মাতৃরূপে অবতীর্ণ ঈশ্বর by অরূপ রতন চৌধুরী
দেবী দুর্গা, অ্যাক্রেলিক, শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী |
দুর্গাপূজাতে
আমাদের বাড়িতে সব সম্প্রদায়ের লোকই আসত। কারণ, ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার
মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এই ধরণিতে আসেন। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা
দুর্গাপূজা করি। আমাদের আনন্দ সবার সঙ্গেই ভাগ করে নিই। সবার সঙ্গে পূজা
করতে, আনন্দ করতে আর পূজার প্রসাদ সবাই একসঙ্গে খেতে কী যে আনন্দ, তা বলে
বোঝানো যাবে না। পূজার প্রসাদ সবাইকে নিয়ে খাওয়া হতো। প্রথম দেওয়া হতো
ফলমূল। দুপুরে দেওয়া হতো ভোগ, তাতে খিচুড়ির সঙ্গে লাবড়া অর্থাৎ নানা রকম
শাকসবজি দিয়ে তৈরি নিরামিষ। সবাই প্রসাদ খেয়ে বলত, আহা কী মজা, এমন মজার
খাবার কত দিন খাইনি! এই আনন্দ আর তৃপ্তি দেখে আনন্দিত হতাম। সন্ধ্যায় হতো
আরতি; আরতির সময় ধূপ-ধোঁয়ায় চারদিক হয়ে যেত গন্ধময়। ধোঁয়াটে পরিবেশ
আর ঢাক-ঢোল-কাঁসর ধ্বনিতে নাচ হতো। প্রতিমার সামনে ধূপচি হাতে নিয়ে আমিও
নাচতাম।
সবার মিলনই দুর্গাপূজার আসল রূপ। বাঙালি হিন্দুদের সবাই তাঁর পূজা করে। তবে প্রাচীনকালে রাজা, জমিদার আর ধনাঢ্য বণিক সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই এ পূজার প্রচলন বেশি লক্ষণীয়। তবে বহুকাল থেকে আর্থিকভাবে সচ্ছল ও ধনী ব্যক্তিরাই পারিবারিকভাবে বংশপরম্পরায় দুর্গাপূজা করে আসছেন। প্রতিবছর মা আসেন, ভক্তের পুজো নিয়ে আবার ফিরেও যান কৈলাসে। মায়ের আগমনে সন্তানের আনন্দ। মায়ের কাছে সন্তানের অধিকার সমান। কারণ, তিনি বিশ্বজনীন। সনাতন ধর্মশাস্ত্রে দুর্গা নামটির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘দ’ অক্ষর দৈত্যনাশক, উ-কার বিঘ্ননাশক, রেফ রোগনাশক, গ অক্ষর পাপনাশক ও অ-কার ভয় শত্রুনাশক। তার মানেই দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয় শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই শ্রীদুর্গা। অন্যদিকে শ্রীশ্রী চণ্ডী অনুসারে এই দেবীই ‘নিঃশেষদেবগণশক্তি সমূহমূর্ত্যাঃ’ বা সকল দেবতার সম্মিলিত শক্তির প্রতিমূর্তি। তিনি আমাদের দুর্গতি থেকে ত্রাণ করেন বলেই দেবীর নাম হয়েছে দুর্গা। তিনি সব প্রাণীতে চেতনারূপে, বুদ্ধিরূপে, শক্তিরূপে, শান্তিরূপে, শ্রদ্ধারূপে, দয়ারূপে বিরাজিতা।
আমাদের দেবগণ নিজ নিজ দেহ নিঃসৃত তেজ দ্বারা যেমন দেবীর অঙ্গ সকল সৃষ্টি করে তাকে পূর্ণরূপ দিয়েছিলেন, সেভাবেই তাঁরা নিজ নিজ শ্রেষ্ঠ অস্ত্রও তাঁর হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে করেছিলেন রণসাজে সজ্জিতা। অশুভ শক্তির প্রতীক পরাজিত অসুরকে পায়ের তলায় রেখে যুদ্ধ করে মা শিক্ষা দিলেন জীবজগৎকে। সংসার সমরাঙ্গনে বাঁচতে মানুষের লাগে বুদ্ধি, ঋদ্ধি, সিদ্ধি