অপমানিত হলেন ভোটাররা by শম্পা বসু
মানুষের অনেক আশার ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ পর্যন্ত জনগণের সঙ্গে সরকারের তামাশায় গড়াল। ভোটারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘শান্তিপূর্ণভাবে’ ভোট ডাকাতির একটি নির্বাচনী নাটক মঞ্চস্থ হলো। অপমানিত হলেন ভোটাররা। নির্বাচন কেমন হয়েছে তা তো প্রায় সব সংবাদপত্রেই উঠে এসেছে। প্রার্থী হিসেবে আমি বেশ কিছু কেন্দ্রে গেছি। আমার অভিজ্ঞতা এর থেকে আলাদা কিছু নয়।
আমি চেয়েছিলাম প্রতিটি কেন্দ্রে যাব। সিদ্ধেশ্বরীর একটি কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে আমি নিজেই বাধা পেলাম। আমার চোখের সামনে দেখলাম ব্যালট পেপারে সিল মারা হচ্ছে। আমি ওই যুবকদের নিজের পরিচয় দিলাম। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ওরা জানাল, ওরা শুধু মেয়রের প্রতীকে সিল মারছে। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জায়গায় কিছু করছে না।
এটা সবাই জানেন যে নির্বাচনকে টাকার খেলায় পরিণত করা হয়েছে। আসলে আমরা একটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই আন্দোলন কালোটাকা, সন্ত্রাস ও দখলদারদের বিরুদ্ধে। এবারের নির্বাচনও এসবের মধ্য দিয়েই গেল। টাকা দিয়ে ভোট কর্মী ব্যবহার করার মানসিকতা নিয়ে আমি নির্বাচন করিনি। আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা আমার জন্য প্রচার চালিয়েছেন। আমাকে অর্থ সাহায্য পর্যন্ত করেছেন। বস্তুগত কিছু আমি দিতে পারব না জেনেও তাঁরা আমার সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। প্রতিদিন ভোরে রমনায় যেতাম আমি। নির্বাচনের পরদিন ভোরে আমি আবারও গেলাম। যাঁরা এই কমাসে আমার স্বজনে পরিণত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আমি একটা পরিবর্তন দেখেছি। ধারাবাহিকভাবে ভোটারদের অধিকার লুণ্ঠিত হওয়ায় তাঁদের মধ্যে শাসকদলের প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাঁরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের মধ্যে আমি একটা লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষা দেখতে পেয়েছি।
দুঃখ লাগে এটা ভেবে যে নির্বাচনে তরুণ-যুবকদের চেতনাকে কত নিচে নামানো হলো। যারা টাকা ছড়িয়েছে, জাল ভোট দিয়েছে, কেন্দ্র দখল করেছে তারা হয়তো জিতেছে কিন্তু হেরে গেল মানুষের নীতিবোধ, মূল্যবোধ।
শুধু নির্বাচন নয় সমাজের পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত শক্তি কাজে আসবে। নির্বাচনের আগে যে সব সমস্যা চিহ্নিত করেছি আমরা তার সমাধানে আরও অনেক মানুষকে আন্দোলনে পাশে পাব বলে বিশ্বাস করি। কালোটাকা, সন্ত্রাস, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
প্রকৌশলী শম্পা বসু: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের সংরক্ষিত আসন-০৫ (ওয়ার্ড নং ১৩,১৯, ২০) এ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
আমি চেয়েছিলাম প্রতিটি কেন্দ্রে যাব। সিদ্ধেশ্বরীর একটি কেন্দ্রে ঢুকতে গিয়ে আমি নিজেই বাধা পেলাম। আমার চোখের সামনে দেখলাম ব্যালট পেপারে সিল মারা হচ্ছে। আমি ওই যুবকদের নিজের পরিচয় দিলাম। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে ওরা জানাল, ওরা শুধু মেয়রের প্রতীকে সিল মারছে। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জায়গায় কিছু করছে না।
এটা সবাই জানেন যে নির্বাচনকে টাকার খেলায় পরিণত করা হয়েছে। আসলে আমরা একটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই আন্দোলন কালোটাকা, সন্ত্রাস ও দখলদারদের বিরুদ্ধে। এবারের নির্বাচনও এসবের মধ্য দিয়েই গেল। টাকা দিয়ে ভোট কর্মী ব্যবহার করার মানসিকতা নিয়ে আমি নির্বাচন করিনি। আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা আমার জন্য প্রচার চালিয়েছেন। আমাকে অর্থ সাহায্য পর্যন্ত করেছেন। বস্তুগত কিছু আমি দিতে পারব না জেনেও তাঁরা আমার সঙ্গে আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। প্রতিদিন ভোরে রমনায় যেতাম আমি। নির্বাচনের পরদিন ভোরে আমি আবারও গেলাম। যাঁরা এই কমাসে আমার স্বজনে পরিণত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে আমি একটা পরিবর্তন দেখেছি। ধারাবাহিকভাবে ভোটারদের অধিকার লুণ্ঠিত হওয়ায় তাঁদের মধ্যে শাসকদলের প্রতি অনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাঁরা ক্ষুব্ধ। তাঁদের মধ্যে আমি একটা লড়াইয়ের আকাঙ্ক্ষা দেখতে পেয়েছি।
দুঃখ লাগে এটা ভেবে যে নির্বাচনে তরুণ-যুবকদের চেতনাকে কত নিচে নামানো হলো। যারা টাকা ছড়িয়েছে, জাল ভোট দিয়েছে, কেন্দ্র দখল করেছে তারা হয়তো জিতেছে কিন্তু হেরে গেল মানুষের নীতিবোধ, মূল্যবোধ।
শুধু নির্বাচন নয় সমাজের পরিবর্তনে সাধারণ মানুষের সম্মিলিত শক্তি কাজে আসবে। নির্বাচনের আগে যে সব সমস্যা চিহ্নিত করেছি আমরা তার সমাধানে আরও অনেক মানুষকে আন্দোলনে পাশে পাব বলে বিশ্বাস করি। কালোটাকা, সন্ত্রাস, দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।
প্রকৌশলী শম্পা বসু: সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের সংরক্ষিত আসন-০৫ (ওয়ার্ড নং ১৩,১৯, ২০) এ কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ছিলেন ও সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক।
No comments