ভোটার টানতে মোদির নতুন মন্ত্র এক ভোট এক নোট
ক্ষমতায় যেতে আসন সংখ্যা বাড়াতে ঘরে ঘরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদির নামে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। দলটির দাবি এভাবেই নাকি মোদির সঙ্গে সাধারণ ভোটারদের একাত্মতা বাড়বে। ‘এক ভোট এক নোট’ নামে মোদির এই নতুন প্রচারণা মন্ত্রের কর্মসূচি শিগগিরই শুরু হবে ভারতজুড়ে। অনেকদিন ধরেই লক্ষ্য সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনের বেশি আসন পাওয়া। মঙ্গলবার বিজেপির নেতাদের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেন মোদি। সেখানে তিনি জানান, লোকসভা নির্বাচনে ২৭২টির বেশি আসন পাওয়া সম্ভব। গত পাঁচ বছরে তরুণ প্রন্মের ১২ কোটি ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মোদির গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে। যদি বুথ স্তরে কর্মীরা গিয়ে এইসব ভোটারকে উজ্জীবিত করতে পারে, তাহলে অনায়াসেই বিজেপি ২৭২টির বেশি আসন দখল করতে পারে। এই লক্ষ্যে এগোনোর জন্য মোদির দাওয়াই মূলত দুটি। এক, গোটা জানুয়ারি মাসে বুথে বুথে গিয়ে নতুন ভোটারদের খুঁজে বের করে তাদের নাম ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত করা।
দুই, কর্মীদের সঙ্গে ভোটারদের নিয়মিত যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এই প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করার জন্য মোদি এক অভিনব কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। যার নাম ভোট ও নোট। অর্থাৎ, ঘরে ঘরে গিয়ে প্রতি পরিবারের কাছ থেকে কমপক্ষে দশ টাকা ও সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হবে। পরবর্তীতে তা মোদির ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১০ কোটি পরিবারের মধ্যে এ অর্থ বণ্টন করা হবে। এর উদ্দেশ্য বহুবিধ। একদিকে দলের তহবিল তৈরি হবে। কিন্তু তার থেকেও বড় কথা, এই অর্থ চাওয়া হবে মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য। ‘মোদি ফর পিএম’ স্লোগান নিয়ে এই অর্থ চাওয়া হবে। যিনি অনুদান দেবেন, তার মনেও মোদির প্রতি আকর্ষণ তৈরি হবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ঘরে ঘরে যেতেও বাধ্য হবেন দলের কর্মীরা। এক সময় জনসংঘ এভাবে ‘ঘর ঘর যাও’ অভিযান করতো। এখন মোদিও সেই কৌশল গ্রহণ করলেন। দলের নেতারা জানাচ্ছেন, কংগ্রেস ও আঞ্চলিক দলগুলোতো আছেই। তার ওপর দিল্লিতে আম-আদমি পার্টির যে উত্থান হয়েছে, সেটিও ভাবাচ্ছে বিজেপিকে। কারণ, কংগ্রেস সরকারের প্রতি মানুষের ক্ষোভকে পুঁজি করেই অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের উত্থান ঘটেছে। লোকসভায় সেই পরিসরটি গোটা দেশে দখল করতে চান মোদি। বিজেপির এক নেতার মতে, আর যা-ই হোক, আম-আদমি পার্টির সেই ক্যাডার নেই, যার ভিত্তিতে গোটা দেশে তারা প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু বিজেপির তো তা আছে।
No comments