ও ক্ষাত্রশক্তি। তাই তো আদ্যশক্তির মহিমায়ায় আছেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক। ধনের দেবী লক্ষ্মী, বিদ্যার দেবী সরস্বতী, দেব সেনাপতি কার্তিক, গণদেবতা ও সিদ্ধিদাতা গণেশও হচ্ছেন পূজিত। অন্যদিকে সরস্বতীর বাহন রাজহংস, লক্ষ্মী দেবীর বাহন প্যাঁচা, গণেশ ঠাকুরের ইঁদুর ও কার্তিকের বাহন ময়ূর—প্রতিটি প্রতীকই আধ্যাত্মিক তত্ত্বের ভাবমণ্ডিত। দশমীর দিন রাবণ বধ করে সাড়ম্বরে বিজয়া দশমী পালন করেন। তখন থেকে বসন্তকালে ও শরৎকালে দুর্গাপূজা ও শুভ বিজয়া দশমী পালিত হয়ে আসছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই চলে আসছে মাতৃ পূজার চিরন্তন ধারা এবং এটি যে কত প্রাচীন, তা আজও রহস্যাবৃত। সুদূর অতীতের কোন ধূসর প্রদোষে মাতৃরূপিণী, শক্তিরূপিণী, বরাভয় প্রদায়িনী, দুর্গতিনাশিনী দুর্গাপূজার হয়েছিল প্রথম প্রচলন তা আজও জানা যায়নি।
শ্রীরামকৃষ্ণদেব সেই তত্ত্বকেই বলছেন প্রতিমা মাটির কেনো গো? ও তো চিন্ময়ী জীবন্ত রূপ। সেই প্রতীক রূপেরই জীবন্ত রূপ কুমারী, যা বিশ্বমাতৃত্বের প্রতীক জগন্মাতাকে শ্রীরামকৃষ্ণদেব মা বলে সম্বোধন করছেন। তাই তিনি বলেছেন, ‘মাতৃভাব সাধনার শেষ কথা।’ এই মাতৃশক্তিকে উপাসনা করা হয় দুর্গাপূজায় কুমারী পূজার মাধ্যমে। মাতৃভাবে ঈশ্বরের আরাধনা তাঁর বৈচিত্র্যময়ী আরাধনার একটি রূপ। প্রত্যেক নারীকে মাতৃভাবে ভাবনা মহামায়ার শ্রেষ্ঠ উপাসনা এবং নারী মর্যাদার সর্বোচ্চ বিধি। নারী শুধু ভোগ্যপণ্য নয়, যথার্থ মূল্যায়নে সমাজে তাঁকে উচ্চাসনে সমাসীন করা কর্তব্য। পাখি যেমন একটি ডানায় উড়তে পারে না, সমাজও তেমনি পুরুষশক্তি দ্বারা চলতে পারে না। কুমারীপূজা নারীকে মূল্যায়নের সর্বোচ্চ শাস্ত্রীয় বিধি। সমগ্র বিশ্বে এই নারী মূর্তি মহামায়া রূপে প্রকাশিতা এবং মাতৃকাশক্তি কুমারীরূপে ঈশ্বরেরই আরাধনা।
শক্তিপূজা কেবল মাতৃমূর্তিতেই হয়। যেমন: দুর্গা, অন্নপূর্ণা, কালী, জগদ্ধাত্রী ইত্যাদি। তাই প্রাচীনকাল থেকে শক্তিপূজার অঙ্গ হিসেবে নারীমূর্তিতে কুমারীপূজা প্রবর্তিত হয়েছে। বর্তমানকালের সমাজব্যবস্থায় বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও অনুন্নয়নশীল বিশ্বে সমাজব্যবস্থায় নারী নির্যাতিতা। তাই নারীদেহে ভগবানের পূজা সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। শ্রীরামকৃষ্ণদেব নিজ স্ত্রীকে ষোড়শীজ্ঞানে পুজো করে মাতৃ সম্মানের এক অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কুমারীপূজার মাধ্যমে নারী সমাজের তথা মাতৃশক্তি জাগরণের এক অত্যুজ্জ্বল ধারা বর্তমান সমাজে তুলে ধরেছে।
