বেঁচে নেই ইলিয়াস আলী
প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সাংগঠনিক
সম্পাদক মো. ইলিয়াস আলী তার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালকসহ গত বছরের
১৭ এপ্রিল রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। এরপর পেরিয়ে গেছে একটি
বছর। এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ি চালকের।
এদিকে,
ইলিয়াস আলী বেঁচে নেই বলে নিশ্চিত হয়েছেন বিএনপিতে তার ঘনিষ্ঠরা। রমনা
থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের মতোই বিএনপির
সাংগঠনিক সম্পাদকের পরিণতি হয়েছে বলে মনে করেন বিএনপির নীতি নির্ধারকরা।
কিন্তু কৌশলগত কারণে তারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না বলে জানা গেছে।
জনপ্রিয় একটি দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদক জানান, তিনি একাধিক গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে ইলিয়াস আলীর বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই সম্পাদকের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাই তিনি ইলিয়াস আলী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন।
ইলিয়াস আলী গুম হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে সরকারকে দায়ী করে তাকে ফেরত দেয়ার দাবিতে হরতালসহ কয়েকটি কঠোর কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুর ভিড়ে ধীরে ধীরে বাদ পড়ে গেছে ইলিয়াস গুমের ইস্যুটিও।
দলের সিনিয়রসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য, গুম হওয়ার পর দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুধু ইলিয়াসের সিলেটবাসী কিছু ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মী ছাড়া তার দল বিএনপি এখন ভুলে যেতে বসেছে তাকে। এ ইস্যুতে প্রথম দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সামবেশ, হরতালসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করলেও সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের ইস্যুতে ইলিয়াস আলী ইস্যুটাও যেন চাপা পড়ে গেছে।
এদিকে ইলিয়াস আলীর পরিবার আজও আশায় আছেন তিনি ফিরে আসবেন। শোকে কাতর ইলিয়াস আলীর মা সূর্যবান বিবি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলেই যে কোনো দিন ফিরে আসবে আমার ছেলে ইলিয়াস। আগেও সপ্তাহে তিন চার দিন সিলেটে থাকতো ইলিয়াস। আমার প্রয়োজন না হলে ফোন দিতাম না তাকে। কিন্তু সে সিলেটে এসেই ফোন দিয়ে বলতো মা আমি সিলেটে। রাতে বা সকালে বাড়িতে আসবো। এই ভাবে সারাদিন বাড়িতে থেকে রাতে আবার চলে যেতো সিলেটে। কিন্তু গত এক বছর এই ফোন আর আমি পাইনি।’
ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি আমার স্বামী ফিরে আসবেন। আমার বাচ্চাদেরও একই বিশ্বাস। আমার স্বামী, সন্তান, পরিবারের জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আর কিচ্ছু চাই না আমি, আমার স্বামীকে ফেরত চাই।’
ইলিয়াস আলী ইস্যুতে আন্দোলন আর আগের মতো হচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসকির আলী বলেন, ‘আন্দোলন রাজনৈতিক বিষয়। আন্দোলন বুঝি না, আমরা ইলিয়াস আলীকে ফেরত চাই।’
পরিবারের সবাই দিনে দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আলী ফিরে না আসায় আমাদের পরিবারে শূন্যতা বিরাজ করছে। ইলিয়াসের একমাত্র মেয়ে নাওয়াল প্রতিদিন বাবার পথ চেয়ে মন খারাপ করে।’ এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহীনিসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা কমনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ইলিয়াস আলীসহ অন্য স্পর্শকাতর ইস্যুতে আন্দোলন হচ্ছে না।’
ইলিয়াস আলী দলের পরিক্ষীত ও ত্যাগী নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আমাদের হৃদয় থেকে মুছে যায়নি, যাবে না। ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনা ইতিহাসের পাতায় জঘন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে।’
সিলেটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলদার হোসেন সেলিম জানান, ইলিয়াস আলীর মতো নেতা সব তৈরি হয় না। কালেভদ্রে এমন একজন নেতার আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন, সিলেটে বিএনপির সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলতে ইলিয়াস আলীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন সিলেটের মেহনতী মানুষের কণ্ঠস্বর। কিন্তু সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে গত একবছর আগে আমরা তাকে হারিয়েছি। তবে আমাদের বিশ্বাস তিনি ফিরে আসবেন।
ইলিয়াস আলী মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন, সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদীতার পরিচয় দিয়েছে। তার মুক্তির দাবিতে গত একবছর আমাদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। ভবিষ্যতেও আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
