পাকিস্তানে তিনটি পার্লামেন্ট পর্যন্ত গণতন্ত্র নিরাপদ!
পাকিস্তানে তিনটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে কোনো সামরিক আইন জারি হবে না। বিতর্কিত ‘জাতীয় আপস মীমাংসা অধ্যাদেশ’-এর (এনআরও) একটি ধারার আওতায় এ বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে প্রধান বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেত্রী শেহলা রাজা এমন দাবি করেন। খবর ডনের। গতকাল বুধবার টেলিভিশন চ্যানেলে শেহলা রাজার ওই সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করা হয়। বর্তমানে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বে আছেন শেহলা। সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, তিনটি সাধারণ নির্বাচনের আগে পাকিস্তানে কোনো সামরিক আইন জারি না করার বিষয়ে এনআরওর একটি ধারার আওতায় সমঝোতা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পাশাপাশি পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের তৎকালীন প্রধান আশফাক পারভেজ কায়ানি (সাবেক সেনাপ্রধান)
এই বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন। বিশ্বশক্তিগুলোকে তাদের সেই প্রতিশ্রুতির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পিপিপির নেতা আসিফ আলী জারদারি যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছিলেন বলেও জানান শেহলা। জারদারি গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ঠিক এই মুহূর্তে পিপিপির নেত্রী এমন মন্তব্য করলেন।অবশ্য শেহলার বক্তব্যের সঙ্গে পিপিপি একমত নয়। দলটি তাঁর মন্তব্যকে ব্যক্তিগত উল্লেখ করে বলেছে, ওই বক্তব্য ‘বিভ্রান্তিকর’ এবং ‘বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক’। পিপিপির একজন মুখপাত্র বলেন, শেহলার অবস্থান দলের অবস্থানকে প্রতিনিধিত্ব করে না। পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ২০০৭ সালের ৫ অক্টোবর এনআরও জারি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়াসহ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন বেনজির।
No comments