মাছের আড়তে কাজ করেন জজ মিয়া by রহমত উল্যাহ
আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। এ ষড়যন্ত্রের কারণে
সামাজিক মর্যাদা হারিয়ে ফেলেছি। জীবনটা দুঃসহ মনে হয়। নামের কারণে আমাকে
এত মাসুল দিতে হবে জানলে নামটা পাল্টে ফেলতাম। চার বছর দু’মাস ১৭ দিনের
(১৫৩৮ দিন) স্মৃতি আমাকে কুরেঁ কুঁরে খাচ্ছে।
যে মিডিয়া
আমার জীবন বাঁচালো সেই মিডিয়াকেও আমি এড়িয়ে চলি। হাজতবাস করার পরও নানাভাবে
হুমকির কারণে বর্তমানে আমার ও পরিবারের জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।
ভিটে মাটি সব হারালাম। অর্থ কষ্টে বিয়ে করতে পারিনি, একমাত্র বোনকেও বিয়ে দিতে পারিনি। মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সব সময় হুমকি আর জীবন হারানোর ভয়ে পালিয়ে থাকি।
কথাগুলো ভয় আর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার জোট সরকারের সাজানো নাটকের বলি জালাল আহম্মদ ওরফে জজ মিয়া।
এদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় জোট সরকার গ্রেফতার করে তাকে।
জজ মিয়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোর্ট গ্রামের টেণ্ডলবাড়ির মৃত আবদুর রশিদ ও জোবেদা খাতুনের ছেলে।
তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে জজ মিয়া দ্বিতীয়। বড় দু’ ভাই আলাদা থাকলেও ছোট ভাই, বোন ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকেন তিনি। ছোট ভাই বাবু ঢাকায় মাছের ব্যবসা করেন।
জজ মিয়া বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে শেষ সম্বল পৈত্রিক ভিটে বিক্রি করেছেন মা। প্রাণনাশের হুমকিতে ছোট একটি চাকরি করতাম তাও ছেড়ে দিয়েছি। এখন মাছের আড়তে কাজ করি।
গত চারবছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে এসেছি। আমার চিন্তায় মা প্রায় মৃত্যুশয্যায়। ঘটনা ফাঁস করানোর জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনার পর আত্মীয়, বন্ধু কেউ খোঁজ নেয় না। দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে উঠি।’
এ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছেলের মামলার খরচ জোগাতে গিয়ে ভিটে মাটি বিক্রি করে সব হারালাম। জজ মিয়া একটি টেলিভিশনে চাকরি করতো। কিন্তু একের পর এক হুমকির কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন মাছের ব্যবসা করে। একমাত্র মেয়েকে (খুরশিদা বেগম) বিয়ে দিতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের দোসররা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। ছেলেটার কিছু হলে আমাদের ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। সহজ সরল ছেলেটাকে যারা ফাঁসিয়েছে তাদের কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি।’
জোবেদা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সিআইডির কর্মকর্তারা মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমার ছেলে ও পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।’
নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্টকারীদের বিচার হবে কিনা তা নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে আমার ছেলের আজ এ অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী যদি আমার পরিবারের জন্য কিছু করেন কৃতজ্ঞ থাকবো।’
পাশাপাশি সরকার পরিবর্তন হলে ছেলেসহ পরিবারের কারো যেন কোনো ক্ষতি না হয় এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চান তিনি।
সেনবাগ কেশারপাড় ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাজানো নাটকে পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেল। সবশেষ বাপের ভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। জজ মিয়া লজ্জায় এলাকায় আসা ছেড়ে দিয়েছেন।’
পরিবারটিকে সহায়তা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনিও।
জানা গেছে, জজ মিয়ার বাবা আবদুর রশিদ ১৩ বছর আগে মারা যান। সামান্য পুঁজি নিয়ে ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সেনবাগের কানকিরহাটে টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার খবর দেখেছিলেন জজ মিয়া। এর প্রায় সাড়ে ৯ মাস পর ২০০৫ সালের ৯ জুন সেনবাগের এক বিএনপি নেতার নির্দেশে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে।
সিআইডির নির্দেশে তৎকালীন সেনবাগ থানা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কবির হোসেন বীরকোট রাজা মিয়ার দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
