কয়টি বা কীভাবে খুন ‘সিরিয়াস কিছু’? by এ কে এম জাকারিয়া
সামান্য কিছুতেই আমরা নাগরিকেরা কাতর হয়ে পড়ি। আমাদের চিত্ত সম্ভবত একটু বেশিই দুর্বল। তা না হলে বাসার মধ্যে টিভি উপস্থাপক ফারুকীকে কুপিয়ে হত্যা বা এর পরদিন মগবাজারে তিনজনকে গুলি করে মেরে ফেলার মতো ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ নিয়ে আমরা হায় হায় শুরু করি কেন! আর এসবে ঘি ঢালার জন্য সাংবাদিকেরা তো রয়েছেনই। আমাদের মতো দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামলানো আসলেই খুব কঠিন কাজ।
‘ফারুকী হত্যাকাণ্ড ও মগবাজারের তিন খুনের ঘটনা সিরিয়াস কিছু না। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাংবাদিকেরা যেভাবে প্রশ্ন করছেন, তেমন সিরিয়াস কিছু না। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ (প্রথম আলো, ৩১ আগস্ট)। জনগণের উদ্বেগ কমাতে কত ব্যাখ্যাই না দিতে হলো স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে! তিনি গিয়েছিলেন ‘ফরমালিন প্রতিরোধে সরকারের সাফল্য ও পরবর্তী করণীয়’ নিয়ে এক আলোচনায়। কোথায় ‘সরকারের সাফল্য’ নিয়ে কিছু আলোচনা হবে, সেখানে নাছোড়বান্দা সাংবাদিকেরা পড়ে রয়েছেন ফারুকী হত্যা ও তিন খুনের মতো ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা নিয়ে! আমাদের সাংবাদিকদের যে কবে বিচার-বুদ্ধি হবে!
দুর্বল চিত্তের জনগণ ও আমাদের মতো বিচার-বুদ্ধিহীন সাংবাদিকদের নিয়ে বড়ই বিপদে আছে সরকার। এ ধরনের জনগণের জন্য দৃঢ়চিত্তের একজনকেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মানায়। দুর্বল চিত্ত নিয়ে আর যা-ই হোক, মন্ত্রীই হওয়া যায় না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো কোনোভাবেই নয়। দেশে কত খুনখারাবি হবে, তাতে ঘাবড়ে গেলে চলবে কীভাবে! বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন বা একসঙ্গে গুলি করে তিনজনকে মেরে ফেলা—এসবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যদি আমাদের মতো ভেঙে পড়েন, তাহলে তো চলবে না! বোঝা গেল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নার্ভ শক্ত আছে, সেটা আমাদের এক বড় ভরসার জায়গা। এসব ঘটনায় কাতর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরাধ আর অপরাধীদের দমনে কঠোর কাউকেই তো আমাদের দরকার।
সবকিছুই ঠিক আছে, কিন্তু সাংবাদিকের বেয়াড়া মনে যে কত প্রশ্ন জাগে। টিভি উপস্থাপক মাওলানা ফারুকী তাঁর বাসায় খুন হলেন, তাঁকে ঘরভর্তি স্বজনদের মধ্যে কুপিয়ে মেরে ফেলা হলো, মগবাজারে এলোপাতাড়ি গুলি করে একসঙ্গে তিনজনকে মেরে ফেলা হলো, এসব যদি ‘সিরিয়াস কিছু নয়’ হয়, তবে সিরিয়াস বিষয়টি আসলে কী? ‘সিরিয়াস’ শব্দটির অর্থই বা কী? অভিধান এ সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ, কোনটি সিরিয়াস আর কোনটি সিরিয়াস না, এটা একজন ব্যক্তির ধারণার বিষয় এবং তা নিয়ে মানুষে মানুষে ভেদ হবে। তবে এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের মতো জনগণ বা সাংবাদিকদের ভেদটি মনে হয় অস্বাভাবিকভাবেই বেশি। এটা আসলেই বুঝতে পারছি না যে কতগুলো খুন হলে বা কত নির্মমভাবে খুনের ঘটনা ঘটলে তাকে ‘সিরিয়াস’ বলে ধরে নিতে হবে। আর কতটা কম হলে আমরা ‘সিরিয়াস কিছু নয়’ বলে মেনে নেব।
এগুলো পুরোনো প্রশ্ন, হয়তো অর্থহীনও। এ ধরনের প্রশ্নের জবাবও কখনো মেলে না। সেই কবে মার্কিন গায়ক, শিল্পী ও লেখক বব ডিলান লিখে ও গেয়ে প্রশ্ন তুলে গেছেন, ‘হাউ মেনি ডেথস উইল ইট টেক টিল হি নোউজ দ্যাট টু মেনি পিপল হ্যাভ ডাইড’। কলকাতার কবীর সুমন এর বাংলা করে গাইলেন, ‘কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে, বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে’। প্রশ্ন তোলা আর গেয়ে যাওয়াই সার, যার বা যাদের জবাব দেওয়ার কথা, ভাবার কথা, তারা এসবকে পাত্তা দিলে তো!
