সুচিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ ইউনূসের
মিয়ানমারে জন-কেন্দ্রিক অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা করলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও অং সান সু চি। ড. ইউনূস তিন দিনের সফরে শনিবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গনে পৌঁছেন। স্থানীয় বৃটিশ কাউন্সিল তাকে আমন্ত্রণ করেছিল। সেখানে সরকারের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সামনে সামাজিক বাণিজ্য ও দেশের উন্নয়নে ব্যবসার ভূমিকা নিয়ে তার বক্তব্য দেয়ার কথা। এ সফরে গিয়ে ইয়াঙ্গনে অং সান সু চি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ড. ইউনূস। এ দু’ নোবেল বিজয়ীর মধ্যে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। এ সময় ক্ষুদ্রঋণ, স্বাস্থ্য সেবা, শিক্ষা, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ সহ বাংলাদেশে সামাজিক ব্যবসায় কর্মকা- নিয়ে সু চি’র সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে মিয়ানমারে ডেল্টা জোনে গ্রামীণ ট্রাস্ট কর্মসূচি চালু করার বিষয়ে সমর্থন দেয়ায় সু চি-কে তিনি ধন্যবাদ জানান। সু চি এ সময় প্রফেসর ইউনূস বিশ্বব্যাপী যে পদক্ষেপ নিয়েছেন সে বিষয়ে আগ্রহ দেখান। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনি তার নিজ নির্বাচনী আসনে গ্রামীণ উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বর্ণনা করেন। প্রফেসর ইউনূস দু’দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক, দু’দেশকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসতে পারে এমন সব ইস্যু সমাধান করার আহ্বান জানান। বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারকে এর সদস্য করতে। তার এ প্রস্তাবকে তার দলের পক্ষ থেকে সমর্থনের আহ্বান জানান ড. ইউনূস। এ সাক্ষাতের সময় অং সান সু চি-কে সামাজিক বাণিজ্য পরিদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সফরের আহ্বান জানান তিনি। সু চি শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আগ্রহ দেখিয়েছেন। এর মধ্যে তিনি একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবেন বাংলাদেশে। এ বছরের নভেম্বরে মেক্সিকো সিটিতে হওয়ার কথা রয়েছে সামাজিক বাণিজ্য সম্মেলন। তাতেও সু চি প্রতিনিধি পাঠাবেন। আগামী বছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় হবে নোবেল পিস লরিয়েটস সামিট। সেখানে যোগ দিতে সু চিকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের পাশাপাশি কো-চেয়ার হিসেবে সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন প্রফেসর ইউনূস।
No comments