পরে থানা থেকে সিআইডি’র এএসপি আবদুর রশিদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এর কয়েকদিন পর জজ মিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আরো জানা গেছে, জজ মিয়াকে গ্রেফতার করার পর তার মাকে এএসপি আবদুর রশিদ খবর দিয়ে ঢাকায় আনেন। তাকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ছয় মাস টাকা দেওয়ার পর বন্ধ করে দেয়। জজ মিয়া সাক্ষ্য দিলে কিছুদিন পর তাকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে বলা হয় তাকে। পর্যায়ক্রমে তার পরিবারের সব সদস্যকে বিদেশ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করে।
নইলে জজ মিয়াসহ পরিবারের সব সদস্যকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। জজ মিয়ার বোন খুরশিদা বেগম ভুলে সংবাদকর্মীদের কাছে তথ্য ফাঁস করার পর সারাদেশ কেঁপে ওঠে। ফাঁস হয়ে যায় সিআইডিকে দিয়ে জোট সরকারের ‘জজ মিয়া’ নাটক। ঘটনা মোড় নিতে থাকে।
২০০৮ সালের ১১জুন সিআইডি ২২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিলেও অব্যাহতি দেওয়া হয় জজ মিয়াকে। জজ মিয়াকে সূত্রাপুর বিস্ফোরক একটি আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ মামলায় ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। গণমাধ্যম ও তৎকালীন সরকারের চাপে বিস্ফোরক মামলায় জজ মিয়া জড়িত বলে আটক রাখা হয়েছে বলে সিআইডি থেকে বলা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তদন্তের পর জোট সরকারের জজ মিয়া নাটকের ঘটনা উন্মোচিত হয়।
গ্রেফতার করা হয় নাটকের মূল নায়ক জোট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সিআইডির তিন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি আবদুর রশিদ, এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান ও বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে।
গ্রেনেড হামলায় ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত করা হয় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। বর্তমানে ৪ জনই কারাগারে। সিআইডি’র দেওয়া চার্জশিট পুনরায় তদন্ত শেষে জজ মিয়াকে বাদ দেওয়া হয়।
৪ বছর ২ মাস ১৭ দিন কারাবাসের পর ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জজ মিয়া। ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি বীরকোট গ্রামে বাবার কবর জিয়ারত ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে যান।
কিন্তু পৈত্রিক ভিটে-মাটি বিক্রির কারণে এক আত্মীয়ের ঘরে ওঠেন। মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সমাজে হেয় হওয়ায় তিনি আর কখনো এলাকায় যাননি। ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারটি সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন একটু সহায়তার জন্য।
ভিটে মাটি সব হারালাম। অর্থ কষ্টে বিয়ে করতে পারিনি, একমাত্র বোনকেও বিয়ে দিতে পারিনি। মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সব সময় হুমকি আর জীবন হারানোর ভয়ে পালিয়ে থাকি।
কথাগুলো ভয় আর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট খালেদা জিয়ার জোট সরকারের সাজানো নাটকের বলি জালাল আহম্মদ ওরফে জজ মিয়া।
এদিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় জোট সরকার গ্রেফতার করে তাকে।
জজ মিয়া নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোর্ট গ্রামের টেণ্ডলবাড়ির মৃত আবদুর রশিদ ও জোবেদা খাতুনের ছেলে।
তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে জজ মিয়া দ্বিতীয়। বড় দু’ ভাই আলাদা থাকলেও ছোট ভাই, বোন ও বৃদ্ধ মাকে নিয়ে থাকেন তিনি। ছোট ভাই বাবু ঢাকায় মাছের ব্যবসা করেন।
জজ মিয়া বলেন, ‘আমাকে বাঁচাতে শেষ সম্বল পৈত্রিক ভিটে বিক্রি করেছেন মা। প্রাণনাশের হুমকিতে ছোট একটি চাকরি করতাম তাও ছেড়ে দিয়েছি। এখন মাছের আড়তে কাজ করি।
গত চারবছর ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে এসেছি। আমার চিন্তায় মা প্রায় মৃত্যুশয্যায়। ঘটনা ফাঁস করানোর জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে।’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ ঘটনার পর আত্মীয়, বন্ধু কেউ খোঁজ নেয় না। দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো আঁতকে উঠি।’
এ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জজ মিয়ার মা জোবেদা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘ছেলের মামলার খরচ জোগাতে গিয়ে ভিটে মাটি বিক্রি করে সব হারালাম। জজ মিয়া একটি টেলিভিশনে চাকরি করতো। কিন্তু একের পর এক হুমকির কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখন মাছের ব্যবসা করে। একমাত্র মেয়েকে (খুরশিদা বেগম) বিয়ে দিতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘আটককৃতদের দোসররা বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। ছেলেটার কিছু হলে আমাদের ভিক্ষা করা ছাড়া উপায় থাকবে না। সহজ সরল ছেলেটাকে যারা ফাঁসিয়েছে তাদের কঠোর বিচার দাবি করেন তিনি।’