‘এগুলোর তদন্ত চলছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডগুলোর মোটিভ নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।...ফারুকী যেভাবে খুন হয়েছে, তা ছিঁচকে সন্ত্রাসীরা করেনি, পেশাদার সন্ত্রাসীরা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরা হয়েছে। মগবাজারের ঘটনা রেলের জমি দখল নিয়ে হয়েছে। যে সন্ত্রাসী এটা করেছে, তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করব’ (প্রথম আলো, ৩১ আগস্ট)। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী খুনখারাবিগুলোর ব্যাপারে নেওয়া উদ্যোগের কথা জানিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন এভাবেই। কিন্তু যে খুনগুলোকে তিনি ‘সিরিয়াস’ বলেই মানছেন না, সেগুলোর ‘সিরিয়াস’ তদন্ত হবে, সেই ভরসা কি জনগণ পাচ্ছে? তিনি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্যও জনগণকে পরামর্শ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এসব কথাবার্তায় জনগণের উদ্বেগ কতটুকু দূর হলো কে জানে, তবে তিনি খুনগুলোকে ‘সিরিয়াস’ মনে না করায় খুনিরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও পেতে পারে!
বাংলাদেশ এক ঘটনাবহুল দেশ। একদিকে সাংবাদিকেরা খুনোখুনির ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ নিয়ে মাতামাতি করেন, তো অন্যদিকে সুশীল সমাজ মাঠে নামে ক্রসফায়ার বা গুম নিয়ে। ‘মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি’ গঠন করে তারা গুম-ক্রসফায়ারের শিকার হওয়া লোকজনের স্বজনদের জড়ো করে। সেখানে এই স্বজনেরা বক্তব্য দেন, কাঁদেন, তাঁদের ছোঁয়াচে কান্না অন্যের মধ্যেও সংক্রমিত হয়। এসব নিয়ে আবার পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন হয়, ছবি ছাপা হয়। বেচারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আসলেই স্বস্তি নেই, এ নিয়ে সাংবাদিকেরা আবারও ধরেছেন তাঁকে। ব্যাখ্যা দিলেন তিনি, ঘটনাগুলো ‘গুম’ নয় অপহরণ, গুম বলতে কোনো শব্দ নেই।
কে আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বোঝাবে, শব্দটি ‘গুম’-এর জায়গায় ‘অপহরণ’ হলে স্বজনহারাদের দুঃখের একটুও হেরফের হবে না। তাঁরা হারানো প্রিজনকে ফেরত চান, সেই ব্যবস্থা যদি তিনি করে দিতে না পারেন, তবে তা গুম বা অপহরণ যা-ই হোক, তাতে কার কী এসে-যায়! ফারুকী বা মগবাজারে খুন হওয়া তিনজনের স্বজনেরা যখন শোনেন, এই খুনের ঘটনাগুলো ‘সিরিয়াস’ কিছু নয়, তখন কী তাঁদের কষ্টটা আরও বাড়ে না? নিহত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না, কিন্তু স্বজনদের বাড়তি কষ্ট না দিলেই কী নয়!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com
