পরিচিত মুখের কাণ্ডকীর্তি, দায়ভার কে নিবে?
পরোক্ষ কিংবা প্রত্যক্ষভাবে তাদের অনুসরণ
করেন সমাজের আট দশজন মানুষ। সমাজে এরা অনেকের কাছেই আইডল। অথচ এদের
কাণ্ডকীর্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বিনোদন পাড়া। ক্ষতিগ্রস্থ সমাজ। কেউ
কেউ হয়তো এগুলোকে বলবেন ‘এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
কিন্তু তাদের
ব্যক্তিগত জীবন-যাপনের প্রভাব যদি সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তার দায়ভার
কে নিবে? তাদের উশৃঙ্খল জীবন যাপনের কারণেই ক্রমেই বিপথগামী আমাদের
প্রজন্ম। সমাজ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাকে ব্যক্তিগত বলে আর কত পাশ কাটবো
আমরা?
১. ছবিটি দেখুন। উনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় Ramp মডেল ইমি। অনেকে তাকে অবশ্য দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম সেরা Ramp মডেলও বলে থাকেন। এ তারকা সাম্প্রতিক সময়ে মাদক বিরোধীও অনেক বক্তব্য দিয়েছেন সভা-সেমিনারে। বাংলাদেশে Ramp এর পথিকৃত বলা হয় তাকে। অথচ ক্রমাগত নেশাগ্রস্হ হয়ে পড়ছেন এ তারকা। স্টেজে পা রাখার আগে ও পরে তার গাজা না হলে পারফর্মই করতে পারেন না। সম্প্রতি ঢাকা ফ্যাশন উইক অনুষ্ঠান থেকে ছবিটি তোলা।
২. গায়িকা মিলার কিছুদিন আগের ভিডিও ক্লিপটি দেখে আমার অসম্ভব খারাপ লেগেছে। অনেকেই বলছেন নিউইয়র্কে মদ্যপান শেষে মাতাল অবস্থায় তার ওপর এ অত্যাচার চালানো হয়েছে। অচেতন অবস্থায় একজন নারীর খোলামেলা শরীর….এমন দৃশ্য….। ধিক তাকে বা তাদের যারা এ কাজ করেছে। এবং যারা এ দৃশ্য ছাড়িয়েছে। কিন্তু কথা সেটা নয়। কথা হচ্ছে মিলার অতি উশৃঙ্খল জীবন নিয়ে। বাংলাদেশের অন্য কোনো গায়িকা এতো খোলামেলা পোষাকে স্টেজে হাজির হন কি-না আমার জানা নেই। পাশ্চাতের গায়িকা সারিকা কিংবা ম্যাডোনা যে পোষাক পরিধান করেন আমাদের দেশের কোনো গায়িকা এমন পোষাক গায়ে জড়ালে তা রীতিমত দৃষ্টিকুট। মঞ্চে গান করার আগেও পরে তার সিগেরেট এবং বিশেষ পানীয় পানের দৃশ্য অনেকেরই চোখে পড়েছে। একজন শিল্পীর এমন জীবন যাপন কি সমাজের জন্য ক্ষতিকর নয়? না-কি আমরা ঐ একই কথা বলবো-এগুলো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার?
৩. ফুটফুটে সন্তান তিন্নীর। ছবির মতো এ সন্তানের সঙ্গে যদি কিছুটা সময় দিতেন তবুও হতো। এ শিশুটি তার মায়ের দুধ খেতে পারে না। মা ব্যস্ত থাকে সারাদিন শুটিং আর আমোদপূর্তি নিয়ে। মধ্যরাতে শিশুটির মা মাতাল হয়ে বাসায় ফিরে।
শুটিংয়ের বাইরে কোনো কোনো রাতে এ নারী ডিসকো বা ডিজে পার্টি শেষে
বাসায় ফিরে বলে শোনা যায়। তিন্নী যে বাসায় থাকেন সে ফ্ল্যাটের
বাসিন্দারাও তিন্নীর ওপর চরম বিরক্ত। কারণ মাতালগ্রস্থ হয়ে প্রায় রাতে
ফ্ল্যাটে আসেন তিনি। কতিপয় যুবক তাকে গাড়ী থেকে বাসায় পৌছে দেয়। একটি
শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিকে এ বিষয়ে একটা রিপোর্টও এসেছে। যা হয়তো অনেকেই
পড়েছেন।
৪. একজন তারকার সঙ্গে আরেকজন তারকার সম্পর্ক থাকতেই পারে। এতে
লুকোচুরিরই বা কি? ‘স্রেফ বন্ধুত্ব ছাড়া আর কোনো সম্পর্ক নেই’ এমন মন্তব্য
করেছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী মোনালিসা। বেডরুমের এ ছবিটি কি তাই বলে?
No comments