জনকণ্ঠের আদালত অবমাননা: আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে শুনানি আজ
দৈনিক জনকণ্ঠ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়ের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে দেওয়া রুলের শুনানি আজ আপিল বিভাগের বৃহত্তর বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল রোববার এ রুলের ওপর আংশিক শুনানির পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গতকাল সকাল নয়টায় আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হলে জনকণ্ঠ-এর আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন তিনটি আবেদন দাখিল করেন। প্রথম আবেদনটি ছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন করা নিয়ে। এ আবেদনটি আদালত খারিজ করেন।
দ্বিতীয় আবেদনে ছিল আদালত অবমাননার অভিযোগে দেওয়া রুলের জবাব। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে পুরো নিবন্ধটি পড়ে শোনান। গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠ-এর ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা: পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এটির লেখক স্বদেশ রায়। এ নিবন্ধের এক জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘...তাই যদি না হয়, তাহলে কীভাবে যাঁরা বিচার করছেন, সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে, না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদের কি কখনো কোনো বিচারপতি সাক্ষাৎ দেন?’
অ্যাটর্নি জেনারেল নিবন্ধ উপস্থাপন শেষ করলে জনকণ্ঠ-এর সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের দ্বিতীয় আবেদনটি উপস্থাপন শুরু করেন তাঁদের আইনজীবী। এতে বলা হয়, নিবন্ধ লেখকের হাতে প্রধান বিচারপতি ও অন্য এক ব্যক্তির কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড এসেছে। এতে সাকা চৌধুরীর বিচারাধীন আপিলের বিষয়ে কথাবার্তা আছে।
শুনানির একপর্যায়ে আপিল বিভাগে আধা ঘণ্টার নিয়মিত বিরতি হয়। বিরতির পর আবার কোর্ট বসলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিরতির সময় আমরা সবাই মিলে আলোচনা করেছি। নিরপেক্ষতার স্বার্থে, যেহেতু এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, একাগ্রতার প্রশ্ন জড়িত, তাই এটা আমরা বৃহত্তর বেঞ্চে শুনব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল তখন বলেন, এটার কি দরকার আছে? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি কখনো ইমোশনে ধাবিত হন না। এ পদ কাচের দেয়ালের মতো এত ঠুনকো নয় যে ইট ঠুকে মারলে তা ঝনঝন করে ভেঙে যাবে।...জাতি জানুক, বিচার বিভাগের একাগ্রতার স্বার্থে সব বিচারক একসঙ্গে বসেছেন।’
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন করে আবেদন দিয়ে জনকণ্ঠ-এর সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক বিষয়টিকে আরও গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমার খারাপ লাগছে।’
গতকাল রোববার এ রুলের ওপর আংশিক শুনানির পর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গতকাল সকাল নয়টায় আপিল বিভাগের কার্যক্রম শুরু হলে জনকণ্ঠ-এর আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন তিনটি আবেদন দাখিল করেন। প্রথম আবেদনটি ছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন করা নিয়ে। এ আবেদনটি আদালত খারিজ করেন।
দ্বিতীয় আবেদনে ছিল আদালত অবমাননার অভিযোগে দেওয়া রুলের জবাব। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে পুরো নিবন্ধটি পড়ে শোনান। গত ১৬ জুলাই জনকণ্ঠ-এর ষষ্ঠ পৃষ্ঠায় ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা: পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। এটির লেখক স্বদেশ রায়। এ নিবন্ধের এক জায়গায় লেখা হয়েছে, ‘...তাই যদি না হয়, তাহলে কীভাবে যাঁরা বিচার করছেন, সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে, না অন্য পথে? ভিকটিমের পরিবারের লোকদের কি কখনো কোনো বিচারপতি সাক্ষাৎ দেন?’
অ্যাটর্নি জেনারেল নিবন্ধ উপস্থাপন শেষ করলে জনকণ্ঠ-এর সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকের দ্বিতীয় আবেদনটি উপস্থাপন শুরু করেন তাঁদের আইনজীবী। এতে বলা হয়, নিবন্ধ লেখকের হাতে প্রধান বিচারপতি ও অন্য এক ব্যক্তির কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড এসেছে। এতে সাকা চৌধুরীর বিচারাধীন আপিলের বিষয়ে কথাবার্তা আছে।
শুনানির একপর্যায়ে আপিল বিভাগে আধা ঘণ্টার নিয়মিত বিরতি হয়। বিরতির পর আবার কোর্ট বসলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিরতির সময় আমরা সবাই মিলে আলোচনা করেছি। নিরপেক্ষতার স্বার্থে, যেহেতু এটাতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, একাগ্রতার প্রশ্ন জড়িত, তাই এটা আমরা বৃহত্তর বেঞ্চে শুনব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল তখন বলেন, এটার কি দরকার আছে? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি কখনো ইমোশনে ধাবিত হন না। এ পদ কাচের দেয়ালের মতো এত ঠুনকো নয় যে ইট ঠুকে মারলে তা ঝনঝন করে ভেঙে যাবে।...জাতি জানুক, বিচার বিভাগের একাগ্রতার স্বার্থে সব বিচারক একসঙ্গে বসেছেন।’
পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নতুন করে আবেদন দিয়ে জনকণ্ঠ-এর সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদক বিষয়টিকে আরও গুরুতর পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি আমার খারাপ লাগছে।’
No comments