‘ফারুকী হত্যাকাণ্ড ও মগবাজারের তিন খুনের ঘটনা সিরিয়াস কিছু না। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাংবাদিকেরা যেভাবে প্রশ্ন করছেন, তেমন সিরিয়াস কিছু না। এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ (প্রথম আলো, ৩১ আগস্ট)। জনগণের উদ্বেগ কমাতে কত ব্যাখ্যাই না দিতে হলো স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে! তিনি গিয়েছিলেন ‘ফরমালিন প্রতিরোধে সরকারের সাফল্য ও পরবর্তী করণীয়’ নিয়ে এক আলোচনায়। কোথায় ‘সরকারের সাফল্য’ নিয়ে কিছু আলোচনা হবে, সেখানে নাছোড়বান্দা সাংবাদিকেরা পড়ে রয়েছেন ফারুকী হত্যা ও তিন খুনের মতো ‘বিচ্ছিন্ন’ ঘটনা নিয়ে! আমাদের সাংবাদিকদের যে কবে বিচার-বুদ্ধি হবে!
দুর্বল চিত্তের জনগণ ও আমাদের মতো বিচার-বুদ্ধিহীন সাংবাদিকদের নিয়ে বড়ই বিপদে আছে সরকার। এ ধরনের জনগণের জন্য দৃঢ়চিত্তের একজনকেই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে মানায়। দুর্বল চিত্ত নিয়ে আর যা-ই হোক, মন্ত্রীই হওয়া যায় না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো কোনোভাবেই নয়। দেশে কত খুনখারাবি হবে, তাতে ঘাবড়ে গেলে চলবে কীভাবে! বাসায় ঢুকে কুপিয়ে খুন বা একসঙ্গে গুলি করে তিনজনকে মেরে ফেলা—এসবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী যদি আমাদের মতো ভেঙে পড়েন, তাহলে তো চলবে না! বোঝা গেল স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নার্ভ শক্ত আছে, সেটা আমাদের এক বড় ভরসার জায়গা। এসব ঘটনায় কাতর হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অপরাধ আর অপরাধীদের দমনে কঠোর কাউকেই তো আমাদের দরকার।
সবকিছুই ঠিক আছে, কিন্তু সাংবাদিকের বেয়াড়া মনে যে কত প্রশ্ন জাগে। টিভি উপস্থাপক মাওলানা ফারুকী তাঁর বাসায় খুন হলেন, তাঁকে ঘরভর্তি স্বজনদের মধ্যে কুপিয়ে মেরে ফেলা হলো, মগবাজারে এলোপাতাড়ি গুলি করে একসঙ্গে তিনজনকে মেরে ফেলা হলো, এসব যদি ‘সিরিয়াস কিছু নয়’ হয়, তবে সিরিয়াস বিষয়টি আসলে কী? ‘সিরিয়াস’ শব্দটির অর্থই বা কী? অভিধান এ সমস্যার কোনো সমাধান দিতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ, কোনটি সিরিয়াস আর কোনটি সিরিয়াস না, এটা একজন ব্যক্তির ধারণার বিষয় এবং তা নিয়ে মানুষে মানুষে ভেদ হবে। তবে এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের মতো জনগণ বা সাংবাদিকদের ভেদটি মনে হয় অস্বাভাবিকভাবেই বেশি। এটা আসলেই বুঝতে পারছি না যে কতগুলো খুন হলে বা কত নির্মমভাবে খুনের ঘটনা ঘটলে তাকে ‘সিরিয়াস’ বলে ধরে নিতে হবে। আর কতটা কম হলে আমরা ‘সিরিয়াস কিছু নয়’ বলে মেনে নেব।
এগুলো পুরোনো প্রশ্ন, হয়তো অর্থহীনও। এ ধরনের প্রশ্নের জবাবও কখনো মেলে না। সেই কবে মার্কিন গায়ক, শিল্পী ও লেখক বব ডিলান লিখে ও গেয়ে প্রশ্ন তুলে গেছেন, ‘হাউ মেনি ডেথস উইল ইট টেক টিল হি নোউজ দ্যাট টু মেনি পিপল হ্যাভ ডাইড’। কলকাতার কবীর সুমন এর বাংলা করে গাইলেন, ‘কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে, বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে’। প্রশ্ন তোলা আর গেয়ে যাওয়াই সার, যার বা যাদের জবাব দেওয়ার কথা, ভাবার কথা, তারা এসবকে পাত্তা দিলে তো!
