বড়দিনে বিশ্বজুড়ে শান্তির প্রার্থনা করলেন পোপ
মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাপ্তি প্রার্থনা করেছেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস। বুধবার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ উৎসব বড়দিন উপলক্ষে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে দেয়া ভাষণে এই কামনা করেন তিনি। ইউরোপ অঞ্চল থেকে পোপ নির্বাচিত হওয়ার ধারা ভেঙে লাতিন আমেরিকা থেকে পোপ নির্বাচিত হওয়া এই আর্জেন্টাইন ধর্মযাজক ভ্যাটিকানে পোপের দায়িত্বগ্রহণের পর এই প্রথম বড়দিনের শুভেচ্ছা ভাষণ দিলেন। ভাষণে বিধ্বস্ত সিরিয়ার নিপীড়িত ও অবহেলিত মানুষের জন্য সহায়তা তহবিল বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বড়দিনের পোপের শুভেচ্ছা ভাষণ শুনতে বুধবার সকাল থেকেই সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে জড়ো হন লাখ লাখ ধর্মানুরাগী। গত বছরের বড়দিন উৎসবে সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ভাষণ দিয়েছিলেন অব্যাহতি নেয়া পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। সেবার বিশ্বের শান্তি কামনার পাশাপাশি সিরিয়া সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান কামনা করেন পোপ বেনেডিক্ট।
উল্লেখ, ধর্মগুরু যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিবসটি ঘটা করে উদযাপন করে থাকে সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা। এদিকে বড়দিন উদযাপনে বাইবেলীয় শহর বেথেলহেম পরিণত হয়েছিল উৎসবের নগরীতে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা পর্যটকরা মঙ্গলবার থেকেই ভিড় জমিয়েছেন বেথেলহেমের মানজার চত্বরে। এই স্থানটিতেই যিশুর জন্মস্থান বলে খ্রিস্টান ধর্মবলম্বীদের বিশ্বাস। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তি আলোচনার পথ ধরে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের দ্বন্দ্ব অনেকটা কমে আসায় বেথেলহেমে দর্শণার্থীর সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমশ বাড়ছে। ইসরাইল নিরাপত্তার অজুহাতে জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন সীমান্ত বরাবর কংক্রিটের দেয়াল খাড়া করলেও বড়দিন উপলক্ষে তিনটি গেট খুলে দিয়েছে। জেরুজালেম থেকে আসা রোমান ক্যাথলিক যাজকরা যেন যিশুর জন্মশহরে প্রবেশের সুযোগ পান, সেজন্যই এ ব্যবস্থা। বেথেলহেমে এসে ‘পুণ্যভূমি’র সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধান যাজক ফুয়াদ তাবাল বলেছেন, ‘বড়দিনের বার্তা হচ্ছে শান্তি, ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা। আমাদের একে অপরের ভাই হতে হবে।’ বেথেলহেমের সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে চলার সময় দর্শণার্থীদের শুভেচ্ছা গ্রহণের জন্য তার মোটরগাড়ির বহর অত্যন্ত ধীরে ধীরে নেটিভিটি গির্জার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। নেটিভিটি গির্জায় মধ্যরাতের সমাবেশ ও প্রার্থনা শুরু হওয়ার আগে গির্জাটির গেট থেকে স্বল্প দূরত্বে পৌঁছতে প্রধান যাজকের প্রায় ৯০ মিনিট লেগে যায়। এ সময় হাজার হাজার মানুষ স্থানটিতে জড়ো হয়েছিল।
উল্লেখ, ধর্মগুরু যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই দিবসটি ঘটা করে উদযাপন করে থাকে সারা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা। এদিকে বড়দিন উদযাপনে বাইবেলীয় শহর বেথেলহেম পরিণত হয়েছিল উৎসবের নগরীতে। বিশ্বের নানা দেশ থেকে আসা পর্যটকরা মঙ্গলবার থেকেই ভিড় জমিয়েছেন বেথেলহেমের মানজার চত্বরে। এই স্থানটিতেই যিশুর জন্মস্থান বলে খ্রিস্টান ধর্মবলম্বীদের বিশ্বাস। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তি আলোচনার পথ ধরে ফিলিস্তিন-ইসরাইলের দ্বন্দ্ব অনেকটা কমে আসায় বেথেলহেমে দর্শণার্থীর সংখ্যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমশ বাড়ছে। ইসরাইল নিরাপত্তার অজুহাতে জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিন সীমান্ত বরাবর কংক্রিটের দেয়াল খাড়া করলেও বড়দিন উপলক্ষে তিনটি গেট খুলে দিয়েছে। জেরুজালেম থেকে আসা রোমান ক্যাথলিক যাজকরা যেন যিশুর জন্মশহরে প্রবেশের সুযোগ পান, সেজন্যই এ ব্যবস্থা। বেথেলহেমে এসে ‘পুণ্যভূমি’র সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রধান যাজক ফুয়াদ তাবাল বলেছেন, ‘বড়দিনের বার্তা হচ্ছে শান্তি, ভালবাসা ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা। আমাদের একে অপরের ভাই হতে হবে।’ বেথেলহেমের সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে চলার সময় দর্শণার্থীদের শুভেচ্ছা গ্রহণের জন্য তার মোটরগাড়ির বহর অত্যন্ত ধীরে ধীরে নেটিভিটি গির্জার দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। নেটিভিটি গির্জায় মধ্যরাতের সমাবেশ ও প্রার্থনা শুরু হওয়ার আগে গির্জাটির গেট থেকে স্বল্প দূরত্বে পৌঁছতে প্রধান যাজকের প্রায় ৯০ মিনিট লেগে যায়। এ সময় হাজার হাজার মানুষ স্থানটিতে জড়ো হয়েছিল।
No comments