সাগরে ২৪ লাশ: রহিমা বাহিনী মহেষখালীর জঙ্গলে by রহমান মাসুদ ও ইলিয়াস সরকার
বাংলানিউজে দস্যুরানী রহিমার ত্রাসের খবর
প্রকাশের পরই বাঁশখালী, কুতুবদিয়া ছেড়ে রহিমা বাহিনী আশ্রয় নিয়েছে
মহেষখালীর পাহাড় ও গহীন জঙ্গলে। একই সঙ্গে মহেষখালীর এনাম চেয়ারম্যানও চলে
গেছেন লোকচক্ষুর আড়ালে।
এদিকে সাগরে অবস্থান নেওয়া এই
সিন্ডিকেটের কাছে এখনো একটি জেলে ট্রলার আটক আছে। সোনাদিয়া চ্যানেলে আরেকটি
ভাসছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন জেলেরা।
পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের পলাতক আসামি কুতুবদিয়ার ওসমান গনি ও তার শ্বশুরবাড়ি মহেষখালীর হোয়ানকে অবস্থান নিয়েছে। এই ওসমান গনির গড়া ওসমান বাহিনী এনাম চেয়ারম্যানের এনাম বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গভীর সাগরে ডাকাতি, লুটপাট ও জেলে হত্যায় সহযোগিতা করে বাশঁখালীর দস্যুরানী রহিমা খাতুনকে। ওসমানি গনি আলি আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী শিকদারপাড়া গ্রামের পেথান আলী শিকদারের ছেলে।
রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে জলদস্যুদের এই সিন্ডিকেটই ২৬ মার্চ বঙ্গোপসাগরের ৬০ কিলোমিটার গভীরে ৩২ জন জেলেকে হত্যা (২৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে) করে হাত বেঁধে সাগরে ফেলে দেয়। এরপর আল্লার দান-১ ও ২ এবং মোক্তার ফিশিং নামের ট্রলার তিনটি থেকে জলদস্যুরা দুইদিনের মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে আসে মহেষখালীর উপকূলে। বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এনাম চেয়ারম্যান (এনাম বাহিনীর প্রধান), তার এক সময়ের দেহরক্ষী (পলাতক বিডিআর সদস্য) ওসমান গনির নেতৃত্বে মহেষখালীর কয়েকটি ঘাটে সেই মাছ খালাস করা হয় ছোট নৌকায়। ২৬ মার্চ এক নৌকা ইলিশ এনাম চেয়ারম্যান বিক্রি করেন হোয়ানক ইউনিয়নের টাইম বাজার এলাকায়। এ কাজে সহায়তা করেন এনামের শ্বশুর শফি আলম।
আর ডাকাত লালাইয়া লুট করা মাছ বিক্রি করেন কালাগাজীর পাড়া বাজারে। মহেষখালীর জালাল বাহিনীর প্রধান জালালের ছত্রছায়ায় তার ‘ভাইস্তা লালাইয়া’ রহিমার বাহিনীকে সহায়তা করতে মাছ নিয়ে আসেন এখানে।
অন্যদিকে এনাম চেয়ারম্যানের ডান হাত হিসেবে খ্যাত জলদস্যু মিন্টু মাছ বিক্রি করেন কেরণতলি বাজারে। এরপর ছোট নৌকায় সব মাছ চলে যায় কক্সবাজারের মাছের আড়তে।
সূত্র জানায়, রহিমা খাতুনের সিন্ডিকেট মেম্বার ও কুতুবদিয়ার ওসমান বাহিনীর প্রধান ওসমান গনি বিয়ে করেছেন মহেষখালীর হেলাল উদ্দীন বাদশার মেয়েকে। বর্তমানে তিনি শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেছেন।
এছাড়াও রহিমা বাহিনীর অন্য সদস্যদের মধ্যে কুতুবদিয়ার দস্যু সম্রাট রমিজের ছোট ভাই ইউনুসের নেতৃত্বে রমিজ বাহিনীও অবস্থান নিয়েছে মহেষখালীর পাহাড়ে (রমিজ বর্তমানে কারাগারে আছে)। এছাড়া মহেষখালির ডাকাত লালাইয়া, কুতুবদিয়ার তালুয়ালিও অবস্থান নিয়েছেন মহেষখালীর গহীন জঙ্গলে। এদের সঙ্গে আরো যোগ দিয়েছে কুতুবদিয়ার বাদশা ও দিদার নামের কুখ্যাত দুই ডাকাত সর্দার।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, “ভৌগোলিক কারণে মহেষখালীতে পুলিশের অভিযান চালানো কঠিন। অল্পসংখ্যক পুলিশ নিয়ে গিয়ে ওখানে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। আবার বেশি পুলিশ নিয়ে গেলেও সবাই তা জেনে যায়। এ কারণে ওখানে অভিযান চালানো বেশ কঠিন।”
