আইএমএফ–বিশ্বব্যাংকের বিপরীতে ব্রিকস ব্যাংক by মইনুল ইসলাম
১৫ জুলাই ২০১৪ ব্রাজিলের ফোর্টালেজা নগরে
বিশ্বের নব্য শক্তিধর ব্রিকস দেশগুলো ব্রিকস ব্যাংক নামের একটি
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, যা কালের
পরিক্রমায় এই নগরকে একদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রেটন উডস শহরের সঙ্গে
তুলনীয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিতে পারে। ১৩ জুলাইয়ের বিশ্বকাপ ফাইনালের
রেশ কাটতে না–কাটতেই এই সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার কারণে বিশ্ব
মিডিয়ায় এটাকে নিয়ে তেমন মাতামাতি হয়নি। তবে ঘটনাটি যে ক্রমেই আলোচনার
কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসবে, তাতে সন্দেহ নেই। কারণ, ব্রিকস ব্যাংক
প্রতিষ্ঠার এই সিদ্ধান্ত তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর ওপর আইএমএফ ও
বিশ্বব্যাংকের অসহনীয় দাদাগিরি রুখে দাঁড়ানোর একটি সাহসী প্রয়াস হিসেবে
চিহ্নিত হবে।
ব্রিকস (বিআরআইসিএস) শব্দটি বিশ্বখ্যাত বিনিয়োগ ও ব্যবসায়-গবেষণা প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান-স্যাকসের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নীলের প্রবর্তিত একটি টার্ম, যা তিনি উদ্ভাবন করেছেন ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চায়না ও সাউথ আফ্রিকা—বিশ্বের এই পাঁচটি দ্রুত উত্থানশীল অর্থনীতির ইংরেজি নামের আদ্যক্ষরের সমন্বয়ে। এই পাঁচটি দেশ বিশ্বের আয়তনের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত, এগুলোর সম্মিলিত জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং বিশ্বের মোট জিডিপির ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ তারা উৎপাদন করছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল দুটো দেশ চীন ও ভারত যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে আয়তনের দিক থেকে সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়া। এই দেশগুলোর কোনোটাকেই মাথাপিছু জিডিপির বিবেচনায় উন্নত দেশ বলা যাবে না। রাশিয়ার মাথাপিছু জিডিপি ১৪ হাজার ৬০৪ মার্কিন ডলার, এই পাঁচটি দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। ব্রাজিলের মাথাপিছু জিডিপি ১১ হাজার ১৭১ মার্কিন ডলার হলেও অত্যন্ত উচ্চমাত্রার আয়বৈষম্যের কারণে দেশটির সাধারণ মানুষ এখনো উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাথাপিছু জিডিপি সাত হাজার ৮১০ মার্কিন ডলার, কিন্তু ওখানকার অশ্বেতাঙ্গ জনগণের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশও এখনো অর্থনৈতিক বঞ্চনার শিকার। চীনের মাথাপিছু জিডিপি ছয় হাজার ৭৬৮ মার্কিন ডলার হলেও চীন এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং এখানকার জনগণের জীবনযাত্রার মান দ্রুত বর্ধনশীল। ভারতের মাথাপিছু জিডিপি মাত্র এক হাজার ৪১৮ মার্কিন ডলার। তাই ভারতকে এখনো অনায়াসে একটি নিম্ন–মধ্যম আয়ের দেশ বলা যায়। মাথাপিছু আয়ের বিচারে এই পাঁচটি দেশের কোনোটিকেই উন্নত দেশের কাতারে ফেলা না গেলেও বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গত দুই দশকের ধারাবাহিকতায় এই ব্রিকস নামধারী দেশগুলো চমকপ্রদ সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে নিঃসন্দেহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাপানের দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধোত্তর পর্বের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করার অবস্থানে চলে এসেছে। ক্রয়ক্ষমতা সাম্যের (পারসেসিং পাওয়ার প্যারিটি বা পিপিপি) ভিত্তিতে হিসাব করা হলে চীনের জিডিপি আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপিকে ছাড়িয়ে যাবে এবং এই ভিত্তিতে ভারতও ২০৩০ সালের মধ্যেই বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। তার মানে, পিপিপি পদ্ধতিতে হিসাব করলে ব্রিকসের অবদান বিশ্বের জিডিপির ৪০ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছেছে বলা যায়। অতএব, এই জোটটিকে বিশ্ব অর্থনীতির নব্য পরাশক্তি হিসেবে অভিহিত করলে অত্যুক্তি হবে না।