নির্বাচনে অনিয়মের স্বচ্ছ তদন্ত চান শারম্যান
বাংলাদেশে
সফররত যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শারমেন বলেছেন, যে কোনো
নির্বাচন গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই নির্বাচনে অনিয়ম ও বর্জন
গণতন্ত্রের জন্য কাম্য নয়। নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান প্রয়োজন।
নির্বাচনে যেসব অনিয়ম হয়েছে গণতন্ত্রের স্বার্থে অবশ্যই তার স্বচ্ছ তদন্ত
করতে হবে।
শুক্রবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়েন্ডি শারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি গতকাল বৈঠক করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, সিটি নির্বাচনের অনিয়মগুলো অবশ্যই স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতা হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই এবং পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চতুর্থ অংশীদারত্ব সংলাপ ঢাকায় শুরু হয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ওয়েন্ডি শারমেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় শারমেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ও নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বানও জানিয়ে ওয়েন্ডি শারম্যান বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম আর বিএনপির মাঝপথে নির্বাচন বর্জন উভয়ই হতাশাজনক। তিনি জানান, তার এ হতাশা ও অসন্তোষের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানিয়েছেন শারম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আজ সকালে ও গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় আমরা নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। ভোটে অনিয়মের ব্যাপারে স্পষ্টত সবাই ভীষণ উদ্বিগ্ন, এটা আমাকে অবশ্যই বলতে হবে। তিনি বলেন, ভোট চলাকালে বিরোধীদলের নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, নির্বাচনে অনিয়মগুলোর ব্যাপারে কীভাবে স্বচ্ছ তদন্ত করা যায়, এ ব্যাপারে সবার লক্ষ্য করা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের জন্য ওই অনিয়ম তদন্তগুলোর তদন্ত করা খুব জরুরি।
শারম্যান বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের ক্ষেত্রে অনেকগুলো শর্তপূরণে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাজে অগ্রগতি হয়েছে। তবে আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ইউনিয়ন নেতাদের হয়রানির অভিযোগ সুরাহা করার প্রতিও গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ক্ষমতাপ্রাপ্ত শ্রমিকরা একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে। এ জন্যই আমরা নতুন পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানের মাধ্যমে কারখানা ও কমিউনিটির সাংগঠনিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিচ্ছি।
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন উল্লেখ করে শারম্যান বলেন, বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিয়ে বন্ধ, মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করাসহ নারীদের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ালে দেশের বৃহত্তর এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই সম্ভাবনার দ্বারে পৌঁছাতে বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশীদার হতে আগ্রহী। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যে অগ্রযাত্রা চলছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে।
সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, উন্নয়ন, সুশাসন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সংলাপে গুরুত্ব পেয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে একসঙ্গে কাজ করবে দু’দেশ। অতীতের যে কোনো সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং শক্তিশালী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপের প্লেনারি সেশনে অংশ নিতে নিশা দেশাই ও শারম্যান ঢাকায় আসেন।
শুক্রবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়েন্ডি শারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমি গতকাল বৈঠক করেছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, সিটি নির্বাচনের অনিয়মগুলো অবশ্যই স্বচ্ছতার সঙ্গে তদন্ত করতে হবে। একইসঙ্গে প্রশ্নবিদ্ধ তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতা হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র হতাশ হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী নিশা দেশাই এবং পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে চতুর্থ অংশীদারত্ব সংলাপ ঢাকায় শুরু হয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ওয়েন্ডি শারমেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শুক্রবার সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় শারমেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ ও নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বানও জানিয়ে ওয়েন্ডি শারম্যান বলেন, নির্বাচনে অনিয়ম আর বিএনপির মাঝপথে নির্বাচন বর্জন উভয়ই হতাশাজনক। তিনি জানান, তার এ হতাশা ও অসন্তোষের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে আগামী যে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানিয়েছেন শারম্যান।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আজ সকালে ও গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সময় আমরা নির্বাচনের ব্যাপারে আলোচনা করেছি। ভোটে অনিয়মের ব্যাপারে স্পষ্টত সবাই ভীষণ উদ্বিগ্ন, এটা আমাকে অবশ্যই বলতে হবে। তিনি বলেন, ভোট চলাকালে বিরোধীদলের নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, নির্বাচনে অনিয়মগুলোর ব্যাপারে কীভাবে স্বচ্ছ তদন্ত করা যায়, এ ব্যাপারে সবার লক্ষ্য করা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের জন্য ওই অনিয়ম তদন্তগুলোর তদন্ত করা খুব জরুরি।
শারম্যান বলেন, রানা প্লাজা ধসের পর জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালের ক্ষেত্রে অনেকগুলো শর্তপূরণে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর কাজে অগ্রগতি হয়েছে। তবে আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। ইউনিয়ন নেতাদের হয়রানির অভিযোগ সুরাহা করার প্রতিও গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক খাতের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ক্ষমতাপ্রাপ্ত শ্রমিকরা একটি শক্তি হিসেবে কাজ করে। এ জন্যই আমরা নতুন পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানের মাধ্যমে কারখানা ও কমিউনিটির সাংগঠনিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিচ্ছি।
নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনাকে চ্যাম্পিয়ন উল্লেখ করে শারম্যান বলেন, বাল্যবিবাহ ও জোরপূর্বক বিয়ে বন্ধ, মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করাসহ নারীদের উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ালে দেশের বৃহত্তর এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অসীম সম্ভাবনা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেই সম্ভাবনার দ্বারে পৌঁছাতে বাংলাদেশের শক্তিশালী অংশীদার হতে আগ্রহী। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যে অগ্রযাত্রা চলছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা রয়েছে।
সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, উন্নয়ন, সুশাসন, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সংলাপে গুরুত্ব পেয়েছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে একসঙ্গে কাজ করবে দু’দেশ। অতীতের যে কোনো সময় থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক গভীর এবং শক্তিশালী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় শুরু হওয়া বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার চতুর্থ অংশীদারিত্ব সংলাপের প্লেনারি সেশনে অংশ নিতে নিশা দেশাই ও শারম্যান ঢাকায় আসেন।
No comments