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উপকূলে অভিযান পরিচালনায় ভাটা পড়ে। আমাদের সমতলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেশি মনোযোগী হতে হয়। এই সুযোগে অপরাধীরা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এবং মহেষখালীকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।”
বাবুল আকতার বলেন, “অপরাধী ধরতে পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যৌথ অভিযান প্রয়োজন হলেও তা করা হবে।”
মহেষখালীর কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহনেওয়াজ এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, “আমার কাছে আমার এলাকায় ডাকাতদের আশ্রয় নেওয়ার কোনো তথ্য নেই। তবে এটা সত্য হলে পাহাড়-পর্বত যেখানেই তারা থাকুক আমি তাদের আটক করার চেষ্টা করব।”
এদিকে ২৫ মার্চের পর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বাঁশখালীর জেলেদের নিখোঁজ হওয়ার খবর ট্রলার মালিকরা বাঁশখালী থানায় পরদিন রাতে জানালেও পুলিশ সাগরে অভিযানে নামেনি। এ অভিযোগ জেলেদের।
জেলেদের অভিযোগ, সাগরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ডও ওই সময় ছিল নিষ্ক্রিয়। কোস্টগার্ড পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. ইউসুফ গত ২৯ মার্চ সাংবাদিকদের বলেন, “৩১ মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি কেউ আমাদের জানায়নি।”
পিলখানার বিডিআর বিদ্রোহের পলাতক আসামি কুতুবদিয়ার ওসমান গনি ও তার শ্বশুরবাড়ি মহেষখালীর হোয়ানকে অবস্থান নিয়েছে। এই ওসমান গনির গড়া ওসমান বাহিনী এনাম চেয়ারম্যানের এনাম বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গভীর সাগরে ডাকাতি, লুটপাট ও জেলে হত্যায় সহযোগিতা করে বাশঁখালীর দস্যুরানী রহিমা খাতুনকে। ওসমানি গনি আলি আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ আলী শিকদারপাড়া গ্রামের পেথান আলী শিকদারের ছেলে।
রহিমা খাতুনের নেতৃত্বে জলদস্যুদের এই সিন্ডিকেটই ২৬ মার্চ বঙ্গোপসাগরের ৬০ কিলোমিটার গভীরে ৩২ জন জেলেকে হত্যা (২৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে) করে হাত বেঁধে সাগরে ফেলে দেয়। এরপর আল্লার দান-১ ও ২ এবং মোক্তার ফিশিং নামের ট্রলার তিনটি থেকে জলদস্যুরা দুইদিনের মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে আসে মহেষখালীর উপকূলে। বিশ্বস্ত সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এনাম চেয়ারম্যান (এনাম বাহিনীর প্রধান), তার এক সময়ের দেহরক্ষী (পলাতক বিডিআর সদস্য) ওসমান গনির নেতৃত্বে মহেষখালীর কয়েকটি ঘাটে সেই মাছ খালাস করা হয় ছোট নৌকায়। ২৬ মার্চ এক নৌকা ইলিশ এনাম চেয়ারম্যান বিক্রি করেন হোয়ানক ইউনিয়নের টাইম বাজার এলাকায়। এ কাজে সহায়তা করেন এনামের শ্বশুর শফি আলম।
