এক মাসের আল্টিমেটামের সময়ক্ষণ শেষ হয়ে আসছে:হেফাজতের দাবী কমাতে মরিয়া সরকার by আবু তালেব
আল্লাহ, রাসুল (স:), মুসলমান ও ধর্ম
অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন পাস করা সহ পূর্ব
ঘোষিত ১৩ দফা দাবী মেনে নেওয়ার জন্য সরকারকে লংমার্চ থেকে ১ মাসের
আল্টিমেটাম বেধে দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম।
তবে তাদের দাবী
আদায়ের কোন উদ্দ্যেগ গ্রহন না করে বরং সরকার কালক্ষেপন করছে। এছাড়া তাদের
দাবী বাস্তবায়ন না করে দাবী কমাতে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছে।
তবে তারা তাদের দাবী আদায় তথা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লংমার্চের মত ঢাকা অবরোধ কর্মীসূচি নিয়ে পিছপা হবেন না বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
সরকার লংমার্চ পূর্ববর্তী সময়ে গত ৬ এপ্রিল এর লংমার্চ কর্মসূচি বাতিল করতে বিভিন্ন সময় পুলিশ প্রশাসন ও সরকার তার প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে কয়েকবার রফাদফা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। এতেও পুলিশ প্রশাসন তথা সরকার ক্ষান্ত হয়নি। তারা এখন তাদের নতুন ফর্মূলা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাছে।
গত কয়েকদিন আগে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা সরকারের অনুরোধে নতুন কৌশল হিসেবে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান এবং হেফজাতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর পীরে কামেল শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর সাথে করেন সৌজন্য সাক্ষাত। এ সময় তারা আমীরকে গুরুত্বপূর্ণ দাবী গুলো মানা হলে তারা (হেফাজত) তাদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে বলে মনে করে কিছু দাবী কমিয়ে আনার প্রস্তার পেশ করেন। তবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছিলেন যে, কেন দাবী কমাবো? আমাদের সবকটি দাবিই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, এমন কিছু দাবী নিয়ে বর্দমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী সাথে গণভবনে আমার দুই দুই বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে আমাদের সকল প্রকার দাবী ও প্রস্তাব সরকার মেনে নিবে বলে প্রতিশ্রুতি দলেও তা পরবর্তীতে আর বাস্তবায়ন করেনি। তাই এসব দাবী যে সরকার মানবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। আর এসব দাবী বাদ দেওয়া বা কমানো কোন ক্রমেই সম্ভব নয় বলে স্পষ্টাক্ষরে জানিয়ে দেন।
সরকার দ্বিমূখি আচরণের মাধ্যমে সরকার শান্তিপূর্ণ লংমার্চে বাধা দিয়েছিল বলে দাবী ছিল হেফাজতে ইসলামের। আর ওই লংমার্চ থেকে ঘোষিত দাবী আদায় তথা ১ মাসের আণ্টিমেটাম এর মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির জন্য চলছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মহাপ্রস্তুতি। নিধারণ করছে কর্মকৌশল সহ নানা ফর্রমূলা।
ঢাকা অবরোধ কমসূচির প্রস্তুতি সর্ম্পকে হেফাজতে ইসলামের আমীরের প্রচার সচিব মাওলানা মুনির আহমদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সিটিজি টাইমস ডটকমকে জানান, আগামী ৫ মে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচী সফল বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা, রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং জেলা ভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের কমিটির সাথে আলোচনা এবং কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আওতায় ৭টি উপকমিটি করা হয়েছে। আর এসব থেকে জেলা কমিটির সাথে বৈঠকের জন্য দেশব্যাপী সফর শুরু করবেন। তারা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সাথে বৈঠক করে ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন এবং ব্যাপক জনমত তৈরীতে ভূমিকা রাখবেন। তবে লংমার্চের মত সরকার যদি আমাদের সাথে কোন বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাহলে আমরা লংমার্চের মত যেখানে গতিরোধ হবে সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।
এদিকে এখনও পর্যন্ত হেফাজতের কিল্ল্যা বলে খ্যাত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আগামীকাল (১৯ এপ্রিল) মিটিং, মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী সকল ক্বওমী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর বাস্তবায়ন, নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দৈনিক আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য খতমে বুখারী, খতমে ইউনুস ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
