আফগানিস্তানে আদালতে হামলা, নিহত ৫৩
আফগানিস্তানের একটি আদালতে তালেবান
জঙ্গিদের সঙ্গে সরকারের নিরাপত্তাবাহিনীর ভয়াবহ সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত
হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে শতাধিক ব্যক্তি।
সহযোদ্ধাদের
ছিনিয়ে নিতে বুধবার ইরান সীমান্তবর্তী প্রদেশের রাজধানী ফারাহ’র একটি
আদালতে আফগান সেনাবাহিনীর পোশাক পরে হামলা চালায় তালেবানরা।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী তালেবানদের প্রথম দফা হামলা প্রতিরোধ করলে পাশের ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়ে ফের দফায় দফায় হামলা চালায় জঙ্গিরা।
ভয়াবহ পরিকল্পনার আলোকে এ হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যম জানায়, জঙ্গিরা ভারি অস্ত্র-শস্ত্র, গোলা বারুদ ও মেশিনগানভর্তি কয়েকটি গাড়ি নিয়ে এসে এ হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয়পক্ষই মেশিনগান ও গ্রেনেড বোমা ব্যবহার করেছে।
ফারাহ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ ইউনিস রসুলি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “বুধবার সকালে আদালতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ সময় তারা বিচারকক্ষে ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় দোকান ব্যবসায়ী সৈয়দ জান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমি দেখলাম হামলাকারীরা ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যাংক ও আদালতে ভবনে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষের তীব্রতা খুবই ভয়াবহ ছিল। এই ভয়াবহ লড়াইয়ের মূল কেন্দ্র ছিল আমার দোকান।”
তিনি আরও বলেন, “সংঘর্ষের পর পুরো সংঘর্ষস্থলে শুধু রক্ত আর গ্লাস ভাঙা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “স্থানীয় সময় সকাল ন’টার দিকে এ হামলা শুরু হলেও দফায় দফায় যুদ্ধ হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে।”
জঙ্গিরা বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে এসেছিল বলেও স্বীকার করে আফগান প্রশাসন।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, বোমা হামলা ও দু’পক্ষের মধ্যকার সম্মুখযুদ্ধে গভর্নরের কার্যালয়, আদালত ভবন, পার্শ্ববর্তী দু’টি বেসরকারি ব্যাংক ভবন ও আশপাশের ভবনগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ফারাহ প্রদেশের পুলিশ প্রধান আফগা নূর কেমতোজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ছয় জন আত্মঘাতী হামলাকারী জনতাকে লক্ষ্য করে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বন্দুযুদ্ধ ও বোমা হামলায় অন্তত ৩৪ জন বেসামরিক লোক, ১০ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ৯ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।”
আফগা নূর বলেন, “তালেবানদের লক্ষ্য ছিল এ হামলার মাধ্যমে বিচারাধীন ১৫ জঙ্গিকে মুক্ত করে নেওয়া।”
তিনি দাবি করেন, “অবশ্যই তাদের লক্ষ্য ছিল বন্দীদের মুক্ত করে নিয়ে যাওয়া, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, তারা সফল হয়নি।” বন্দীদের গণনা শেষে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন পুলিশ প্রধান।
তবে এ হামলার দায় স্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে একটি মোবাইল বার্তা (টেক্সট মেসেজ) পাঠিয়েছে তালেবানরা। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ক্বারী ইউসুফ আহমাদি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন, “এ অভিযানে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মুক্ত করা হয়েছে।”
নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হামলাস্থলের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর এ ধরনের ভয়াবহ হামলা হলো। সেবারের হামলায় প্রায় ৮০ জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব হস্তান্তর করে ২০১৪ সালে আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে ন্যাটো সৈন্যদের। কিন্তু সাম্প্রতিককালের এ ধরনের হামলা আফগান কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী তালেবানদের প্রথম দফা হামলা প্রতিরোধ করলে পাশের ভবনগুলোতে অবস্থান নিয়ে ফের দফায় দফায় হামলা চালায় জঙ্গিরা।
ভয়াবহ পরিকল্পনার আলোকে এ হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যম জানায়, জঙ্গিরা ভারি অস্ত্র-শস্ত্র, গোলা বারুদ ও মেশিনগানভর্তি কয়েকটি গাড়ি নিয়ে এসে এ হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয়পক্ষই মেশিনগান ও গ্রেনেড বোমা ব্যবহার করেছে।
ফারাহ প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ ইউনিস রসুলি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “বুধবার সকালে আদালতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ সময় তারা বিচারকক্ষে ঢুকে পড়লে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।”
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় দোকান ব্যবসায়ী সৈয়দ জান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমি দেখলাম হামলাকারীরা ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ব্যাংক ও আদালতে ভবনে হামলা চালিয়েছে। সংঘর্ষের তীব্রতা খুবই ভয়াবহ ছিল। এই ভয়াবহ লড়াইয়ের মূল কেন্দ্র ছিল আমার দোকান।”
তিনি আরও বলেন, “সংঘর্ষের পর পুরো সংঘর্ষস্থলে শুধু রক্ত আর গ্লাস ভাঙা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।”
আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, “স্থানীয় সময় সকাল ন’টার দিকে এ হামলা শুরু হলেও দফায় দফায় যুদ্ধ হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে।”
জঙ্গিরা বিশাল অস্ত্র ভাণ্ডার ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে এসেছিল বলেও স্বীকার করে আফগান প্রশাসন।
সংবাদ মাধ্যম জানায়, বোমা হামলা ও দু’পক্ষের মধ্যকার সম্মুখযুদ্ধে গভর্নরের কার্যালয়, আদালত ভবন, পার্শ্ববর্তী দু’টি বেসরকারি ব্যাংক ভবন ও আশপাশের ভবনগুলো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ফারাহ প্রদেশের পুলিশ প্রধান আফগা নূর কেমতোজ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ছয় জন আত্মঘাতী হামলাকারী জনতাকে লক্ষ্য করে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। বন্দুযুদ্ধ ও বোমা হামলায় অন্তত ৩৪ জন বেসামরিক লোক, ১০ জন নিরাপত্তারক্ষী ও ৯ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।”
আফগা নূর বলেন, “তালেবানদের লক্ষ্য ছিল এ হামলার মাধ্যমে বিচারাধীন ১৫ জঙ্গিকে মুক্ত করে নেওয়া।”
তিনি দাবি করেন, “অবশ্যই তাদের লক্ষ্য ছিল বন্দীদের মুক্ত করে নিয়ে যাওয়া, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, তারা সফল হয়নি।” বন্দীদের গণনা শেষে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন পুলিশ প্রধান।
তবে এ হামলার দায় স্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে একটি মোবাইল বার্তা (টেক্সট মেসেজ) পাঠিয়েছে তালেবানরা। গোষ্ঠীটির মুখপাত্র ক্বারী ইউসুফ আহমাদি সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেন, “এ অভিযানে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মুক্ত করা হয়েছে।”
নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হামলাস্থলের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। ২০১১ সালের ডিসেম্বরের পর এ ধরনের ভয়াবহ হামলা হলো। সেবারের হামলায় প্রায় ৮০ জন নিহত হয়।
উল্লেখ্য, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্ব হস্তান্তর করে ২০১৪ সালে আফগানিস্তান ছাড়ার কথা রয়েছে ন্যাটো সৈন্যদের। কিন্তু সাম্প্রতিককালের এ ধরনের হামলা আফগান কর্তৃপক্ষের চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
No comments