মৃত্যুপুরী গাজা অন্ধকারে
প্রাণহীন, বিদ্যুৎবিহীন, মৃত্যুপুরী গাজা
এখন অন্ধকারে। ইসরাইলি আগ্রাসনের ১৬তম দিন বুধবার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে
হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এছাড়াও কয়েকটি বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়েছে ইসরাইল।
এতে ৬ জন নিহত হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু উপত্যকায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৪৮। আহত
৪ হাজার।
এদিকে, খান ইউনিসের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার ফলে মৃত্যুপুরীতে এখন অন্ধকার। মাত্র ১০ শতাংশ গাজাবাসী এখন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন এক বিদ্যুৎকর্মী।
এদিকে, খান ইউনিসের বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলার ফলে মৃত্যুপুরীতে এখন অন্ধকার। মাত্র ১০ শতাংশ গাজাবাসী এখন বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছেন বলে জানিয়েছেন এক বিদ্যুৎকর্মী।
ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী রামি হামদাল্লাহ বলেছেন, গাজা উপত্যকার ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়টি অবশ্যই যে কোনো অস্ত্রবিরতি চুক্তির অংশ হতে হবে।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সফরকালে মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ‘অবরোধ তুলে’ নেয়ার সময় এসেছে। হামাস অস্ত্রবিরতির শর্ত হিসেবে গাজার ওপর থেকে ইসরাইল ও মিসরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের যে আহ্বান জানিয়েছিল হামদাল্লাহর বক্তব্য তার প্রতিফলন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গাজায় গত ১৫ দিন চলা যুদ্ধে ৬৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ও ৩১ ইসরাইলি নিহত হয়েছে। গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা বন্ধে সেখানে অপারেশন প্রটেকটিভ এজ শুরু করা হয়েছে বলে দাবি তেলআবিবের। গাজা উপত্যকায় মঙ্গলবার রাতেও যুদ্ধ অব্যাহত ছিল। উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৫ জন নিহত হয়েছে। এ সময় ইসরাইলি সৈন্যও নিহত হয়।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে এ অঞ্চলে অবস্থান করছেন। তারা অবিলম্বে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। এর আগে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, মিসরের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব বাতিলের জন্য হামাসকেই দায়ী থাকতে হবে। হামাস গত সপ্তাহে মিসরের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। সংগঠনের সশস্ত্র শাখা বলেছিল, প্রস্তাবে রাজি হওয়া আত্মসমর্পণের শামিল।
হামাস ও ফাতাহ সমর্থিত নতুন ঐকমত্যের সরকারের প্রধানমন্ত্রী হামদাল্লাহ বলেন, ‘আমরা দেশের মানুষের জন্য- যারা প্রতিনিয়ত ও ইসরাইলি দখলদারিত্বের শুরু থেকে গত ৪৭ বছর ধরে দখলদারিত্বের শিকার হচ্ছে তাদের জন্য ন্যায়বিচার চাই।’ তিনি বলেন, এখন আগ্রাসন বন্ধ ও অবরোধ তুরে নেয়ার সময় এসেছে।
সম্প্রতি দখলকৃত পশ্চিমতীরে তিন ইসরাইলি কিশোর ও জেরুজালেমে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে হত্যার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইসরাইলি তিন কিশোরকে হত্যার জন্য হামাসকে দায়ী করা হয়। তবে হামাস এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। এর কয়েকদিন পর পূর্ব জেরুজালেমে এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে অপহরণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহভাজন ৬ ইহুদিকে আটক করে। এরপর মূলত ইসরাইল ও হামাস পাল্টপাল্টি হামলা শুরু করে। গাজা থেকে ইসরাইলে জঙ্গিদের রকেট হামলা বন্ধে তেলআবিব কয়েকদিন ধরে ব্যাপক বিমান হামলা ও নৌঘাঁটি থেকে গোলাবর্ষণের পর বৃহস্পতিবার থেকে স্থল অভিযান শুরু করেছে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জন্য ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্বাধীন রাষ্ট্রের দাবিতে ফিলিস্তিনিরা সংগ্রাম শুরু করে। এর পর থেকে নিয়মিত রক্ত ঝরলেও আজও তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। এএফপি।
No comments