কাজ করছে বিকল্প হিমাগার by আবুল কালাম মুহাম্মদ আজাদ
রাজশাহী নগরের নামো ভদ্রার চকপাড়া এলাকায় সেই বিকল্প হিমাগারে পেঁয়াজ বাছাইয়ের কাজে শ্রমিকদের ব্যস্ততা l ছবি: প্রথম আলো |
কাজ
করছে রাজশাহীর সেই বিকল্প ‘হিমাগার’। ওই হিমাগারে রাখা হয়েছিল ৫০০ মণ
পেঁয়াজ। প্রায় চার মাস পরে গত সোমবার সেই পেঁয়াজ বের করা শুরু হয়েছে।
পেঁয়াজের ওজন কমেনি। পচনের হারও সামান্য। কৃষকেরা খুশি। এর আগে দুই হাজার
মণ আলু রেখেও ভালো ফল মিলেছে।
বিদ্যুৎ ছাড়াই জলীয় বাষ্পের খুব সাধারণ একটি ধর্মকে কাজে লাগিয়ে তৈরি এই হিমাগার নিয়ে গত ৯ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘এবার বিকল্প হিমাগার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন এক বছর ব্যবহার না করা পর্যন্ত এর উপযোগিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলে মত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই হিমাগারের উদ্বোধন করেন। এর উদ্ভাবক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন। ৩০০ টন ধারণক্ষমতার এই হিমাগার নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। প্রচলিত পদ্ধতিতে ৩০০ টন ধারণক্ষমতার একটি হিমাগার তৈরিতে ব্যয় হয় আড়াই কোটি টাকা। বিকল্প এই হিমাগারটি রাজশাহী নগরের নামোভদ্রা এলাকায় নির্মাণ করা হয়।
গত সোমবার দুপুরে ওই হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, এর তৃতীয় তলা থেকে পেঁয়াজ বের করা হচ্ছে। ওপরে উঠে দেখা যায়, শ্রমিকেরা পেঁয়াজের ওপরের খোসা পরিষ্কার করে বস্তায় ভরছেন। তাঁদের হিসাবে ২০ বস্তা পেঁয়াজের মধ্যে এক বস্তারও কম পেঁয়াজ নষ্ট পাওয়া যাচ্ছে। তা-ও পুরোপুরি নষ্ট হয়নি। এগুলোও বিক্রয়যোগ্য।
এই হিমাগারে ১৫ মণ পেঁয়াজ রেখেছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার মুসরাইল গ্রামের কৃষক আবদুল মমিন। তিনি বলেন, বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিশেষ কোনো জায়গা থাকে না। এবার হিমাগারে রেখেছেন। পেঁয়াজ দেখে এসেছেন, ভালো আছে। তিনি বলেন, তিনি আরও পরে তাঁর পেঁয়াজ বের করবেন। বেছে বেছে বড় পেঁয়াজগুলো বীজ তৈরির জন্য লাগাবেন। তখন আরও বেশি দাম পাবেন। তিনি বলেন, আগে পেঁয়াজ রাখার কোনো হিমাগার ছিল না, এখন ১০০ টাকা বস্তা (৮৫ কেজি) হিসাবে ভাড়া দেওয়ার কথা রয়েছে। তাতেও অনেক লাভ।
এম মনজুর হোসেন বলেন, হিমাগারটি আশানুরূপ কাজ করছে। গত ২৮ মার্চ থেকে পেঁয়াজ রাখা শুরু হয়। তখন পেঁয়াজের দাম সব খরচ মিলিয়ে ছিল এক হাজার টাকা মণ। এখন বাজারে পেঁয়াজের মণ দুই হাজার টাকারও বেশি। কৃষকের ঘরে রাখলে এই পেঁয়াজ প্রায় অর্ধেক ওজন হারাত। পচে নষ্ট হতো। তিনি বলেন, ১০ মণ রসুন রাখা হয়েছে। নষ্ট হয়নি। কিছু আদা রাখা হয়েছে। তা-ও ভালো আছে।
এম মনজুর হোসেন জানান, এবার তাঁদের একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটা হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখা যাবে না। আলু চার মাস পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। ভালো ছিল। এপ্রিল মাসে যখন পেঁয়াজ ঢোকানো হলো, তার কিছুদিনের মধ্যেই আলুর গাছ বের হতে শুরু করল। কারণ, আলুর চেয়ে পেঁয়াজ বেশি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। আলুর তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রাখা হলে আবার পেঁয়াজেরও গাছ বের হবে। এ জন্য তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা একসঙ্গে রাখা হবে। আলু আলাদা রাখতে হবে। একই কারণে আম ও টমেটো পেঁয়াজের সঙ্গে রাখা যাবে না। তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যে তাঁরা পেঁয়াজ, রসুনের জন্য আলাদা একটি হিমাগার তৈরির প্রস্তাব পেয়েছেন। একটি বেসরকারি ব্যাংক অর্থায়ন করতে রাজি হয়েছে।
