উপদেষ্টাদের সময় কাটছে যেভাবে- by দীন ইসলাম
নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সরকারের
উপদেষ্টারা। কেউ লিখছেন বই। কেউ-বা আগামী নির্বাচনে মহাজোট সমর্থিত
প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে
বাসায়ই রয়েছেন। দু-এক জন উপদেষ্টা রয়েছেন কূটনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্ক
উন্নয়নে ব্যস্ত। সরকারি কাজে সময় দিচ্ছেন খুবই কম। অনেকে অফিস করা বাদ
দিয়েছেন। তাদের পিএস ও এপিএসরাও আছেন বেশ আয়েশে। বস না থাকায় ব্যক্তিগত
নানা কাজে তারাও ব্যস্ত। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান
প্রধানমন্ত্রীর রয়েছে সাত জন উপদেষ্টা। তারা হলেন- এইচ টি ইমাম (জনপ্রশাসন
বিষয়ক), ড. মসিউর রহমান (অর্থনৈতিক), ডা. মোদাচ্ছের আলী (স্বাস্থ্য ও
পরিবারকল্যাণ এবং সমাজকল্যাণ), ড. আলাউদ্দিন আহমেদ (শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন
ও রাজনীতি), ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), ড. গওহর রিজভী
(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক) এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক
(প্রতিরক্ষা)। প্রথম ছয়জন মন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন ও সর্বশেষ জন
প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদার। এক হিসাবে জানা গেছে, বেতন-ভাতা এবং আনুষঙ্গিক
সুযোগ-সুবিধা বাবদ গত সাড়ে চার বছরের হিসাবে সাত উপদেষ্টার পেছনে সরকারের
ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৭৮ হাজার ২০০ টাকা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এতদিন
সরকারের প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন, লোকবল নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি ও
চাকরিচ্যুতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি, বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগসহ
সব কাজেই তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যেতো। এখন যেন তাদের আতশি কাঁচ দিয়ে
খুঁজে ফিরতে হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু ইস্যুতে বেশ বড় ধরনের বিতর্কে জড়িত ছিলেন উপদেষ্টা মসিউর রহমান। এক সময় তাকে উপদেষ্টার পদসহ সব ধরনের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এখন যেন সময় বদলে গেছে। খুলনার একটি আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্য তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার আসনটিতে বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। গেল জুনে নতুন করে বিতর্কে জড়ান উপদেষ্টা মসিউর রহমান। খুলনা-মংলা মহাসড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে রেলপথ নির্মাণের রুট নিয়ে আপত্তি জানান তিনি। প্রস্তাব করেন, রেলপথটি ফুলতলা থেকে শুরু করে তার বাড়ি দীঘলিয়া হয়ে ভৈরব নদ, আত্রাই ও আঠারোবেকী নদীর উপর দিয়ে রূপসা ও রামপাল হয়ে মংলাবন্দরে নিয়ে যাওয়ার। এতে আটকে যায় এ প্রকল্পের কাজ। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান। নির্বাচনে প্রার্থী হবেন এ চিন্তায় রেললাইনটি তার মতো করার চিন্তা করেছিলেন উপদেষ্টা মসিউর। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হেরে যান। জয়ী হন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। এখনও উপদেষ্টা মসিউর রহমান সরকারি কাজ ফেলে সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকায় সময় দিচ্ছেন। এলাকাবাসীকে জানান দিচ্ছেন, আগামীতে মহাজোটের একমাত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী তিনি। ওদিকে জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বইলেখায় এখন বেশ ব্যস্ত। এ জন্য বাসা থেকে খুব বেশি দরকার না পড়লে বের হচ্ছেন না। