২৫ অক্টোবর মন্ত্রিসভার পদত্যাগ: অর্থমন্ত্রী
চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর বর্তমান মন্ত্রিসভা
পদত্যাগ করবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বুধবার
দুপুরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভা কক্ষে জাতীয় সংসদের কয়েকজন
স্থায়ী কমিটির সভাপতির সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী মুহিত এ কথা
জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা ভেঙে দেবার পরবর্তী তিন মাস
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। তখন হয়তো রাষ্ট্রপতি
প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন যে, আপনি সরকার অব্যাহত রাখুন। তখন
প্রধানমন্ত্রী হয় আগের মন্ত্রিসভা নিয়েই সরকার পরিচালনা করবেন, অথবা নতুন
মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। যেটি হবে অর্ন্তর্বতী সরকার। তবে শেষমেষ এটি হবে কি
না- জানি না, দেখা যাক।
তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও সংসদের মেয়াদ থাকবে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ বহাল থাকছে, সেক্ষেত্রে অর্ন্তর্বতী সরকারের কোনো দরকার হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকেই বিরোধী দল এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত বিরোধী দলের প্রধান দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃস্থাপন। এরকম বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংসদে বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন এবং রাষ্ট্রপতি তখন নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেবেন। প্রাক বাজেট আলোচনা হলেও স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার প্রসঙ্গ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণ প্রজন্মকেও আক্রমণ করেছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, আরেক দিকে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ব্লাসফেমি আইন নিয়ে আলোচনা করছেন।
মঙ্গলবার ব্লগারদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বক্তব্য 'আতঙ্কজনক' উল্লেখ করে মেনন বলেন, সরকার দেশে ‘ইসলামাইজেশন’ করতে চাচ্ছে। এতে তাদের আম-ছালা দুটোই যাবে। একই ইস্যুতে তোফায়েল আহমেদও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দুইদিকে পা রাখলে কোনো দিক রাখা যায় না। শেষমেষ আমরা দুকূলই হারাব। প্রাক বাজেট আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি মিয়া, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হক।
এদিকে বাজেট আলোচনায় পদ্মা সেতু বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের বাকি মেয়াদে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এই সেতুর জন্য কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। তাই সরকার পদ্মাসেতুর কাজ শুধু শুরু করবে। এই সেতুর অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক রিজার্ভ ও বন্ডের টাকা ব্যবহার করা হবে। এ সময় অর্থমন্ত্রী আসন্ন বাজেটকে নির্বাচনমুখী বলেও উল্লেখ করে বলেন, সরকার নতুন প্রকল্পের চেয়ে অসম্পন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো শেষ করতেই বেশি মনোযোগ দেবে। গ্রামীণ অবকাঠামো, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে সরকার। সেই সঙ্গে রেলপথ, নৌপথকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া ঢাকায় পাবলিক পরিবহন বাড়িয়ে প্রাইভেট পরিবহনের প্রতি মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হবে বলেও জানান মুহিত। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে সরকার চাপে আছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নাম সর্বস্ব শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী মুহিতের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ, রাশেদ খান মেনন, এফ কে এম রহমতউল্লাহ, ফজলে রাব্বি এমপি প্রমুখ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে জাতি সরকারের কাছে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করে। এমপি’রা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সরকারের শেষ বাজেটে সেসব অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