গত বছরের ১৭ এপ্রিল দিনগত রাতে পুলিশ সাবেক এই সংসদ সদস্যের গাড়িটি রাজধানীর মহাখালীর আমতলী রেলক্রসিং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই গাড়ির চালক আনসার আলীরও। ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ইলিয়াস নিখোঁজ বলে জানিয়েছিলেন তার পরিবার। এর পর তাকে সন্ধান পেতে দলীয়ভাবে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী, সন্তানরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। বেঁচে থাকলে ইলিয়াস আলীকে শিগগির খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
জনপ্রিয় একটি দৈনিক পত্রিকাটির সম্পাদক জানান, তিনি একাধিক গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে ইলিয়াস আলীর বিষয়ে কথা বলেছেন। কিন্তু তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওই সম্পাদকের সঙ্গে ইলিয়াস আলীর ঘনিষ্ঠতা ছিল। তাই তিনি ইলিয়াস আলী সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন।
ইলিয়াস আলী গুম হওয়ায় দলের পক্ষ থেকে সরকারকে দায়ী করে তাকে ফেরত দেয়ার দাবিতে হরতালসহ কয়েকটি কঠোর কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুর ভিড়ে ধীরে ধীরে বাদ পড়ে গেছে ইলিয়াস গুমের ইস্যুটিও।
দলের সিনিয়রসহ তৃণমূল নেতাকর্মীদের বক্তব্য, গুম হওয়ার পর দীর্ঘ এক বছর পেরিয়ে গেলেও ইলিয়াস আলীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। শুধু ইলিয়াসের সিলেটবাসী কিছু ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মী ছাড়া তার দল বিএনপি এখন ভুলে যেতে বসেছে তাকে। এ ইস্যুতে প্রথম দিকে বিএনপির পক্ষ থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ, সামবেশ, হরতালসহ বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করলেও সময়ের সাথে সাথে আন্দোলনের ইস্যুতে ইলিয়াস আলী ইস্যুটাও যেন চাপা পড়ে গেছে।
এদিকে ইলিয়াস আলীর পরিবার আজও আশায় আছেন তিনি ফিরে আসবেন। শোকে কাতর ইলিয়াস আলীর মা সূর্যবান বিবি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চাইলেই যে কোনো দিন ফিরে আসবে আমার ছেলে ইলিয়াস। আগেও সপ্তাহে তিন চার দিন সিলেটে থাকতো ইলিয়াস। আমার প্রয়োজন না হলে ফোন দিতাম না তাকে। কিন্তু সে সিলেটে এসেই ফোন দিয়ে বলতো মা আমি সিলেটে। রাতে বা সকালে বাড়িতে আসবো। এই ভাবে সারাদিন বাড়িতে থেকে রাতে আবার চলে যেতো সিলেটে। কিন্তু গত এক বছর এই ফোন আর আমি পাইনি।’
ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি আমার স্বামী ফিরে আসবেন। আমার বাচ্চাদেরও একই বিশ্বাস। আমার স্বামী, সন্তান, পরিবারের জন্য আপনারা দোয়া করবেন। আর কিচ্ছু চাই না আমি, আমার স্বামীকে ফেরত চাই।’
ইলিয়াস আলী ইস্যুতে আন্দোলন আর আগের মতো হচ্ছে না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আসকির আলী বলেন, ‘আন্দোলন রাজনৈতিক বিষয়। আন্দোলন বুঝি না, আমরা ইলিয়াস আলীকে ফেরত চাই।’
পরিবারের সবাই দিনে দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আলী ফিরে না আসায় আমাদের পরিবারে শূন্যতা বিরাজ করছে। ইলিয়াসের একমাত্র মেয়ে নাওয়াল প্রতিদিন বাবার পথ চেয়ে মন খারাপ করে।’ এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহীনিসহ সকল রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা কমনা করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, তাই তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া ইলিয়াস আলীসহ অন্য স্পর্শকাতর ইস্যুতে আন্দোলন হচ্ছে না।’
ইলিয়াস আলী দলের পরিক্ষীত ও ত্যাগী নেতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইলিয়াস আমাদের হৃদয় থেকে মুছে যায়নি, যাবে না। ইলিয়াস নিখোঁজের ঘটনা ইতিহাসের পাতায় জঘন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে।’
সিলেটের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলদার হোসেন সেলিম জানান, ইলিয়াস আলীর মতো নেতা সব তৈরি হয় না। কালেভদ্রে এমন একজন নেতার আত্মপ্রকাশ ঘটে। তিনি বলেন, সিলেটে বিএনপির সুদৃঢ় অবস্থান গড়ে তুলতে ইলিয়াস আলীর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ছিলেন সিলেটের মেহনতী মানুষের কণ্ঠস্বর। কিন্তু সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়ে গত একবছর আগে আমরা তাকে হারিয়েছি। তবে আমাদের বিশ্বাস তিনি ফিরে আসবেন।
ইলিয়াস আলী মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক ফরহাদ চৌধুরী শামীম বলেন, সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদীতার পরিচয় দিয়েছে। তার মুক্তির দাবিতে গত একবছর আমাদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। ভবিষ্যতেও আমরা এ আন্দোলন চালিয়ে যাব।
গত বছরের ১৭ এপ্রিল দিনগত রাতে পুলিশ সাবেক এই সংসদ সদস্যের গাড়িটি রাজধানীর মহাখালীর আমতলী রেলক্রসিং এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। খোঁজ পাওয়া যায়নি ওই গাড়ির চালক আনসার আলীরও। ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ইলিয়াস নিখোঁজ বলে জানিয়েছিলেন তার পরিবার। এর পর তাকে সন্ধান পেতে দলীয়ভাবে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তার স্ত্রী, সন্তানরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। বেঁচে থাকলে ইলিয়াস আলীকে শিগগির খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
No comments