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এ উপদেষ্টা প্রবাসী মেয়ে ও নাতনিদের নিয়ে এখন শ্রীলঙ্কা সফরে রয়েছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগের মতো সরকারি কাজে সময় দিচ্ছেন না এ উপদেষ্টা। এ জন্য দলীয় বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কাজে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আগে দেখা যেতো নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে তার একচ্ছত্র ক্ষমতা। এখন যেন এসব কাজ অনেকটা এড়িয়ে চলতে চাইছেন। অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে আলাউদ্দিন আহমেদ মাসের বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকছেন। তাই বাসায়ই কাটছে তার সময়। অন্যদের মধ্যে জ্বালানি উপদেষ্টা আর আগের মতো তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। নিজেকে যেন অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী, আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এখনও বেশ সক্রিয় সরকারি কাজে। ওদিকে ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এসব প্রশাসক উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারাই চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়ম ছিল প্রশাসক নিয়োগের তিন মাসের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন হওয়ার কোন নাম-গন্ধ নেই। তাই অনির্বাচিত জেলা পরিষদের প্রশাসকরা খবরদারি করে চলেছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে চালাচ্ছেন দলীয় প্রচার প্রপাগান্ডা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু ইস্যুতে বেশ বড় ধরনের বিতর্কে জড়িত ছিলেন উপদেষ্টা মসিউর রহমান। এক সময় তাকে উপদেষ্টার পদসহ সব ধরনের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এখন যেন সময় বদলে গেছে। খুলনার একটি আসন থেকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্য তার শ্বশুরবাড়ি এলাকার আসনটিতে বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। গেল জুনে নতুন করে বিতর্কে জড়ান উপদেষ্টা মসিউর রহমান। খুলনা-মংলা মহাসড়কের পশ্চিম পাশ দিয়ে রেলপথ নির্মাণের রুট নিয়ে আপত্তি জানান তিনি। প্রস্তাব করেন, রেলপথটি ফুলতলা থেকে শুরু করে তার বাড়ি দীঘলিয়া হয়ে ভৈরব নদ, আত্রাই ও আঠারোবেকী নদীর উপর দিয়ে রূপসা ও রামপাল হয়ে মংলাবন্দরে নিয়ে যাওয়ার। এতে আটকে যায় এ প্রকল্পের কাজ। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান। নির্বাচনে প্রার্থী হবেন এ চিন্তায় রেললাইনটি তার মতো করার চিন্তা করেছিলেন উপদেষ্টা মসিউর। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে হেরে যান। জয়ী হন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী। এখনও উপদেষ্টা মসিউর রহমান সরকারি কাজ ফেলে সম্ভাব্য নির্বাচনী এলাকায় সময় দিচ্ছেন। এলাকাবাসীকে জানান দিচ্ছেন, আগামীতে মহাজোটের একমাত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী তিনি। ওদিকে জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বইলেখায় এখন বেশ ব্যস্ত। এ জন্য বাসা থেকে খুব বেশি দরকার না পড়লে বের হচ্ছেন না। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এ উপদেষ্টা প্রবাসী মেয়ে ও নাতনিদের নিয়ে এখন শ্রীলঙ্কা সফরে রয়েছেন। দুয়েক দিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগের মতো সরকারি কাজে সময় দিচ্ছেন না এ উপদেষ্টা। এ জন্য দলীয় বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী কাজে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। আগে দেখা যেতো নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিতে তার একচ্ছত্র ক্ষমতা। এখন যেন এসব কাজ অনেকটা এড়িয়ে চলতে চাইছেন। অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে আলাউদ্দিন আহমেদ মাসের বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকছেন। তাই বাসায়ই কাটছে তার সময়। অন্যদের মধ্যে জ্বালানি উপদেষ্টা আর আগের মতো তেল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। নিজেকে যেন অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছেন। তবে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. মোদাচ্ছের আলী, আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভী এবং নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এখনও বেশ সক্রিয় সরকারি কাজে। ওদিকে ২০১১ সালের ১৫ই ডিসেম্বর দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এসব প্রশাসক উপমন্ত্রীর পদমর্যাদাসম্পন্ন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারাই চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নিয়ম ছিল প্রশাসক নিয়োগের তিন মাসের মধ্যে জেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন হওয়ার কোন নাম-গন্ধ নেই। তাই অনির্বাচিত জেলা পরিষদের প্রশাসকরা খবরদারি করে চলেছেন। সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে চালাচ্ছেন দলীয় প্রচার প্রপাগান্ডা।
No comments