মুক্তমনাদের ‘সীমা লঙ্ঘন’ না করতে আইজিপির অনুরোধ
এ কে এম শহীদুল হক |
পুলিশের
মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, ‘যারা মুক্তমনা লেখক,
তাদের কাছে অনুরোধ, আমরা যেন সীমা লঙ্ঘন না করি।’ সাম্প্রতিক আলোচিত শিশু
হত্যাকাণ্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর আজ রোববার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।
নিজের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলেও পুলিশ নীলাদ্রিকে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তবে এখনো তদন্ত চলছে। যদি তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তাহলে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।’
ব্লগার নীলাদ্রি, ওয়াশিকুর রহমান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে আইজিপি বলেন, ‘এখানে আমার একটা বক্তব্য আছে। মুক্তমনা, তারা তো থাকবে। তাদের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ আছে। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা অপরাধ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীর সাজা ১৪ বছর। তবে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে তাকে হত্যা করতে হবে, তা মানা যায় না। ইসলাম ধর্মও তা সমর্থন করে না। কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে, তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তাকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন আইজিপি।’
শহীদুল হক আরও বলেন, ‘যারা মুক্তমনা লেখক, তাদের কাছে অনুরোধ, আমরা যেন সীমা লঙ্ঘন না করি। এমন কিছু লেখা উচিত নয়, যেখানে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে, বিশ্বাসে আঘাত হানে।’
পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ডের আমরা রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারব। অভিজিৎ হত্যার মূল আসামি শনাক্ত হয়েছে। তিনি পুলিশের সামনে পড়লে রেহাই পাবেন না।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আলোচিত শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান আইজিপি। আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ঘটায়নি। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিশু ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুপুরে স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানেও এই বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের চারতলায় সম্মেলন কক্ষে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি, অতিরিক্ত আইজিপি মইনুর রহমান চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যাকাণ্ডের দুই দিন পর আজ রোববার বিকেলে পুলিশ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে আইজিপি এ মন্তব্য করেন।
নিজের নিরাপত্তাহীনতার আশঙ্কায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলেও পুলিশ নীলাদ্রিকে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন—এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে এই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি, তবে এখনো তদন্ত চলছে। যদি তদন্তে এর সত্যতা পাওয়া যায়। তাহলে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেব।’
ব্লগার নীলাদ্রি, ওয়াশিকুর রহমান, অভিজিৎ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা বলার একপর্যায়ে আইজিপি বলেন, ‘এখানে আমার একটা বক্তব্য আছে। মুক্তমনা, তারা তো থাকবে। তাদের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধাবোধ আছে। তবে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা অপরাধ। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীর সাজা ১৪ বছর। তবে কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে তাকে হত্যা করতে হবে, তা মানা যায় না। ইসলাম ধর্মও তা সমর্থন করে না। কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করলে, তার বিরুদ্ধে মামলা দিলে তাকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন আইজিপি।’
শহীদুল হক আরও বলেন, ‘যারা মুক্তমনা লেখক, তাদের কাছে অনুরোধ, আমরা যেন সীমা লঙ্ঘন না করি। এমন কিছু লেখা উচিত নয়, যেখানে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে, বিশ্বাসে আঘাত হানে।’
পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘নীলাদ্রি হত্যাকাণ্ডের আমরা রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারব। অভিজিৎ হত্যার মূল আসামি শনাক্ত হয়েছে। তিনি পুলিশের সামনে পড়লে রেহাই পাবেন না।’
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আলোচিত শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান আইজিপি। আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে শিশু হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্র ঘটায়নি। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আইজিপি শহীদুল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিশু ও ব্লগার হত্যাকাণ্ডের তদন্তের অবস্থা জানাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, দুপুরে স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত মন্ত্রী সভা কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখানেও এই বিষয়গুলো গুরুত্ব পেয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের চারতলায় সম্মেলন কক্ষে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারি, অতিরিক্ত আইজিপি মইনুর রহমান চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
No comments