তারা সবাই আগামী বাজেটে গ্রামীণ উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া এবং রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করেন। তারা প্রাইভেটকারে সিএনজি সুবিধা বাতিলের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সিএনজি সুবিধা না পেলে অনেকেই প্রাইভেট গাড়ি কিনতে উৎসাহী হবেন না। তবে সেক্ষেত্রে গণপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নয়নের পরামর্শ সভাপতিদের। এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ রসিকতা বলেন, যেভাবে হরতালে গাড়ি ভাঙচুর হয়, তাতে ভবিষ্যতে মানুষ প্রাইভেট কার কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
তবে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও সংসদের মেয়াদ থাকবে আগামী বছরের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, যেহেতু সংবিধান অনুযায়ী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংসদ বহাল থাকছে, সেক্ষেত্রে অর্ন্তর্বতী সরকারের কোনো দরকার হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর থেকেই বিরোধী দল এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত বিরোধী দলের প্রধান দাবি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃস্থাপন। এরকম বাস্তবতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সংসদে বলেছিলেন, নির্বাচনের আগে তিনি সংসদ ভেঙে দেবেন এবং রাষ্ট্রপতি তখন নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দেবেন। প্রাক বাজেট আলোচনা হলেও স্থায়ী কমিটির সভাপতিদের বক্তব্যে উঠে আসে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার প্রসঙ্গ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ তরুণ প্রজন্মকেও আক্রমণ করেছে। তিনি সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন, আরেক দিকে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে ব্লাসফেমি আইন নিয়ে আলোচনা করছেন।
মঙ্গলবার ব্লগারদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের বক্তব্য 'আতঙ্কজনক' উল্লেখ করে মেনন বলেন, সরকার দেশে ‘ইসলামাইজেশন’ করতে চাচ্ছে। এতে তাদের আম-ছালা দুটোই যাবে। একই ইস্যুতে তোফায়েল আহমেদও সরকারের সমালোচনা করে বলেন, দুইদিকে পা রাখলে কোনো দিক রাখা যায় না। শেষমেষ আমরা দুকূলই হারাব। প্রাক বাজেট আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বি মিয়া, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হক।
এদিকে বাজেট আলোচনায় পদ্মা সেতু বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারের বাকি মেয়াদে পদ্মাসেতুর কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। এই সেতুর জন্য কমপক্ষে তিন বছর সময় লাগবে। তাই সরকার পদ্মাসেতুর কাজ শুধু শুরু করবে। এই সেতুর অর্থায়নের জন্য বৈদেশিক রিজার্ভ ও বন্ডের টাকা ব্যবহার করা হবে। এ সময় অর্থমন্ত্রী আসন্ন বাজেটকে নির্বাচনমুখী বলেও উল্লেখ করে বলেন, সরকার নতুন প্রকল্পের চেয়ে অসম্পন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো শেষ করতেই বেশি মনোযোগ দেবে। গ্রামীণ অবকাঠামো, শিক্ষা, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে সরকার। সেই সঙ্গে রেলপথ, নৌপথকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া ঢাকায় পাবলিক পরিবহন বাড়িয়ে প্রাইভেট পরিবহনের প্রতি মানুষকে নিরুৎসাহিত করা হবে বলেও জানান মুহিত। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে সরকার চাপে আছে। এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নাম সর্বস্ব শিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
অর্থমন্ত্রী মুহিতের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তোফায়েল আহমেদ, রাশেদ খান মেনন, এফ কে এম রহমতউল্লাহ, ফজলে রাব্বি এমপি প্রমুখ।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পদ্মাসেতু নিয়ে জাতি সরকারের কাছে সুস্পষ্ট বক্তব্য আশা করে। এমপি’রা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সরকারের শেষ বাজেটে সেসব অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
তারা সবাই আগামী বাজেটে গ্রামীণ উন্নয়নের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া এবং রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ করেন। তারা প্রাইভেটকারে সিএনজি সুবিধা বাতিলের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সিএনজি সুবিধা না পেলে অনেকেই প্রাইভেট গাড়ি কিনতে উৎসাহী হবেন না। তবে সেক্ষেত্রে গণপরিবহণ ব্যবস্থা উন্নয়নের পরামর্শ সভাপতিদের। এ বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ রসিকতা বলেন, যেভাবে হরতালে গাড়ি ভাঙচুর হয়, তাতে ভবিষ্যতে মানুষ প্রাইভেট কার কেনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।
No comments