স্নোডেনের নথি ধ্বংস করতে বাধ্য করে ব্রিটিশ সরকার
এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করা গোপন মার্কিন নথিগুলো ধ্বংস করতে দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বাধ্য করেছে ব্রিটিশ সরকার। অন্যথায় ওই নথি প্রকাশের দায়ে মামলার হুমকি দেওয়া হয়। পত্রিকাটির সম্পাদক গতকাল মঙ্গলবার এই দাবি করেছেন। গার্ডিয়ান সম্পাদক অ্যালান রাসব্রিজার তাঁর গতকালের পত্রিকায় লেখেন, তাঁর সঙ্গে ‘খুবই জ্যেষ্ঠ একজন সরকারি কর্মকর্তা’ যোগাযোগ করেন। ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, তিনি ‘প্রধানমন্ত্রীর মতামতের প্রতিনিধিত্ব’ করছেন। এরপর দুটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ওই সরকারি কর্মকর্তা দাবি করেন, গার্ডিয়ান যেসব নথি নিয়ে কাজ করছে, তার সবগুলো হয় ফেরত দিতে হবে না হয় ধ্বংস করে ফেলতে হবে। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) ও ব্রিটিশ সংস্থা জিসিএইচকিউয়ের নজরদারি কর্মসূচিসংক্রান্ত বেশ কয়েক হাজার নথি গার্ডিয়ানকে দিয়েছিলেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএর সাবেক কর্মী এডওয়ার্ড স্নোডেন। নিবন্ধেগার্ডিয়ান সম্পাদক রাসব্রিজার দাবি করেন, সরকারি কর্তৃপক্ষ তাঁকে বলে: ‘আপনারা যথেষ্ট মজা নিয়েছেন। এখন ওই নথিগুলো আমরা ফেরত চাই।’
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাস দমন আইনেগার্ডিয়ান-এর একজন সাংবাদিকের সঙ্গীকে রোববার প্রায় নয় ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনার পর সম্পাদক রাসব্রিজারের ওই নিবন্ধ এল। ডেভিড মিরান্ডা নামের ওই ব্রাজিলীয় নাগরিকের সঙ্গী মার্কিন সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড গোপন নজরদারির ওই কার্যক্রম ফাঁস করতে স্নোডেনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। চাপের মুখে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ: ডেভিড মিরান্ডা রোববার জার্মানির বার্লিন থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর হয়ে রিও ডি জেনিরোতে ফিরছিলেন। এ সময় হিথ্রো বিমানবন্দরে তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নয় ঘণ্টা আটকে রাখে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রাজিল তার নাগরিককে কয়েক ঘণ্টা কার্যত ‘নির্জন কারাগারে অন্তরীণ’ করে রাখার বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মিরান্ডা ‘স্পষ্টতই পরোয়ানাবহির্ভূত প্রতিশোধপরায়ণ কৌশলের একজন শিকার’। আর সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বলেছে, মিরান্ডার আটকের ঘটনায় সংগঠনটি ‘ক্ষুব্ধ’। যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ মিরান্ডাকে আটক করে বলে অভিযোগ উঠলেও হোয়াইট হাউসের উপ মুখপাত্র জেসি আর্নস্ট তা নাকচ করে দিয়েছেন। এএফপি।
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাস দমন আইনেগার্ডিয়ান-এর একজন সাংবাদিকের সঙ্গীকে রোববার প্রায় নয় ঘণ্টা আটকে রাখার ঘটনার পর সম্পাদক রাসব্রিজারের ওই নিবন্ধ এল। ডেভিড মিরান্ডা নামের ওই ব্রাজিলীয় নাগরিকের সঙ্গী মার্কিন সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়াল্ড গোপন নজরদারির ওই কার্যক্রম ফাঁস করতে স্নোডেনের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। চাপের মুখে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ: ডেভিড মিরান্ডা রোববার জার্মানির বার্লিন থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর হয়ে রিও ডি জেনিরোতে ফিরছিলেন। এ সময় হিথ্রো বিমানবন্দরে তাঁকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নয় ঘণ্টা আটকে রাখে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাপের মুখে পড়েছে যুক্তরাজ্য। ব্রাজিল তার নাগরিককে কয়েক ঘণ্টা কার্যত ‘নির্জন কারাগারে অন্তরীণ’ করে রাখার বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, মিরান্ডা ‘স্পষ্টতই পরোয়ানাবহির্ভূত প্রতিশোধপরায়ণ কৌশলের একজন শিকার’। আর সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস বলেছে, মিরান্ডার আটকের ঘটনায় সংগঠনটি ‘ক্ষুব্ধ’। যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ মিরান্ডাকে আটক করে বলে অভিযোগ উঠলেও হোয়াইট হাউসের উপ মুখপাত্র জেসি আর্নস্ট তা নাকচ করে দিয়েছেন। এএফপি।
No comments