হানাহানির রাজনীতির বিরুদ্ধেও শক্তিশালী বার্তা- বিশ্বজিৎ হত্যার বিচারের রায়
বিশ্বজিৎ দাসের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মানুষের নিরাপত্তা বোধের অসহায়ত্বই প্রকট হয়ে উঠেছিল। অবশেষে বিশ্বজিতের হত্যাকারীদের বিচারের রায় ঘোষিত হওয়ায় হত্যার বিরুদ্ধে ন্যায়ের জয় ঘোষিত হয়েছে।
রায়ে আদালত যথার্থই বলেছেন, ‘এটা (হত্যা) মানবতা ও নৈতিকতার কোনো স্তরেই পড়ে না। নিরপরাধ মানুষের প্রাণহানি ও অহেতুক রক্তপাত সমর্থনযোগ্য নয়।’ বাংলাদেশে জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে হানাহানির সংস্কৃতির বিরুদ্ধে একে বার্তা হিসেবেও পাঠ করা যায়।হত্যা মামালার রায় শুনতে আদালতে বিশ্বজিতের সহোদর । ছবি-শাহীন কাওসার, মানবজমিন।
এই রায়ের মাধ্যমে আসামিরা শাস্তি পেয়েছেন, বিশ্বজিতের পরিবার ও ন্যায়প্রত্যাশী দেশবাসী সান্ত্বনা পেয়েছে। বিশ্বজিতের মা গ্রেপ্তার না হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। আসামিপক্ষ নিশ্চিতভাবে উচ্চ আদালতে আপিল করবে। ইতিমধ্যে আদালত প্রাঙ্গণেই আসামিদের কেউ কেউ ‘কিছু হইব না’ বলে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছেন। তবে কি এখনো তাঁরা কারও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া পাচ্ছেন? পাশাপাশি এ কথাও আসবে, বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেন ছাড় পাবে?
আপিল নিষ্পত্তির পর আসবে রায় কার্যকর করার প্রশ্ন। তার আগে অন্তত এটুকু বলা যায়, এই রায় রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধেও শক্ত হুঁশিয়ারি। এর আলোকে নারায়ণগঞ্জের কিশোর ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের আশু বিচারও প্রত্যাশিত। বিচারাধীন এবং বিচারের প্রক্রিয়া থেকে দায়মুক্তি পাওয়া নৃশংস খুনিদেরও অনুরূপভাবে দণ্ডিত হওয়া দরকার। নইলে চুনোপুঁটিদের শাস্তি হয়, রাঘববোয়ালেরা রেহাই পান; এমন ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।
একটি খুনের মামলায় আটজনের ফাঁসি ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড আলোড়ন সৃষ্টিকারী দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে সরকার-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় বিচার হওয়া ইতিবাচক ঘটনা। তবে অন্য সব হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের বেলায়ও সরকার একই রকম সহায়ক থাকে, তবেই বলা যাবে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জীবনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
আদালত তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, বিশ্বজিতের খুনিরা খুনি হয়ে জন্মাননি। এই সমাজ ও রাজনীতি তাঁদের তৈরি করেছে। তাঁরা সহিংস রাজনীতিরও হাতিয়ার। হাতিয়ারের বিচার হলেও, তাঁদের ব্যবহারকারী হাতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত হত্যার রাজনীতি বন্ধের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করি।
এই রায়ের মাধ্যমে আসামিরা শাস্তি পেয়েছেন, বিশ্বজিতের পরিবার ও ন্যায়প্রত্যাশী দেশবাসী সান্ত্বনা পেয়েছে। বিশ্বজিতের মা গ্রেপ্তার না হওয়া আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানিয়েছেন। আসামিপক্ষ নিশ্চিতভাবে উচ্চ আদালতে আপিল করবে। ইতিমধ্যে আদালত প্রাঙ্গণেই আসামিদের কেউ কেউ ‘কিছু হইব না’ বলে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেছেন। তবে কি এখনো তাঁরা কারও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়া পাচ্ছেন? পাশাপাশি এ কথাও আসবে, বিশ্বজিতের হত্যাকাণ্ডের সময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা কেন ছাড় পাবে?
আপিল নিষ্পত্তির পর আসবে রায় কার্যকর করার প্রশ্ন। তার আগে অন্তত এটুকু বলা যায়, এই রায় রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধেও শক্ত হুঁশিয়ারি। এর আলোকে নারায়ণগঞ্জের কিশোর ত্বকীসহ সব হত্যাকাণ্ডের আশু বিচারও প্রত্যাশিত। বিচারাধীন এবং বিচারের প্রক্রিয়া থেকে দায়মুক্তি পাওয়া নৃশংস খুনিদেরও অনুরূপভাবে দণ্ডিত হওয়া দরকার। নইলে চুনোপুঁটিদের শাস্তি হয়, রাঘববোয়ালেরা রেহাই পান; এমন ধারণা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।
একটি খুনের মামলায় আটজনের ফাঁসি ও ১৩ জনের যাবজ্জীবন দণ্ড আলোড়ন সৃষ্টিকারী দৃষ্টান্ত। বিশেষ করে সরকার-সমর্থিত ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের ক্ষমতাসীন থাকা অবস্থায় বিচার হওয়া ইতিবাচক ঘটনা। তবে অন্য সব হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচারের বেলায়ও সরকার একই রকম সহায়ক থাকে, তবেই বলা যাবে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে জীবনের পক্ষে দাঁড়িয়েছে।
আদালত তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, বিশ্বজিতের খুনিরা খুনি হয়ে জন্মাননি। এই সমাজ ও রাজনীতি তাঁদের তৈরি করেছে। তাঁরা সহিংস রাজনীতিরও হাতিয়ার। হাতিয়ারের বিচার হলেও, তাঁদের ব্যবহারকারী হাতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত হত্যার রাজনীতি বন্ধের সম্ভাবনা ক্ষীণ বলেই মনে করি।
No comments