটির পরীক্ষা চালিয়ে সফল হওয়ার দাবি করেছেন গবেষকেরা। গত ১০০ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপ শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
গবেষকেরা বলছেন, নতুন এই পদ্ধতি প্রয়োগে সময় ও খরচ বাঁচবে এবং তদন্তে দক্ষতা বাড়বে। তথ্যসূত্র: আইএএনএস।
No comments