প্রধান প্রকৌশলীকে নিয়ে রাজউকে উত্তপ্ত পরিবেশ
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ, প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্ত দাবি, অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা প্রধান প্রকৌশলীকে (উন্নয়ন) নিয়ে রাজউক ভবনে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ এনে তাঁকে অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং অভিযোগ তদন্তের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও শ্রমিক সংগঠনগুলো। গত বৃহস্পতিবার রাজউক চেয়ারম্যানের কাছে সংগঠনগুলো লিখিতভাবে এই দাবি জানায়। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) সূত্র জানায়, প্রধান প্রকৌশলী (উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন) হাফিজুর রহমান মুন্সি প্রায় ১৫ দিন ব্যক্তিগত সফরে দেশের বাইরে ছিলেন। গত শুক্রবার তিনি দেশে ফিরেছেন। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক দিন থেকেই তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। তাঁদের পক্ষ থেকে রাজউক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, প্রকৌশলী সমিতি, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজউক শ্রমিক-কর্মচারী লীগ বিভিন্ন সময়ে পত্রপত্রিকায় লেখা প্রতিবেদন ও উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেয়। এ বিষয়ে আজ রোববার সংগঠনের সদস্যরা কর্মসূচিও পালন করবেন।
চিঠিতে বলা হয়, পূর্বাচল নতুন শহর, উত্তরা তৃতীয় পর্যায় ও উত্তরা ফ্ল্যাট প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর লোক বলে পরিচিত ‘টেন্ডারবাজ ও মাস্তানরা’ এখন রাজউকে অবস্থান নিয়েছে। রাজউকের বিভিন্ন তলার সিঁড়ি, ছাদ ও প্রকৌশল শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষ—সর্বত্রই এখন তাঁদের দাপট। রাজউকের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী (উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন) হাফিজুর রহমান মুন্সি রাজউকে যোগদানের পর থেকেই এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ ঠিকাদারেরা কিছুই বলতে পারেন না। প্রধান প্রকৌশলী তাঁর পছন্দের ঠিকাদারদের কাজগুলো দিতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ওই ঠিকাদারদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নিজের অফিস কক্ষ, বাসা ও রেস্তোরাঁয় বৈঠক করছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হাফিজুর রহমান মুন্সির রাজউকে যোগদানের মাত্র চার মাসের মাথায় তাঁর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে ঠিকাদারেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তাঁরা প্রধান প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করেন এবং কক্ষে ভাঙচুর চালান।
রাজউক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এবং প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) আনোয়ার হোসেন গত সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাফিজুর রহমান মুন্সির যাবতীয় কার্যক্রমে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা রাজউকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। আগামীকাল (আজ) আমরা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতেই কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইব, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
রাজউক শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি আবদুল মালিক বলেন, ‘আমরা আগামীকাল কী করব, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি, পরিস্থিতির ওপর সব নির্ভর করবে। তবে অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, প্রয়োজনে তাঁরা কলম বিরতি এবং ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করতে পারেন।
চিঠি পাওয়ার পর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি চিঠিটি পেয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ঢাকায় না থাকায় গণপূর্তসচিবকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত না করে প্রত্যাহার করব কী করে? অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সির সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বলেন, ‘শুধু রাজউকে নয়, চাকরি জীবনে কখনো অনিয়ম, দুর্নীতি করিনি। সরকার আমাকে ডেপুটেশনে (প্রেষণে) রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পাঠিয়েছে। আমি নিজের ইচ্ছায় আসিনি। আমি বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছি বলে একটি মহল ঈর্ষান্বিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করুক, আমি নিশ্চিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হবে না।’ অফিসে মাস্তানবেষ্টিত থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
চিঠিতে বলা হয়, পূর্বাচল নতুন শহর, উত্তরা তৃতীয় পর্যায় ও উত্তরা ফ্ল্যাট প্রকল্পের দরপত্র নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর লোক বলে পরিচিত ‘টেন্ডারবাজ ও মাস্তানরা’ এখন রাজউকে অবস্থান নিয়েছে। রাজউকের বিভিন্ন তলার সিঁড়ি, ছাদ ও প্রকৌশল শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষ—সর্বত্রই এখন তাঁদের দাপট। রাজউকের বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী (উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন) হাফিজুর রহমান মুন্সি রাজউকে যোগদানের পর থেকেই এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে সাধারণ ঠিকাদারেরা কিছুই বলতে পারেন না। প্রধান প্রকৌশলী তাঁর পছন্দের ঠিকাদারদের কাজগুলো দিতে রীতিমতো মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ওই ঠিকাদারদের নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই নিজের অফিস কক্ষ, বাসা ও রেস্তোরাঁয় বৈঠক করছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, হাফিজুর রহমান মুন্সির রাজউকে যোগদানের মাত্র চার মাসের মাথায় তাঁর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদে ঠিকাদারেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তাঁরা প্রধান প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করেন এবং কক্ষে ভাঙচুর চালান।
রাজউক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি এবং প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প ও ডিজাইন) আনোয়ার হোসেন গত সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাফিজুর রহমান মুন্সির যাবতীয় কার্যক্রমে রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা রাজউকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। আগামীকাল (আজ) আমরা শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতিতেই কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইব, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
রাজউক শ্রমিক-কর্মচারী লীগের সভাপতি আবদুল মালিক বলেন, ‘আমরা আগামীকাল কী করব, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিইনি, পরিস্থিতির ওপর সব নির্ভর করবে। তবে অবশ্যই সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নেতা বলেন, প্রয়োজনে তাঁরা কলম বিরতি এবং ঘেরাও কর্মসূচিও পালন করতে পারেন।
চিঠি পাওয়ার পর কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে—জানতে চাইলে রাজউক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি চিঠিটি পেয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ঢাকায় না থাকায় গণপূর্তসচিবকে তিনি বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধান প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত না করে প্রত্যাহার করব কী করে? অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সির সঙ্গে গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি বলেন, ‘শুধু রাজউকে নয়, চাকরি জীবনে কখনো অনিয়ম, দুর্নীতি করিনি। সরকার আমাকে ডেপুটেশনে (প্রেষণে) রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে পাঠিয়েছে। আমি নিজের ইচ্ছায় আসিনি। আমি বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করেছি বলে একটি মহল ঈর্ষান্বিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। কর্তৃপক্ষ তদন্ত করুক, আমি নিশ্চিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হবে না।’ অফিসে মাস্তানবেষ্টিত থাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
No comments