বিমানবালার আশংকাই শেষে সত্য হল!
ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার আকাশসীমায় চড়তে আপত্তি জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার ভূপাতিত বিমানের অন্তত দুই ক্রু। তাদের আশংকা ছিল- ‘ওয়ার জোন’ খ্যাত ওই এলাকা দিয়ে যাতায়াত নিরাপদ নয়। গত সপ্তাহেই তারা এ আশংকার কথা কর্তৃপক্ষকে জানান। কিন্তু মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। ইউক্রেনের ওই বিমান পথকে বিপজ্জনক মন্তব্য করে কোনো কোনো ক্রু সেই রুটের বিমানে চড়তে আপত্তি জানান বলেও জানা গেছে। কারণ, ওই এলাকায় ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের কয়েকটি বিমান ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনের রুশপন্থী বিদ্রোহীরা।
এ পথ নিয়ে শঙ্কিতদের একজন ছিলেন বিমানবালা এঞ্জেলিন প্রেমিলা রাজনধরণ। রোববার মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বরাতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। ৩০ বছর বয়সী ওই তরুণীর শখ ছিল বিমানবালা হওয়ার। হয়েছিলেনও তাই। কিন্তু বৃহস্পতিবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় এমএইচ১৭ বিমানের যে ২৯৮ আরোহী নিহত হন, তিনিও সেই হতভাগ্যদের একজন। শুধু বিমানবালাই নয়, পাইলটরাও মালয়েশিয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারের কাছে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের উদ্বেগের কথা জানান বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা গেছে। কিন্তু মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ তা আমলে নেয়নি। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ অবশ্য আগেভাগেই এ ধরনের আশংকার অভিযোগ পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছে। জানা গেছে, ইউক্রেনের ওই বিমানপথ নিয়ে নিরাপত্তা-উদ্বেগ থাকায় ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ইউএস এয়ারলাইন্স, লুফথানসা, এয়ার ফ্রান্স ও কান্তাস তাদের বিমানপথ পরিবর্তন করে।
No comments