বিদ্যুৎ ছাড়াই জলীয় বাষ্পের খুব সাধারণ একটি ধর্মকে কাজে লাগিয়ে তৈরি এই হিমাগার নিয়ে গত ৯ নভেম্বর প্রথম আলোর প্রথম পাতায় ‘এবার বিকল্প হিমাগার’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন এক বছর ব্যবহার না করা পর্যন্ত এর উপযোগিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে না বলে মত দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
গত ৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এই হিমাগারের উদ্বোধন করেন। এর উদ্ভাবক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এম মনজুর হোসেন। ৩০০ টন ধারণক্ষমতার এই হিমাগার নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১৪ লাখ টাকা। প্রচলিত পদ্ধতিতে ৩০০ টন ধারণক্ষমতার একটি হিমাগার তৈরিতে ব্যয় হয় আড়াই কোটি টাকা। বিকল্প এই হিমাগারটি রাজশাহী নগরের নামোভদ্রা এলাকায় নির্মাণ করা হয়।
গত সোমবার দুপুরে ওই হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, এর তৃতীয় তলা থেকে পেঁয়াজ বের করা হচ্ছে। ওপরে উঠে দেখা যায়, শ্রমিকেরা পেঁয়াজের ওপরের খোসা পরিষ্কার করে বস্তায় ভরছেন। তাঁদের হিসাবে ২০ বস্তা পেঁয়াজের মধ্যে এক বস্তারও কম পেঁয়াজ নষ্ট পাওয়া যাচ্ছে। তা-ও পুরোপুরি নষ্ট হয়নি। এগুলোও বিক্রয়যোগ্য।
এই হিমাগারে ১৫ মণ পেঁয়াজ রেখেছেন রাজশাহীর পবা উপজেলার মুসরাইল গ্রামের কৃষক আবদুল মমিন। তিনি বলেন, বাড়িতে পেঁয়াজ সংরক্ষণের বিশেষ কোনো জায়গা থাকে না। এবার হিমাগারে রেখেছেন। পেঁয়াজ দেখে এসেছেন, ভালো আছে। তিনি বলেন, তিনি আরও পরে তাঁর পেঁয়াজ বের করবেন। বেছে বেছে বড় পেঁয়াজগুলো বীজ তৈরির জন্য লাগাবেন। তখন আরও বেশি দাম পাবেন। তিনি বলেন, আগে পেঁয়াজ রাখার কোনো হিমাগার ছিল না, এখন ১০০ টাকা বস্তা (৮৫ কেজি) হিসাবে ভাড়া দেওয়ার কথা রয়েছে। তাতেও অনেক লাভ।
এম মনজুর হোসেন বলেন, হিমাগারটি আশানুরূপ কাজ করছে। গত ২৮ মার্চ থেকে পেঁয়াজ রাখা শুরু হয়। তখন পেঁয়াজের দাম সব খরচ মিলিয়ে ছিল এক হাজার টাকা মণ। এখন বাজারে পেঁয়াজের মণ দুই হাজার টাকারও বেশি। কৃষকের ঘরে রাখলে এই পেঁয়াজ প্রায় অর্ধেক ওজন হারাত। পচে নষ্ট হতো। তিনি বলেন, ১০ মণ রসুন রাখা হয়েছে। নষ্ট হয়নি। কিছু আদা রাখা হয়েছে। তা-ও ভালো আছে।
এম মনজুর হোসেন জানান, এবার তাঁদের একটা নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে, সেটা হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ একসঙ্গে রাখা যাবে না। আলু চার মাস পর্যন্ত রাখা হয়েছিল। ভালো ছিল। এপ্রিল মাসে যখন পেঁয়াজ ঢোকানো হলো, তার কিছুদিনের মধ্যেই আলুর গাছ বের হতে শুরু করল। কারণ, আলুর চেয়ে পেঁয়াজ বেশি তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। আলুর তাপমাত্রায় পেঁয়াজ রাখা হলে আবার পেঁয়াজেরও গাছ বের হবে। এ জন্য তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, পেঁয়াজ, রসুন ও আদা একসঙ্গে রাখা হবে। আলু আলাদা রাখতে হবে। একই কারণে আম ও টমেটো পেঁয়াজের সঙ্গে রাখা যাবে না। তার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। ইতিমধ্যে তাঁরা পেঁয়াজ, রসুনের জন্য আলাদা একটি হিমাগার তৈরির প্রস্তাব পেয়েছেন। একটি বেসরকারি ব্যাংক অর্থায়ন করতে রাজি হয়েছে।
No comments