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিকস দেশগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণের প্রয়াস নিয়ে চলেছে এবং তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের ব্রেটন উডস শহরে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের সিদ্ধান্ত অনুসারে, উপনিবেশ-উত্তর উন্নয়নশীল তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক এবং পরে গ্যাট ও এর উত্তরসূরি বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও প্রতিষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১৯৪৫ সাল থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন উন্নত, শিল্পায়িত পুঁজিবাদী দেশগুলো নব্য সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা জোরদার করে চলেছে, ব্রিকসের নেতৃত্বে এখন তৃতীয় বিশ্ব তার বিরুদ্ধে প্রায়ই সফল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
প্রধানত, এহেন প্রতিরোধের কারণেই ২০০২ সালে শুরু হওয়া ডব্লিউটিওর ‘দোহা উন্নয়ন রাউন্ডের’ আলোচনা গত ১২ বছরেও সম্পন্ন করা যায়নি, কেননা ওই আলোচনায় উন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলো নিজেদের পাতে ঝোল টেনে নেওয়ার অবস্থান ছাড়তে রাজি হচ্ছে না। তারা এখনো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে অন্যায্য চুক্তি তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার জন্য অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, আর ব্রিকসের নেতৃত্বে তাকে প্রতিরোধ করে চলেছে তৃতীয় বিশ্ব।
এই নব্য সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বব্যবস্থাকে ব্যাখ্যা করার জন্য ‘আধিপত্য-পরনির্ভরতা তাত্ত্বিক কাঠামোর’ অনুসারী অনুন্নয়নের রাজনৈতিক অর্থনীতির তত্ত্বগুলো পুঁজিবাদী কেন্দ্রসমূহ কীভাবে তৃতীয় বিশ্বের প্রান্তীয় দেশগুলো থেকে পুঁজি পাচারের নানা মেকানিজমকে ব্যবহার করে চলেছে তার বিশ্লেষণ উপস্থাপন করছে। এর ফলে আফ্রো-এশীয় ও লাতিন আমেরিকার জনগণের মধ্যে গত চার দশকে এই বিষয়টি সম্পর্কে গভীর সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বিংশ শতাব্দীর আশি ও নব্বইয়ের দশকের প্রতিবিপ্লবের জোয়ারে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপের সমাজতান্ত্রিক দাবিদার রাষ্ট্রগুলোর পতন ঘটেছে, তবু কেন্দ্র-প্রান্ত পুঁজি পাচারকে ঠেকাতে হলে নব্য সাম্রাজ্যবাদী বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থার আগ্রাসনকে যে রুখতেই হবে—এই চেতনাটুকু ক্রমেই সঞ্চারিত হচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্বের জনমানসে। তারই প্রতিফলন ঘটছে লাতিন আমেরিকার আটটি দেশে বামপন্থী রাজনৈতিক শক্তি কর্তৃক নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের ঘটনাবলিতে ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি, ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, উরুগুয়ে ও নিকারাগুয়ায় এখন বামপন্থী সরকার ক্ষমতাসীন। সমাজতান্ত্রিক কিউবায় তো ১৯৫৯ সাল থেকেই বামপন্থী সরকার টিকে রয়েছে মার্কিন অবরোধ সত্ত্বেও।
অন্যদিকে, পুঁজিবাদী বিশ্বায়নের বর্তমান পর্বে বিংশ শতাব্দীর আশির দশকের শুরু থেকেই ‘মুক্তবাজার অর্থনীতির’ ছদ্মবেশধারী বিশ্ব পুঁজিবাদী ব্যবস্থা সারা বিশ্বের একক মতাদর্শিক ব্যবস্থা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার আগ্রাসী তৎপরতাকে দিন দিন জোরদার করে চলেছে। ব্রিটেনের ‘থ্যাচারিজম’ এবং মার্কিন ‘রেগানোমিক্স’কে এই তৎপরতার দার্শনিক ভিত্তি বলে মনে করা হয়। এই প্রয়াসের অংশ হিসেবেই ১৯৭৯ সালে উইলিয়ামসন কথিত ‘ওয়াশিংটন কনসেনসাস’ প্রণীত হয়েছিল মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট (অর্থ মন্ত্রণালয়), আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে। এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমেই এগিয়ে চলেছে আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাংককে ‘মুক্তবাজার অর্থনীতি’ সারা বিশ্বের দেশে দেশে প্রচলনের মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের সাম্রাজ্যবাদী খেলা।