শরতের স্বর্ণিল আবহে স্বর্গের দেবী দুর্গা মর্ত্যবাসীতে নেমে আসেন, আমাদের যাবতীয় দুঃখ-দুর্দশা ও অশান্তি দূর করে এ পৃথিবীকে শান্তির আলো িদয়ে গড়ে তোলেন। একটি বছর পর দুর্গা দেবীর পদতলে পুষ্পাঞ্জল প্রদানের মাধ্যমে সমস্ত বিশ্বের শান্তি ও চির মঙ্গল কামনা করতে আমরা মিলিত হই এই দিনগুলোতে। সংঘাতময় এই বিশ্বে দেবী দুর্গার আগমন হয়ে উঠুক শান্তি, কল্যাণ ও সুখ-সমৃদ্ধিময়। দুর্গাপূজা এসেছে। এসেছে ত্রিনয়নী মা আমার শারদীয় এই দুর্গোৎসবে।
ড. অরূপরতনচৌধুরী : একুশে পদকপ্রাপ্ত; সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিস্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল; প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত টাস্কফোর্স।
সবার মিলনই দুর্গাপূজার আসল রূপ। বাঙালি হিন্দুদের সবাই তাঁর পূজা করে। তবে প্রাচীনকালে রাজা, জমিদার আর ধনাঢ্য বণিক সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যেই এ পূজার প্রচলন বেশি লক্ষণীয়। তবে বহুকাল থেকে আর্থিকভাবে সচ্ছল ও ধনী ব্যক্তিরাই পারিবারিকভাবে বংশপরম্পরায় দুর্গাপূজা করে আসছেন। প্রতিবছর মা আসেন, ভক্তের পুজো নিয়ে আবার ফিরেও যান কৈলাসে। মায়ের আগমনে সন্তানের আনন্দ। মায়ের কাছে সন্তানের অধিকার সমান। কারণ, তিনি বিশ্বজনীন। সনাতন ধর্মশাস্ত্রে দুর্গা নামটির ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে ‘দ’ অক্ষর দৈত্যনাশক, উ-কার বিঘ্ননাশক, রেফ রোগনাশক, গ অক্ষর পাপনাশক ও অ-কার ভয় শত্রুনাশক। তার মানেই দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও ভয় শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই শ্রীদুর্গা। অন্যদিকে শ্রীশ্রী চণ্ডী অনুসারে এই দেবীই ‘নিঃশেষদেবগণশক্তি সমূহমূর্ত্যাঃ’ বা সকল দেবতার সম্মিলিত শক্তির প্রতিমূর্তি। তিনি আমাদের দুর্গতি থেকে ত্রাণ করেন বলেই দেবীর নাম হয়েছে দুর্গা। তিনি সব প্রাণীতে চেতনারূপে, বুদ্ধিরূপে, শক্তিরূপে, শান্তিরূপে, শ্রদ্ধারূপে, দয়ারূপে বিরাজিতা।
আমাদের দেবগণ নিজ নিজ দেহ নিঃসৃত তেজ দ্বারা যেমন দেবীর অঙ্গ সকল সৃষ্টি করে তাকে পূর্ণরূপ দিয়েছিলেন, সেভাবেই তাঁরা নিজ নিজ শ্রেষ্ঠ অস্ত্রও তাঁর হাতে তুলে দিয়ে তাঁকে করেছিলেন রণসাজে সজ্জিতা। অশুভ শক্তির প্রতীক পরাজিত অসুরকে পায়ের তলায় রেখে যুদ্ধ করে মা শিক্ষা দিলেন জীবজগৎকে। সংসার সমরাঙ্গনে বাঁচতে মানুষের লাগে বুদ্ধি, ঋদ্ধি, সিদ্ধি ও ক্ষাত্রশক্তি। তাই তো আদ্যশক্তির মহিমায়ায় আছেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ ও কার্তিক। ধনের দেবী লক্ষ্মী, বিদ্যার দেবী সরস্বতী, দেব সেনাপতি কার্তিক, গণদেবতা ও সিদ্ধিদাতা গণেশও হচ্ছেন পূজিত। অন্যদিকে সরস্বতীর বাহন রাজহংস, লক্ষ্মী দেবীর বাহন প্যাঁচা, গণেশ ঠাকুরের ইঁদুর ও কার্তিকের বাহন ময়ূর—প্রতিটি প্রতীকই আধ্যাত্মিক তত্ত্বের ভাবমণ্ডিত। দশমীর দিন রাবণ বধ করে সাড়ম্বরে বিজয়া দশমী পালন করেন। তখন থেকে বসন্তকালে ও শরৎকালে দুর্গাপূজা ও শুভ বিজয়া দশমী পালিত হয়ে আসছে। প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই চলে আসছে মাতৃ পূজার চিরন্তন ধারা এবং এটি যে কত প্রাচীন, তা আজও রহস্যাবৃত। সুদূর অতীতের কোন ধূসর প্রদোষে মাতৃরূপিণী, শক্তিরূপিণী, বরাভয় প্রদায়িনী, দুর্গতিনাশিনী দুর্গাপূজার হয়েছিল প্রথম প্রচলন তা আজও জানা যায়নি।
