চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত অর্ধশত পয়েন্টে গর্ত by মাহবুবুর রহমান পলাশ
সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী থেকে
চট্টগ্রাম অবধি সড়কে বৃষ্টিতে সৃষ্ট গর্তের জন্যই লক্ষ্য করা গেছে যানজট।
বিশেষ করে রোববার রাত থেকে সোমবার দিনভর বৃষ্টির ফলেই ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের
মিরসরাই থেকে সীতাকুণ্ড এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে গর্ত, সংস্কারাধীন কাজ ও
ফোর লেনের অসমাপ্ত অংশে গাড়িগুলো অনেক ধীরগতিতে পার হতে গিয়ে সৃষ্টি হচ্ছে
যানজট। যোগাযোগমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, ২০ জুলাইয়ের মধ্যেই সারা দেশের সড়ক
যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে ঈদে দুর্ভোগ না পোহানো নিশ্চিত করবেন।
চট্টগ্রাম থেকে মিরসরাই সিনো হাইড্রোর অংশে বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি
দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যানবাহন। এই অংশে চলমান ফোর লেনের অসমাপ্ত অংশে
ভাঙাচোরা গর্ত, আবার পুরনো অংশেও গর্তসহ সংকীর্ণ সড়কের জন্য এক লাইনে বা
দীর্ঘ লাইনের কবলে পড়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে গাড়ি। গত ক’দিনের বর্ষায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম থেকে ফেনী পর্যন্ত এই রুটের প্রায়
অর্ধশত পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। এসব গর্তের কারণে রমজানে দুর্ভোগ আর
ভোগান্তির কবলে পড়েছে দূর-দূরান্তের যাত্রী আর মালামাল পরিবহনকারীরা।
এ বিষয়ে ফোর লেনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সড়ক ও জনপথের প্রকৌশলী জুলফিকার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এই রুটের সব গর্তই দ্রুত প্রাথমিক সংস্কার করেছি।
আশা করছি এবারের ঈদে কোনো যানজটেই পড়তে হবে না কাউকে। তবে প্রকৃতপক্ষে যানজট কতটুকু নিরসন হয় সেটি এখন সময়ের ব্যাপার। ফোর লেন কৌশলী আরও বলেন, আমরা এখন থেকেই পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে যানজট না হওয়ার সব উদ্যোগ নিচ্ছি। আবার মিরসরাই থানার ওসি ইমতিয়াজ ভূঞা জানান, ফোর লেনের সংস্কারাধীন অংশের সঙ্গে পুরনো রুটগুলোর সড়ক ফিনিশিং ও পিচ ঢালাই না থাকায় গর্ত বেড়ে যাাচ্ছে।
No comments