বেনজির হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মোশাররফ
পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করেছেন আদালত। সরকারি অভিযোক্তা বলেছেন, হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ডে সহায়তার তিনটি অপরাধে আদালত গতকাল মঙ্গলবার মোশাররফকে অভিযুক্ত করেন। রাওয়ালপিন্ডির একটি আদালতে এ মামলার বিচার হচ্ছে। শুনানিতে পারভেজ মোশাররফ কোনো প্রকাশ্য মন্তব্য করেননি। তবে তিনি এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আদালত আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়। পাকিস্তানে কোনো সাবেক সেনাপ্রধানকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করার ঘটনা এটিই প্রথম। দেশটিতে স্বাধীনতার পর থেকে অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল পরাক্রমশালী সেনাবাহিনী। সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফ ছাড়াও আরও ছয় ব্যক্তিকে একই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে চারজন সন্দেহভাজন জঙ্গি ও পুলিশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়েছেন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে একটি নির্বাচনী জনসভায় আততায়ীর হামলায় নিহত হন।
পারভেজ মোশাররফ দাবি করে আসছেন, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে চলতি বছরের শুরুতে দেশে ফিরে আসেন। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচন কমিশন তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে। মোশাররফের আইনজীবী সৈয়দা আফশান আদিল বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরা এ ব্যাপারে শঙ্কিত নন। আইনি-প্রক্রিয়ায় বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে। ৭০ বছর বয়সী মোশাররফ বর্তমানে ইসলামাবাদের বাইরে তাঁর খামারবাড়িতে গৃহবন্দী রয়েছেন।
নওয়াজ শরিফকে ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেন জেনারেল মোশাররফ। টানা নয় বছর দেশ শাসনের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি ক্ষমতা ছাড়েন এবং স্বেচ্ছা নির্বাসনে বিদেশে চলে যান। তখন থেকে তিনি দুবাই ও লন্ডনে বাস করতে থাকেন। বেনজির হত্যা মামলা ছাড়াও ২০০৬ সালে বেলুচ নেতা নওয়াব আকবর বুগতি হত্যা এবং ২০০৭ সালে উচ্চ আদালতের বিচারপতিকে বরখাস্ত করার ঘটনার জন্য মোশাররফের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারও মোশারফের বিরুদ্ধে জোরালো আইনি ব্যবস্থা নিতে চায়। তবে হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাঁকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার সম্ভাবনা খুব কম বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ, দেশটিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলার দৃষ্টান্ত আগেও দেখা গেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে পারভেজ মোশাররফ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে পরে তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসনে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের জন্য বেনজিরের মৃত্যুর ঘটনাটি ঠেকানোর সুযোগ ছিল। তৎকালীন মোশাররফ সরকার বেনজির ভুট্টোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
পারভেজ মোশাররফ দাবি করে আসছেন, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে চলতি বছরের শুরুতে দেশে ফিরে আসেন। তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে নির্বাচন কমিশন তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করে। মোশাররফের আইনজীবী সৈয়দা আফশান আদিল বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁরা এ ব্যাপারে শঙ্কিত নন। আইনি-প্রক্রিয়ায় বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে। ৭০ বছর বয়সী মোশাররফ বর্তমানে ইসলামাবাদের বাইরে তাঁর খামারবাড়িতে গৃহবন্দী রয়েছেন।
নওয়াজ শরিফকে ১৯৯৯ সালে এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত করেন জেনারেল মোশাররফ। টানা নয় বছর দেশ শাসনের পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি ক্ষমতা ছাড়েন এবং স্বেচ্ছা নির্বাসনে বিদেশে চলে যান। তখন থেকে তিনি দুবাই ও লন্ডনে বাস করতে থাকেন। বেনজির হত্যা মামলা ছাড়াও ২০০৬ সালে বেলুচ নেতা নওয়াব আকবর বুগতি হত্যা এবং ২০০৭ সালে উচ্চ আদালতের বিচারপতিকে বরখাস্ত করার ঘটনার জন্য মোশাররফের বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারও মোশারফের বিরুদ্ধে জোরালো আইনি ব্যবস্থা নিতে চায়। তবে হত্যাকাণ্ডের দায়ে তাঁকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করার সম্ভাবনা খুব কম বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ, দেশটিতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলার দৃষ্টান্ত আগেও দেখা গেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে পারভেজ মোশাররফ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। তবে পরে তাঁকে সৌদি আরবে নির্বাসনে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারের জন্য বেনজিরের মৃত্যুর ঘটনাটি ঠেকানোর সুযোগ ছিল। তৎকালীন মোশাররফ সরকার বেনজির ভুট্টোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছিল। এএফপি, রয়টার্স ও বিবিসি।
No comments