হেফাজতকে তুষ্ট করতেই ব্লগারদের গ্রেফতার
গ্রেফতারকৃত তিন ব্লগার শাহবাগ গণজাগরণ
চত্বরে গণজাগরণ মঞ্চের গণআন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করেছেন
ব্লগাররা। তারা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াত শিবির নিষিদ্ধসহ ৬
দফা দাবিতে চলমান গণআন্দোলনে সোচ্চার ছিলেন তারা।
আর এই আন্দোলনের বিরোধীতাকারী হেফাজতে ইসলামকে তুষ্ট করতেই তিন ব্লগারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লগারদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, আরিফ জেবতিক, বাকি বিল্লা, আবু মোস্তাফিজ, পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত ৩ ব্লগারকে মুক্ত করার দাবি জানান ব্লগাররা। আমার ব্লগ এর ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ারও দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদুল হক বলেন, ‘‘ধর্মীয় বিষয়ে উস্কানিমূলক ব্লগ লেখার অভিযোগ তুলে রাসেল পারভেজ, মশউর রহমান বিপ্লব এবং সুব্রত শুভকে ডিবি পুলিশ সোমবার রাতে তুলে নিয়ে যায় এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘ডিবি পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে ব্লগারদের হাজির করেছে দাগী আসামিদের মতো। তারা প্রকাশ্যে থাকা সত্ত্বেও ডিবি বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘রাসেল পারভেজ প্রায় প্রতিদিনই শাহবাগে আসতেন এবং আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুক্ত হতেন। অন্য দুই ব্লগারও প্রথম থেকেই অনলাইনে এবং গণজাগরণ চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় ছিলেন।’’
‘‘যেখানে সারা দেশের ব্লগাররা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলার শিকার হচ্ছে, সেখানে ব্লগারদেরকেই গ্রেফতার করা হতাশাজনক।’’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরিফ জেবতিক বলেন, ‘‘শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরের আন্দোলনে সম্পৃক্ততা ছিলো এই ব্লগারদের। আর হেফাজতে ইসলাম যেহেতু এই আন্দোলনের বিপক্ষে, তাই তাদের তুষ্ট করতেই রাতের অন্ধকারে তুলে নেওয়া হয়েছে তাদের।।
তিনি বলেন, ‘‘হেফাজতে ইসলামের কাছে ক্রমাগত হেরে যাচ্ছে সরকার। জামায়াতি ফেসবুক পেজ বাঁশের কেল্লা থেকে ঘোষণা দিয়ে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। সে ব্যাপারে সরকারের কোনো নজর নেই, কিন্তু ব্লগাররা কোথায় কি লিখছেন, সেটি খুঁজে বের করছে।’’
সরকার যে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা করেছে তাদের ওপর আরো নির্যাতন আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আরিফ জেবতিক। এ ধরনের নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্লগারদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লগারদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, আরিফ জেবতিক, বাকি বিল্লা, আবু মোস্তাফিজ, পারভেজ।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত ৩ ব্লগারকে মুক্ত করার দাবি জানান ব্লগাররা। আমার ব্লগ এর ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ারও দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ফাহমিদুল হক বলেন, ‘‘ধর্মীয় বিষয়ে উস্কানিমূলক ব্লগ লেখার অভিযোগ তুলে রাসেল পারভেজ, মশউর রহমান বিপ্লব এবং সুব্রত শুভকে ডিবি পুলিশ সোমবার রাতে তুলে নিয়ে যায় এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।’’
অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘ডিবি পুলিশ সংবাদ সম্মেলনে ব্লগারদের হাজির করেছে দাগী আসামিদের মতো। তারা প্রকাশ্যে থাকা সত্ত্বেও ডিবি বলছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘রাসেল পারভেজ প্রায় প্রতিদিনই শাহবাগে আসতেন এবং আন্দোলনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যুক্ত হতেন। অন্য দুই ব্লগারও প্রথম থেকেই অনলাইনে এবং গণজাগরণ চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সক্রিয় ছিলেন।’’
‘‘যেখানে সারা দেশের ব্লগাররা মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির হামলার শিকার হচ্ছে, সেখানে ব্লগারদেরকেই গ্রেফতার করা হতাশাজনক।’’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আরিফ জেবতিক বলেন, ‘‘শাহবাগ গণজাগরণ চত্বরের আন্দোলনে সম্পৃক্ততা ছিলো এই ব্লগারদের। আর হেফাজতে ইসলাম যেহেতু এই আন্দোলনের বিপক্ষে, তাই তাদের তুষ্ট করতেই রাতের অন্ধকারে তুলে নেওয়া হয়েছে তাদের।।
তিনি বলেন, ‘‘হেফাজতে ইসলামের কাছে ক্রমাগত হেরে যাচ্ছে সরকার। জামায়াতি ফেসবুক পেজ বাঁশের কেল্লা থেকে ঘোষণা দিয়ে রেললাইন উপড়ে ফেলা হয়। সে ব্যাপারে সরকারের কোনো নজর নেই, কিন্তু ব্লগাররা কোথায় কি লিখছেন, সেটি খুঁজে বের করছে।’’
সরকার যে ৮৪ জন ব্লগারের তালিকা করেছে তাদের ওপর আরো নির্যাতন আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন আরিফ জেবতিক। এ ধরনের নির্যাতনের প্রতিবাদে ব্লগারদের প্রতিবাদী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
No comments