রাতের অন্ধকারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ‘প্রতিদিন লাশের মিছিলে নতুন নতুন শহীদের নাম
যোগ হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে র্যাব-পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যা করছে।’
তিনি
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হরতাল পরবর্তী সংবাদ
সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল দাবি করেন, হরতালে সারা দেশে বিরোধী
দলের দুই নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের
নেতাকর্মীদের হামলায় ৩৮২ জন আহত এবং ২০৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ৫
শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। হত্যার বর্ণনা দিয়ে
তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালে রামপুরার ২৩ নং ওয়ার্ডের বিএনপি নেতা মো.
হাসানকে তার বাসা থেকে ধরে নিয়ে ক্রসফায়ারে হত্যা করেছে আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনী।’ এরপর এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে ছিনতাইয়ের নাটক সাজানো
হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।তিনি এ সময় বলেন,
এছাড়া সোমবার চট্টগ্রামে যুবদল নেতা মো. বেলাল হোসেনকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ
নেতাকর্মীরা হত্যা করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে দেশে এখন আইনের শাসন নেই। দেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্রের বিচার, আইন ও শাসন ব্যবস্থা এখন ব্যক্তির হাতে। তাই এখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিরোধী মতের মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, যা অতীতের সব রেকর্ড হার মানিয়েছে।বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় কোনো নিরপেক্ষতা নেই। তাতে রয়েছে প্রচণ্ড দাম্ভিকতা। বিরোধী মতের মানুষকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়ার পর এবার তিনি বলেছেন-বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের হুকুমের আসামি করা হবে।‘তবে মামলা দিয়ে এ জুলুমবাজ সরকার আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না। জনগণ এখন রাজপথে নেমে এসেছে’-যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সব স্তরে এখন ধস নেমে এসেছে। অন্ন, বস্ত্রের মত মানুষের মৌলিক সমস্যার সমাধান করার দিকে সরকারের নজর নেই। তাদের সব ব্যর্থতা ঢেকে নির্বাচনে জিততে সংবিধান সংশোধন করেছে বলেও বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পুরে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে সরকার। তবে ১৮ দলীয় জোটের নেতা খালেদার জিয়ার নেতৃত্বে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকারের পতন ঘটিয়ে আন্দোলন শেষ করবেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এজন্য তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
অবিলম্বে বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, এসব ঘটনা প্রমাণ করে দেশে এখন আইনের শাসন নেই। দেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্রের বিচার, আইন ও শাসন ব্যবস্থা এখন ব্যক্তির হাতে। তাই এখানে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিরোধী মতের মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে, যা অতীতের সব রেকর্ড হার মানিয়েছে।বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষায় কোনো নিরপেক্ষতা নেই। তাতে রয়েছে প্রচণ্ড দাম্ভিকতা। বিরোধী মতের মানুষকে দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দেয়ার পর এবার তিনি বলেছেন-বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের হুকুমের আসামি করা হবে।‘তবে মামলা দিয়ে এ জুলুমবাজ সরকার আন্দোলন বন্ধ করতে পারবে না। জনগণ এখন রাজপথে নেমে এসেছে’-যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি আরও বলেন, সমাজের সব স্তরে এখন ধস নেমে এসেছে। অন্ন, বস্ত্রের মত মানুষের মৌলিক সমস্যার সমাধান করার দিকে সরকারের নজর নেই। তাদের সব ব্যর্থতা ঢেকে নির্বাচনে জিততে সংবিধান সংশোধন করেছে বলেও বিএনপির এই মুখপাত্র অভিযোগ করেন।তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাদের জেলে পুরে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে সরকার। তবে ১৮ দলীয় জোটের নেতা খালেদার জিয়ার নেতৃত্বে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে তারা সরকারের পতন ঘটিয়ে আন্দোলন শেষ করবেন বলেও জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আরও বলেন, সরকারের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে। এজন্য তারা বিরোধী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে।
অবিলম্বে বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করে ব্যর্থতার দায় নিয়ে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি।
No comments