তবে তারা তাদের দাবী আদায় তথা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লংমার্চের মত ঢাকা অবরোধ কর্মীসূচি নিয়ে পিছপা হবেন না বলে জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
সরকার লংমার্চ পূর্ববর্তী সময়ে গত ৬ এপ্রিল এর লংমার্চ কর্মসূচি বাতিল করতে বিভিন্ন সময় পুলিশ প্রশাসন ও সরকার তার প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে কয়েকবার রফাদফা করেও ব্যর্থ হয়েছিল। এতেও পুলিশ প্রশাসন তথা সরকার ক্ষান্ত হয়নি। তারা এখন তাদের নতুন ফর্মূলা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাছে।
গত কয়েকদিন আগে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা সরকারের অনুরোধে নতুন কৌশল হিসেবে হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (বেফাক) চেয়ারম্যান এবং হেফজাতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আমীর পীরে কামেল শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীর সাথে করেন সৌজন্য সাক্ষাত। এ সময় তারা আমীরকে গুরুত্বপূর্ণ দাবী গুলো মানা হলে তারা (হেফাজত) তাদের আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াবে বলে মনে করে কিছু দাবী কমিয়ে আনার প্রস্তার পেশ করেন। তবে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেছিলেন যে, কেন দাবী কমাবো? আমাদের সবকটি দাবিই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরো বলেন, এমন কিছু দাবী নিয়ে বর্দমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী সাথে গণভবনে আমার দুই দুই বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে আমাদের সকল প্রকার দাবী ও প্রস্তাব সরকার মেনে নিবে বলে প্রতিশ্রুতি দলেও তা পরবর্তীতে আর বাস্তবায়ন করেনি। তাই এসব দাবী যে সরকার মানবে তার কোন নিশ্চয়তা নাই। আর এসব দাবী বাদ দেওয়া বা কমানো কোন ক্রমেই সম্ভব নয় বলে স্পষ্টাক্ষরে জানিয়ে দেন।
সরকার দ্বিমূখি আচরণের মাধ্যমে সরকার শান্তিপূর্ণ লংমার্চে বাধা দিয়েছিল বলে দাবী ছিল হেফাজতে ইসলামের। আর ওই লংমার্চ থেকে ঘোষিত দাবী আদায় তথা ১ মাসের আণ্টিমেটাম এর মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির জন্য চলছে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের মহাপ্রস্তুতি। নিধারণ করছে কর্মকৌশল সহ নানা ফর্রমূলা।
ঢাকা অবরোধ কমসূচির প্রস্তুতি সর্ম্পকে হেফাজতে ইসলামের আমীরের প্রচার সচিব মাওলানা মুনির আহমদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সিটিজি টাইমস ডটকমকে জানান, আগামী ৫ মে দেশের প্রতিটি জেলা থেকে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচী সফল বাস্তবায়নের কর্মকৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা-পর্যালোচনা, রোডম্যাপ প্রণয়ন এবং জেলা ভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের কমিটির সাথে আলোচনা এবং কেন্দ্রীয় দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সমন্বয় কমিটি গঠন করা সম্পন্ন হয়েছে।
এছাড়া তিনি আরো জানান, কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আওতায় ৭টি উপকমিটি করা হয়েছে। আর এসব থেকে জেলা কমিটির সাথে বৈঠকের জন্য দেশব্যাপী সফর শুরু করবেন। তারা হেফাজতে ইসলামের জেলা কমিটির সাথে বৈঠক করে ৫ মে ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করবেন এবং ব্যাপক জনমত তৈরীতে ভূমিকা রাখবেন। তবে লংমার্চের মত সরকার যদি আমাদের সাথে কোন বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাহলে আমরা লংমার্চের মত যেখানে গতিরোধ হবে সেখানে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব।
এদিকে এখনও পর্যন্ত হেফাজতের কিল্ল্যা বলে খ্যাত চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় আগামীকাল (১৯ এপ্রিল) মিটিং, মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবার দেশব্যাপী সকল ক্বওমী মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবীর বাস্তবায়ন, নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং দৈনিক আমারদেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির জন্য খতমে বুখারী, খতমে ইউনুস ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
No comments