আর ডাকাত লালাইয়া লুট করা মাছ বিক্রি করেন কালাগাজীর পাড়া বাজারে। মহেষখালীর জালাল বাহিনীর প্রধান জালালের ছত্রছায়ায় তার ‘ভাইস্তা লালাইয়া’ রহিমার বাহিনীকে সহায়তা করতে মাছ নিয়ে আসেন এখানে।
অন্যদিকে এনাম চেয়ারম্যানের ডান হাত হিসেবে খ্যাত জলদস্যু মিন্টু মাছ বিক্রি করেন কেরণতলি বাজারে। এরপর ছোট নৌকায় সব মাছ চলে যায় কক্সবাজারের মাছের আড়তে।
সূত্র জানায়, রহিমা খাতুনের সিন্ডিকেট মেম্বার ও কুতুবদিয়ার ওসমান বাহিনীর প্রধান ওসমান গনি বিয়ে করেছেন মহেষখালীর হেলাল উদ্দীন বাদশার মেয়েকে। বর্তমানে তিনি শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপন করেছেন।
এছাড়াও রহিমা বাহিনীর অন্য সদস্যদের মধ্যে কুতুবদিয়ার দস্যু সম্রাট রমিজের ছোট ভাই ইউনুসের নেতৃত্বে রমিজ বাহিনীও অবস্থান নিয়েছে মহেষখালীর পাহাড়ে (রমিজ বর্তমানে কারাগারে আছে)। এছাড়া মহেষখালির ডাকাত লালাইয়া, কুতুবদিয়ার তালুয়ালিও অবস্থান নিয়েছেন মহেষখালীর গহীন জঙ্গলে। এদের সঙ্গে আরো যোগ দিয়েছে কুতুবদিয়ার বাদশা ও দিদার নামের কুখ্যাত দুই ডাকাত সর্দার।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, “ভৌগোলিক কারণে মহেষখালীতে পুলিশের অভিযান চালানো কঠিন। অল্পসংখ্যক পুলিশ নিয়ে গিয়ে ওখানে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। আবার বেশি পুলিশ নিয়ে গেলেও সবাই তা জেনে যায়। এ কারণে ওখানে অভিযান চালানো বেশ কঠিন।”
তিনি বলেন, “রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উপকূলে অভিযান পরিচালনায় ভাটা পড়ে। আমাদের সমতলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বেশি মনোযোগী হতে হয়। এই সুযোগে অপরাধীরা আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এবং মহেষখালীকে তাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত করেছে।”
বাবুল আকতার বলেন, “অপরাধী ধরতে পুলিশের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যৌথ অভিযান প্রয়োজন হলেও তা করা হবে।”
মহেষখালীর কালামারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শাহনেওয়াজ এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, “আমার কাছে আমার এলাকায় ডাকাতদের আশ্রয় নেওয়ার কোনো তথ্য নেই। তবে এটা সত্য হলে পাহাড়-পর্বত যেখানেই তারা থাকুক আমি তাদের আটক করার চেষ্টা করব।”
এদিকে ২৫ মার্চের পর থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়া বাঁশখালীর জেলেদের নিখোঁজ হওয়ার খবর ট্রলার মালিকরা বাঁশখালী থানায় পরদিন রাতে জানালেও পুলিশ সাগরে অভিযানে নামেনি। এ অভিযোগ জেলেদের।
জেলেদের অভিযোগ, সাগরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কোস্টগার্ডও ওই সময় ছিল নিষ্ক্রিয়। কোস্টগার্ড পূর্বজোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. ইউসুফ গত ২৯ মার্চ সাংবাদিকদের বলেন, “৩১ মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি কেউ আমাদের জানায়নি।”
No comments