জামায়াত নিষিদ্ধ নিয়ে যত আলোচনা by সাজেদুল হক ও জাকারিয়া পলাশ
বিপর্যস্ত জামায়াত। আক্রমণের পর আক্রমণে
ছিন্নভিন্ন। নির্বাচনী রাজনীতিতে নিষিদ্ধ। কিন্তু এরপর কি? মঞ্চে হেফাজতে
ইসলামের আবির্ভাব। আবার ফ্লাশআউট। বিপদের মুখে পলিটিক্যাল ইসলাম।
শুধু
বাংলাদেশ নয়, সারা দুনিয়াতেই। কেমন হবে ভবিষ্যতের পলিটিক্যাল ইসলাম?
জামায়াত আর ইসলামী রাজনীতি নিয়ে আমাদের গবেষণা আর অনুসন্ধানের ধারাবাহিক
প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব আজ। চোখ রাখুন নিয়মিত-
সাজেদুল হক/জাকারিয়া পলাশ: ইকোনমিস্টের মন্তব্যটিই হয়তো সত্য। নিষিদ্ধ না ঘোষণা করলেও জামায়াতের নাড়িভুঁড়ি বের করে নিয়েছে সরকার। যদিও অনেককে চমকে দিয়ে রাজপথে মাঝেমধ্যে সহিংস প্রতিরোধ রচনা করছে দলটি। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর সে সহিংসতা অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন দলকে এত গুলিও হয়তো মোকাবিলা করতে হয়নি। জামায়াতের সামনে এখন অনিশ্চয়তাই একমাত্র নিশ্চয়তা। ট্রাইব্যুনাল আর সুপ্রিম কোর্টে এখন ঝুলে রয়েছে দলটির ভাগ্য। নির্বাহী আদেশ নয়, আদালতের আদেশেই জামায়াত নিষিদ্ধ হোক- এটাই সরকারের কারও কারও প্রার্থনা। দলটির নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। অনেকের মতে, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন। তাই তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। যদিও আনন্দবাজার পত্রিকা-ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে। নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির কর্মীদের ঠিকানা হবে কোথায়- তা নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা। বছরের পর বছর যে কয়েক লাখ আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নেতাকর্মী তৈরি করেছে জামায়াত তারা কোথায় যাবেন? শিবির কর্মীরাই বা কি করবেন? পশ্চিমা কূটনীতিকরা বরাবরই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরোধিতা করে আসছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন, জামায়াত নিষিদ্ধ হলে দলটির বেশির ভাগ নেতাকর্মী আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। যা হবে অত্যন্ত বিপজ্জনক। শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর দিলারা চৌধুরী যেন অনেকটাই এ মতের সমর্থক। তিনি মানবজমিনকে বলেছেন, প্রতিপক্ষকে বিনাশ করে দেয়া কোন রাজনীতি হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রেও তো ক্লুক্ল্যাক্স ক্ল্যানসহ বিভিন্ন বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রয়েছে। তারা তাদের গণ্ডির মধ্যে রয়ে গেছে। গণতন্ত্রের প্রতিযোগিতায় তারা সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ ইলেকটোরাল কলেজে তাদের কেউ নেই। আমাদের দেশেও জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম এবং অন্যান্য সাম্প্রদায়িক দলকে মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জামায়াতের সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রমে বাধা দেয়া। নিষিদ্ধ হলে জামায়াত যদি নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে পারে সেক্ষেত্রে দৃশ্যপট হবে একরকম। অন্যদিকে, দলটি যদি নতুন কোন দল গড়তে না পারে সেক্ষেত্রে কয়েক লাখ জামায়াত-শিবির কর্মীর বেশির ভাগেরই গন্তব্য হবে বিএনপি। বাকিরা চলে যেতে পারেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। সহিংসতাই হবে তাদের মূল ভিত্তি। বরাবরই বিপ্লবের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যাওয়ার পক্ষে রয়েছে একটি অংশ। যদিও সহিংসতার আশঙ্কা নাকচ করেছেন জামায়াতের অন্যতম নীতিনির্ধারক ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে সরকার আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে, চরিত্র হনন করে, হত্যা করে, হামলা, মামলা, গুলি করে আাসছে। এখন বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেশি। জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকারের হামলা সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ সব দেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো অহিংস পন্থায়, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই রাজনীতি করছে। আমরা সহিংস কোন পথে বিশ্বাস করি না। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমরা আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো। জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেছেন রাজনীতি বিশ্লেষক প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ। তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অবশ্যই থাকতে পারে। সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায় চললে কোন অসুবিধা নেই। এটা একটা মতাদর্শ। সুতরাং তাকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে না। পৃথিবীর অনেক দেশে এমন রাজনীতি রয়েছে। ভারতে বিজেপি, হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী রয়েছে।
হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার পর ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এক সম্পাদকীয়তে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরোধিতা করে। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘এই সূত্রেই একটি মৌলিক প্রশ্ন্ন ওঠে। কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের মত পছন্দ না করিলে বা তাহাকে অন্যায় মনে করিলে নিষেধাজ্ঞাই কি যথাযথ উপায়? ইতিহাসের সাক্ষ্য ইহার বিপরীতই। দমন-পীড়ন, নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক দলকে আত্মগোপন করিতে বাধ্য করে বটে, কিন্তু নিষিদ্ধ দলের নেতাকর্মীরা জনসাধারণের চোখে বীরের কিংবা নিহত হইলে শহীদের মর্যাদা পান। তাহাতে তাঁহাদের জনপ্রিয়তা, প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধি পায়। গোপনে, লোকচক্ষুর অন্তরালে, সরকারি নজরদারি ও প্রহরা এড়াইয়া নিষিদ্ধ দলটি সমাজে দ্রুত বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করিতে থাকে। দেশে দেশে বিপ্লবী কিংবা মৌলবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলি এভাবেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করিয়া শাসকদের ঘুম কাড়িয়া লইয়াছে। বাংলাদেশে জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করিলেও তাহার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াইয়া দেওয়া হইবে। জামাতে ইসলামীর মতামত বা ক্রিয়াকলাপের মোকাবিলা যদি করিতে হয়, তবে গণতান্ত্রিক পথেই তাহা করণীয়, সে জন্য তাহাকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করিতে দেয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে জামাতপন্থিদের তত্ত্ব, মতাদর্শ ও নীতি-কর্মসূচির সহিত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির প্রকাশ্য বিতর্ক ও আলোচনার সুযোগ থাকিবে। এ ধরনের তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা গণতন্ত্রের প্রাণস্বরূপ। ইহার সুযোগ বন্ধ হইয়া গেলে সব দিক দিয়াই স্বৈরতন্ত্র মাথা চাড়া দিতে পারে।’
সাজেদুল হক/জাকারিয়া পলাশ: ইকোনমিস্টের মন্তব্যটিই হয়তো সত্য। নিষিদ্ধ না ঘোষণা করলেও জামায়াতের নাড়িভুঁড়ি বের করে নিয়েছে সরকার। যদিও অনেককে চমকে দিয়ে রাজপথে মাঝেমধ্যে সহিংস প্রতিরোধ রচনা করছে দলটি। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায়ের পর সে সহিংসতা অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করেছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন দলকে এত গুলিও হয়তো মোকাবিলা করতে হয়নি। জামায়াতের সামনে এখন অনিশ্চয়তাই একমাত্র নিশ্চয়তা। ট্রাইব্যুনাল আর সুপ্রিম কোর্টে এখন ঝুলে রয়েছে দলটির ভাগ্য। নির্বাহী আদেশ নয়, আদালতের আদেশেই জামায়াত নিষিদ্ধ হোক- এটাই সরকারের কারও কারও প্রার্থনা। দলটির নিষিদ্ধ ঘোষণা নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক। অনেকের মতে, জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী সংগঠন। তাই তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। যদিও আনন্দবাজার পত্রিকা-ও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে। নিষিদ্ধ জামায়াত-শিবির কর্মীদের ঠিকানা হবে কোথায়- তা নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা। বছরের পর বছর যে কয়েক লাখ আনুগত্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নেতাকর্মী তৈরি করেছে জামায়াত তারা কোথায় যাবেন? শিবির কর্মীরাই বা কি করবেন? পশ্চিমা কূটনীতিকরা বরাবরই জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরোধিতা করে আসছেন। তারা যুক্তি দেখিয়েছেন, জামায়াত নিষিদ্ধ হলে দলটির বেশির ভাগ নেতাকর্মী আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে। যা হবে অত্যন্ত বিপজ্জনক। শুধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্যও। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর দিলারা চৌধুরী যেন অনেকটাই এ মতের সমর্থক। তিনি মানবজমিনকে বলেছেন, প্রতিপক্ষকে বিনাশ করে দেয়া কোন রাজনীতি হতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রেও তো ক্লুক্ল্যাক্স ক্ল্যানসহ বিভিন্ন বর্ণবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রয়েছে। তারা তাদের গণ্ডির মধ্যে রয়ে গেছে। গণতন্ত্রের প্রতিযোগিতায় তারা সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। কারণ ইলেকটোরাল কলেজে তাদের কেউ নেই। আমাদের দেশেও জামায়াত, হেফাজতে ইসলাম এবং অন্যান্য সাম্প্রদায়িক দলকে মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জামায়াতের সহিংস হয়ে ওঠার পেছনে একটি বড় কারণ হিসেবে কাজ করেছে তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রমে বাধা দেয়া। নিষিদ্ধ হলে জামায়াত যদি নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়তে পারে সেক্ষেত্রে দৃশ্যপট হবে একরকম। অন্যদিকে, দলটি যদি নতুন কোন দল গড়তে না পারে সেক্ষেত্রে কয়েক লাখ জামায়াত-শিবির কর্মীর বেশির ভাগেরই গন্তব্য হবে বিএনপি। বাকিরা চলে যেতে পারেন আন্ডারগ্রাউন্ডে। সহিংসতাই হবে তাদের মূল ভিত্তি। বরাবরই বিপ্লবের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যাওয়ার পক্ষে রয়েছে একটি অংশ। যদিও সহিংসতার আশঙ্কা নাকচ করেছেন জামায়াতের অন্যতম নীতিনির্ধারক ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে সরকার আমাদের দল ও নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে, চরিত্র হনন করে, হত্যা করে, হামলা, মামলা, গুলি করে আাসছে। এখন বিগত যে কোন সময়ের চেয়ে আমাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেশি। জামায়াতের বিরুদ্ধে সরকারের হামলা সর্বগ্রাসী রূপ ধারণ করেছে। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ সব দেশের ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো অহিংস পন্থায়, নিয়মতান্ত্রিকভাবেই রাজনীতি করছে। আমরা সহিংস কোন পথে বিশ্বাস করি না। নিয়মতান্ত্রিকভাবেই আমরা আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবো। জামায়াতসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের বিরোধিতা করেছেন রাজনীতি বিশ্লেষক প্রফেসর ড. মাহবুবউল্লাহ। তিনি বলেন, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি অবশ্যই থাকতে পারে। সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক ও নিয়মতান্ত্রিক উপায় চললে কোন অসুবিধা নেই। এটা একটা মতাদর্শ। সুতরাং তাকে নিষিদ্ধ করা যেতে পারে না। পৃথিবীর অনেক দেশে এমন রাজনীতি রয়েছে। ভারতে বিজেপি, হিন্দু মহাসভা, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী রয়েছে।
হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার পর ভারতের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা এক সম্পাদকীয়তে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরোধিতা করে। ওই সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘এই সূত্রেই একটি মৌলিক প্রশ্ন্ন ওঠে। কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের মত পছন্দ না করিলে বা তাহাকে অন্যায় মনে করিলে নিষেধাজ্ঞাই কি যথাযথ উপায়? ইতিহাসের সাক্ষ্য ইহার বিপরীতই। দমন-পীড়ন, নিষেধাজ্ঞা রাজনৈতিক দলকে আত্মগোপন করিতে বাধ্য করে বটে, কিন্তু নিষিদ্ধ দলের নেতাকর্মীরা জনসাধারণের চোখে বীরের কিংবা নিহত হইলে শহীদের মর্যাদা পান। তাহাতে তাঁহাদের জনপ্রিয়তা, প্রাসঙ্গিকতা আরও বৃদ্ধি পায়। গোপনে, লোকচক্ষুর অন্তরালে, সরকারি নজরদারি ও প্রহরা এড়াইয়া নিষিদ্ধ দলটি সমাজে দ্রুত বৈধতা ও গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করিতে থাকে। দেশে দেশে বিপ্লবী কিংবা মৌলবাদী ধর্মীয় সংগঠনগুলি এভাবেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করিয়া শাসকদের ঘুম কাড়িয়া লইয়াছে। বাংলাদেশে জামাতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করিলেও তাহার জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়াইয়া দেওয়া হইবে। জামাতে ইসলামীর মতামত বা ক্রিয়াকলাপের মোকাবিলা যদি করিতে হয়, তবে গণতান্ত্রিক পথেই তাহা করণীয়, সে জন্য তাহাকে প্রকাশ্যে রাজনীতি করিতে দেয়া উচিত। সে ক্ষেত্রে জামাতপন্থিদের তত্ত্ব, মতাদর্শ ও নীতি-কর্মসূচির সহিত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির প্রকাশ্য বিতর্ক ও আলোচনার সুযোগ থাকিবে। এ ধরনের তর্ক-বিতর্ক ও আলোচনা গণতন্ত্রের প্রাণস্বরূপ। ইহার সুযোগ বন্ধ হইয়া গেলে সব দিক দিয়াই স্বৈরতন্ত্র মাথা চাড়া দিতে পারে।’
No comments