জোবেদা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সিআইডির কর্মকর্তারা মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে আমার ছেলে ও পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।’
নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্টকারীদের বিচার হবে কিনা তা নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ করার কারণে আমার ছেলের আজ এ অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী যদি আমার পরিবারের জন্য কিছু করেন কৃতজ্ঞ থাকবো।’
পাশাপাশি সরকার পরিবর্তন হলে ছেলেসহ পরিবারের কারো যেন কোনো ক্ষতি না হয় এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চান তিনি।
সেনবাগ কেশারপাড় ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন পাটোয়ারী বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাজানো নাটকে পুরো পরিবার শেষ হয়ে গেল। সবশেষ বাপের ভিটা পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে। জজ মিয়া লজ্জায় এলাকায় আসা ছেড়ে দিয়েছেন।’
পরিবারটিকে সহায়তা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনিও।
জানা গেছে, জজ মিয়ার বাবা আবদুর রশিদ ১৩ বছর আগে মারা যান। সামান্য পুঁজি নিয়ে ঢাকায় ফলের ব্যবসা করতেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট সেনবাগের কানকিরহাটে টেলিভিশনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার খবর দেখেছিলেন জজ মিয়া। এর প্রায় সাড়ে ৯ মাস পর ২০০৫ সালের ৯ জুন সেনবাগের এক বিএনপি নেতার নির্দেশে সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে।
সিআইডির নির্দেশে তৎকালীন সেনবাগ থানা সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কবির হোসেন বীরকোট রাজা মিয়ার দোকান থেকে তাকে গ্রেফতার করেন।
পরে থানা থেকে সিআইডি’র এএসপি আবদুর রশিদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। এর কয়েকদিন পর জজ মিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িত বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
আরো জানা গেছে, জজ মিয়াকে গ্রেফতার করার পর তার মাকে এএসপি আবদুর রশিদ খবর দিয়ে ঢাকায় আনেন। তাকে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ছয় মাস টাকা দেওয়ার পর বন্ধ করে দেয়। জজ মিয়া সাক্ষ্য দিলে কিছুদিন পর তাকে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে বলা হয় তাকে। পর্যায়ক্রমে তার পরিবারের সব সদস্যকে বিদেশ পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করে।
নইলে জজ মিয়াসহ পরিবারের সব সদস্যকে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। জজ মিয়ার বোন খুরশিদা বেগম ভুলে সংবাদকর্মীদের কাছে তথ্য ফাঁস করার পর সারাদেশ কেঁপে ওঠে। ফাঁস হয়ে যায় সিআইডিকে দিয়ে জোট সরকারের ‘জজ মিয়া’ নাটক। ঘটনা মোড় নিতে থাকে।
২০০৮ সালের ১১জুন সিআইডি ২২ জনকে আসামি করে চার্জশিট দিলেও অব্যাহতি দেওয়া হয় জজ মিয়াকে। জজ মিয়াকে সূত্রাপুর বিস্ফোরক একটি আইনে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ মামলায় ২০০৫ সালের ২ নভেম্বর ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। গণমাধ্যম ও তৎকালীন সরকারের চাপে বিস্ফোরক মামলায় জজ মিয়া জড়িত বলে আটক রাখা হয়েছে বলে সিআইডি থেকে বলা হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তদন্তের পর জোট সরকারের জজ মিয়া নাটকের ঘটনা উন্মোচিত হয়।
গ্রেফতার করা হয় নাটকের মূল নায়ক জোট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট সিআইডির তিন তদন্ত কর্মকর্তা এএসপি আবদুর রশিদ, এএসপি মুন্সী আতিকুর রহমান ও বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনকে।
গ্রেনেড হামলায় ওই তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত করা হয় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে। বর্তমানে ৪ জনই কারাগারে। সিআইডি’র দেওয়া চার্জশিট পুনরায় তদন্ত শেষে জজ মিয়াকে বাদ দেওয়া হয়।
৪ বছর ২ মাস ১৭ দিন কারাবাসের পর ২০০৯ সালের ২৬ জুলাই কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান জজ মিয়া। ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি বীরকোট গ্রামে বাবার কবর জিয়ারত ও আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে গ্রামে যান।
কিন্তু পৈত্রিক ভিটে-মাটি বিক্রির কারণে এক আত্মীয়ের ঘরে ওঠেন। মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেও সমাজে হেয় হওয়ায় তিনি আর কখনো এলাকায় যাননি। ক্ষতিগ্রস্ত এ পরিবারটি সরকারের দিকে তাকিয়ে আছেন একটু সহায়তার জন্য।
No comments