শ্রীরামকৃষ্ণদেব সেই তত্ত্বকেই বলছেন প্রতিমা মাটির কেনো গো? ও তো চিন্ময়ী জীবন্ত রূপ। সেই প্রতীক রূপেরই জীবন্ত রূপ কুমারী, যা বিশ্বমাতৃত্বের প্রতীক জগন্মাতাকে শ্রীরামকৃষ্ণদেব মা বলে সম্বোধন করছেন। তাই তিনি বলেছেন, ‘মাতৃভাব সাধনার শেষ কথা।’ এই মাতৃশক্তিকে উপাসনা করা হয় দুর্গাপূজায় কুমারী পূজার মাধ্যমে। মাতৃভাবে ঈশ্বরের আরাধনা তাঁর বৈচিত্র্যময়ী আরাধনার একটি রূপ। প্রত্যেক নারীকে মাতৃভাবে ভাবনা মহামায়ার শ্রেষ্ঠ উপাসনা এবং নারী মর্যাদার সর্বোচ্চ বিধি। নারী শুধু ভোগ্যপণ্য নয়, যথার্থ মূল্যায়নে সমাজে তাঁকে উচ্চাসনে সমাসীন করা কর্তব্য। পাখি যেমন একটি ডানায় উড়তে পারে না, সমাজও তেমনি পুরুষশক্তি দ্বারা চলতে পারে না। কুমারীপূজা নারীকে মূল্যায়নের সর্বোচ্চ শাস্ত্রীয় বিধি। সমগ্র বিশ্বে এই নারী মূর্তি মহামায়া রূপে প্রকাশিতা এবং মাতৃকাশক্তি কুমারীরূপে ঈশ্বরেরই আরাধনা।
শক্তিপূজা কেবল মাতৃমূর্তিতেই হয়। যেমন: দুর্গা, অন্নপূর্ণা, কালী, জগদ্ধাত্রী ইত্যাদি। তাই প্রাচীনকাল থেকে শক্তিপূজার অঙ্গ হিসেবে নারীমূর্তিতে কুমারীপূজা প্রবর্তিত হয়েছে। বর্তমানকালের সমাজব্যবস্থায় বিশেষ করে উন্নয়নশীল ও অনুন্নয়নশীল বিশ্বে সমাজব্যবস্থায় নারী নির্যাতিতা। তাই নারীদেহে ভগবানের পূজা সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক। শ্রীরামকৃষ্ণদেব নিজ স্ত্রীকে ষোড়শীজ্ঞানে পুজো করে মাতৃ সম্মানের এক অত্যুজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। আর এরই ধারাবাহিকতায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কুমারীপূজার মাধ্যমে নারী সমাজের তথা মাতৃশক্তি জাগরণের এক অত্যুজ্জ্বল ধারা বর্তমান সমাজে তুলে ধরেছে।
শরতের স্বর্ণিল আবহে স্বর্গের দেবী দুর্গা মর্ত্যবাসীতে নেমে আসেন, আমাদের যাবতীয় দুঃখ-দুর্দশা ও অশান্তি দূর করে এ পৃথিবীকে শান্তির আলো িদয়ে গড়ে তোলেন। একটি বছর পর দুর্গা দেবীর পদতলে পুষ্পাঞ্জল প্রদানের মাধ্যমে সমস্ত বিশ্বের শান্তি ও চির মঙ্গল কামনা করতে আমরা মিলিত হই এই দিনগুলোতে। সংঘাতময় এই বিশ্বে দেবী দুর্গার আগমন হয়ে উঠুক শান্তি, কল্যাণ ও সুখ-সমৃদ্ধিময়। দুর্গাপূজা এসেছে। এসেছে ত্রিনয়নী মা আমার শারদীয় এই দুর্গোৎসবে।
ড. অরূপরতনচৌধুরী : একুশে পদকপ্রাপ্ত; সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিস্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল; প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত টাস্কফোর্স।
No comments