‘এগুলোর তদন্ত চলছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডগুলোর মোটিভ নিয়ে কাজ করছি। তদন্ত করা হচ্ছে। শিগগিরই এর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।...ফারুকী যেভাবে খুন হয়েছে, তা ছিঁচকে সন্ত্রাসীরা করেনি, পেশাদার সন্ত্রাসীরা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে একজনকে ধরা হয়েছে। মগবাজারের ঘটনা রেলের জমি দখল নিয়ে হয়েছে। যে সন্ত্রাসী এটা করেছে, তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেকোনো সময় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করব’ (প্রথম আলো, ৩১ আগস্ট)। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী খুনখারাবিগুলোর ব্যাপারে নেওয়া উদ্যোগের কথা জানিয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছেন এভাবেই। কিন্তু যে খুনগুলোকে তিনি ‘সিরিয়াস’ বলেই মানছেন না, সেগুলোর ‘সিরিয়াস’ তদন্ত হবে, সেই ভরসা কি জনগণ পাচ্ছে? তিনি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার জন্যও জনগণকে পরামর্শ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এসব কথাবার্তায় জনগণের উদ্বেগ কতটুকু দূর হলো কে জানে, তবে তিনি খুনগুলোকে ‘সিরিয়াস’ মনে না করায় খুনিরা কিছুটা স্বস্তি পেলেও পেতে পারে!
বাংলাদেশ এক ঘটনাবহুল দেশ। একদিকে সাংবাদিকেরা খুনোখুনির ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ নিয়ে মাতামাতি করেন, তো অন্যদিকে সুশীল সমাজ মাঠে নামে ক্রসফায়ার বা গুম নিয়ে। ‘মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি’ গঠন করে তারা গুম-ক্রসফায়ারের শিকার হওয়া লোকজনের স্বজনদের জড়ো করে। সেখানে এই স্বজনেরা বক্তব্য দেন, কাঁদেন, তাঁদের ছোঁয়াচে কান্না অন্যের মধ্যেও সংক্রমিত হয়। এসব নিয়ে আবার পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন হয়, ছবি ছাপা হয়। বেচারা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আসলেই স্বস্তি নেই, এ নিয়ে সাংবাদিকেরা আবারও ধরেছেন তাঁকে। ব্যাখ্যা দিলেন তিনি, ঘটনাগুলো ‘গুম’ নয় অপহরণ, গুম বলতে কোনো শব্দ নেই।
কে আমাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে বোঝাবে, শব্দটি ‘গুম’-এর জায়গায় ‘অপহরণ’ হলে স্বজনহারাদের দুঃখের একটুও হেরফের হবে না। তাঁরা হারানো প্রিজনকে ফেরত চান, সেই ব্যবস্থা যদি তিনি করে দিতে না পারেন, তবে তা গুম বা অপহরণ যা-ই হোক, তাতে কার কী এসে-যায়! ফারুকী বা মগবাজারে খুন হওয়া তিনজনের স্বজনেরা যখন শোনেন, এই খুনের ঘটনাগুলো ‘সিরিয়াস’ কিছু নয়, তখন কী তাঁদের কষ্টটা আরও বাড়ে না? নিহত ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না, কিন্তু স্বজনদের বাড়তি কষ্ট না দিলেই কী নয়!
এ কে এম জাকারিয়া: সাংবাদিক।
akmzakaria@gmail.com
No comments