লংমার্চে বাধা দিলে দেশ অচল করা হবে
লংমার্চে বাধা আসলে দেশ অচল করার হুমকি
দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা। বুধবার বেলা তিনটায় রাজধানীর পুরানা
পল্টনে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন
ধর্মভিত্তিক এ সংগঠনটির নেতারা।
বক্তারা বলেন, ‘ইসলাম
বিরোধী ব্লগ এবং আল্লাহ ও মহানবী মুহাম্মদ (সা.)এর কটূক্তিকারীদের
গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ৬ এপ্রিলের পূর্বঘোষিত লং মার্চে কোন
ধরনের বাধা আসলে দেশ অচল করে দেওয়া হবে’।
তারা বলেন, ‘লংমার্চ বানচাল করতে নানামুখী যড়যন্ত্র শুরু করেছে । এ রকমও শোনা যাচ্ছে ওই দিন ব্লগারদের দিয়ে হরতাল করানো হবে।’
তারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“ কোন ধরণের যড়যন্ত্র করবেন না। যড়যন্ত্র করে লংমার্চ বানচাল করা যাবে না।” এছাড়া যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে দাবি করেন তারা।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়ক মাওলানা নুর হোসেন কাসেমি বলেন,“৬ এপ্রিলের লং মার্চ ইসলাম ও ধর্ম রক্ষার আন্দোলন। শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনে কোন ধরণের বাধা দেওয়া হলে ব্লগারদের পাশাপাশি সরকার পতনেরও আন্দোলন শুরু করবো।”
লংমার্চে সরকারের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাই। আর এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি উল্টো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে যেখানে বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
এছাড়া লংমার্চে বাধা দেওয়া হলে এর পরিণাম ভালো হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “এর পরিণতি এমন হবে যা সরকার সামাল দিতে পারবে না।”
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের আমির ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, “নাস্তিক, ব্লগারদের সহযোগিতা করে সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তাদের প্র্রশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাই নাস্তিকদের গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ ও তার গ্রেফতার দাবি করছি।”
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন,“ ঢাকায় তিনটি জায়গায় সমাবেশে করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কোন অনুমতি দেয়নি সরকার। অনুমতি নিয়ে কোন টালবাহানা করলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সামাল দেওয়া আপনাদের (সরকার) পক্ষে হয়তো সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আপনাদের বলবো এখন সময় আছে কোন টাল বাহানা করবেন না।”
সমাবেশে অবিলম্বে শীর্ষ ইসলাম বিরোধী ব্লগার ও নাস্তিকদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান হেফাজতের নেতারা।
প্রচার ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরী কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রউফ ইউসুফি, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা আবু জাফর কাসেমি, মুফতি মো. বায়তুল্লাহ, ঢাকা মহানগরীর সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন ও মাওলানা আবুল কাশেম প্রমুখ।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের সমমনা ইসলামী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা এসে সমাবেশে জড়ো হন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং লংমার্চ কর্মসূচি সফল করতে গত ০১ এপ্রিল এ বিক্ষোভ ও প্রচার সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলো সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী কমিটি।
তারা বলেন, ‘লংমার্চ বানচাল করতে নানামুখী যড়যন্ত্র শুরু করেছে । এ রকমও শোনা যাচ্ছে ওই দিন ব্লগারদের দিয়ে হরতাল করানো হবে।’
তারা সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,“ কোন ধরণের যড়যন্ত্র করবেন না। যড়যন্ত্র করে লংমার্চ বানচাল করা যাবে না।” এছাড়া যে কোন পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ী থাকবে বলে দাবি করেন তারা।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন পুরানা পল্টনের আজাদ প্রোডাক্টসের গলিতে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়ক মাওলানা নুর হোসেন কাসেমি বলেন,“৬ এপ্রিলের লং মার্চ ইসলাম ও ধর্ম রক্ষার আন্দোলন। শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলনে কোন ধরণের বাধা দেওয়া হলে ব্লগারদের পাশাপাশি সরকার পতনেরও আন্দোলন শুরু করবো।”
লংমার্চে সরকারের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাই। আর এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতার দায়িত্ব সরকারের। সরকার যদি উল্টো বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে যেখানে বাধা আসবে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
এছাড়া লংমার্চে বাধা দেওয়া হলে এর পরিণাম ভালো হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “এর পরিণতি এমন হবে যা সরকার সামাল দিতে পারবে না।”
সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের আমির ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, “নাস্তিক, ব্লগারদের সহযোগিতা করে সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তাদের প্র্রশ্রয়দাতা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাই নাস্তিকদের গ্রেফতারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীরও পদত্যাগ ও তার গ্রেফতার দাবি করছি।”
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন,“ ঢাকায় তিনটি জায়গায় সমাবেশে করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের কোন অনুমতি দেয়নি সরকার। অনুমতি নিয়ে কোন টালবাহানা করলে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া সামাল দেওয়া আপনাদের (সরকার) পক্ষে হয়তো সম্ভব নাও হতে পারে। তাই আপনাদের বলবো এখন সময় আছে কোন টাল বাহানা করবেন না।”
সমাবেশে অবিলম্বে শীর্ষ ইসলাম বিরোধী ব্লগার ও নাস্তিকদের গ্রেফতার করার পাশাপাশি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান হেফাজতের নেতারা।
প্রচার ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরী কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, মাওলানা মনজুরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রউফ ইউসুফি, মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুল হামিদ, মাওলানা আবু জাফর কাসেমি, মুফতি মো. বায়তুল্লাহ, ঢাকা মহানগরীর সহকারী মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন ও মাওলানা আবুল কাশেম প্রমুখ।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামের সমমনা ইসলামী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা এসে সমাবেশে জড়ো হন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল দৈনিক বাংলা, মতিঝিল ঘুরে আবার বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, সারা দেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদে এবং লংমার্চ কর্মসূচি সফল করতে গত ০১ এপ্রিল এ বিক্ষোভ ও প্রচার সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলো সংগঠনটির ঢাকা মহানগরী কমিটি।
No comments