১৯৭৯ সালেই বাংলাদেশ এই আগ্রাসনের জালে আটকা পড়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টসে প্রতিবছর মারাত্মক ঘাটতি হতো। এ দেশের রপ্তানি–আয় দিয়ে আমদানি ব্যয়ের ৩০-৩২ শতাংশের বেশি মেটানো যেত না, যার ফলে বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর অর্থনীতির নির্ভরশীলতা ছিল মারাত্মক। একপর্যায়ে জিডিপির ১৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল ওই খয়রাত-নির্ভরতা। তাই বাধ্য হয়ে জিয়াউর রহমানের সরকারকে আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি বা ইএফএফ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য। ১৯৮০ সালে ওই ঋণ অনুমোদন করা হলেও ঋণের সঙ্গে বিরাট একটা শর্তের তালিকা ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশকে। ওই শর্তগুলো এতই কঠোর ছিল যে জিয়াউর রহমানের সরকার ওগুলো পূরণে ধীরে চলো নীতি অবলম্বন করে। ফলে, শর্ত পূরণের অপারগতার অজুহাতে ঋণের প্রথম কিস্তির ২০ মিলিয়ন ডলার ছাড় করার পর আইএমএফ রুষ্ট হয়ে বাকি ৭৮০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ বাতিল করে দিয়েছিল।
পরবর্তী সময়ে ১৯৮২ সালে এরশাদ সরকারের আমলে ওই শর্তগুলোর অনেকটাই পূরণ করা হয়েছিল। আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই এই শর্তগুলোকে ‘কাঠামোগত সংস্কার কর্মসূচি’ বা ‘স্ট্রাকচারাল অ্যাডজাস্টমেন্ট প্রোগ্রাম’ হিসেবে অভিহিত করে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক তাদের ঋণ পাওয়ার প্রায় অভিন্ন শর্তাবলিতে রূপান্তর করেছে। বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো তিন দশক ধরে এই দুটো সংস্থা থেকে যত ঋণ নিয়েছে, তার সব কটিতেই ঘুরেফিরে এই শর্তগুলো জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি অন্য উন্নয়নশীল দেশগুলোও তাদের এই জবরদস্তি থেকে রেহাই পায়নি। প্রাইভেটাইজেশন, ডিরেগুলেশন, লিবারালাইজেশন এবং গ্লোবালাইজেশন—এই চারটি ডাইমেনশনে অর্থনীতির ওপর ব্যক্তি খাতের নিয়ন্ত্রণকে যথাসম্ভব নিরঙ্কুশ করা এবং রাষ্ট্রের ভূমিকাকে ক্রমান্বয়ে সংকুচিত করার এই মতাদর্শিক জবরদস্তি তৃতীয় বিশ্বের সচেতন জনগণের মধ্যে ক্রমেই প্রতিরোধ স্পৃহা জাগ্রত করছে। থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা যেদিন তাঁর দেশ আইএমএফের ঋণমুক্ত হয়েছিল, ওই দিনটিকে ‘জাতীয় শোকরানা দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন, পালনও করা হয়েছিল। অথচ আমাদের দেশের অর্থমন্ত্রীরা তিন দশক ধরে প্রয়োজন না থাকলেও আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের তাবৎ অপমানজনক শর্তাধীন ঋণ পাওয়াকে তাঁদের বাহাদুরি হিসেবে জাহির করে চলেছেন।
এখন তো জিডিপির এক শতাংশের কাছাকাছি পর্যায়ে নেমে গেছে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ-নির্ভরতা, এখনো তারা এই অভ্যাস ছাড়তে পারছে না কেন বুঝি না! বর্তমানে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও আইএমএফ থেকে যে ঋণ গ্রহণ করেছে সরকার, তার শর্তের কারণে খোদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমে এখন হস্তক্ষেপ করছে আইএমএফ। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংককে ফেরত আনতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী দেশের অপূরণীয় ক্ষতি ও সম্মানহানি ঘটিয়েছেন।
বিশ্বব্যাংকের নিষ্ঠুর দাদাগিরির প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ পদ্মা সেতুর ওই নাটকে। ঋণ বাতিলের মাধ্যমে যেভাবে বর্তমান সরকারকে মারাত্মক রাজনৈতিক সংকটে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছিল, তা থেকে ক্ষমতাসীন জোট আজও পরিত্রাণ পেয়েছে বলে মনে করি না। যথাসম্ভব শিগগির ব্রিকস ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বাংলাদেশের যোগদান এহেন ব্ল্যাকমেলিং থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে।
মইনুল ইসলাম: প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি।
No comments