ঢাকাবাসীর জন্য উপহার জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,
“জিল্লুর রহমান মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভারের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে
রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো।
স্বাধীনতার মাসে আরেকটি উপহার দিলাম ঢাকাবাসীকে।”
বুধবার
রাজধানীর মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভারের উদ্বোধন গলফ ক্লাব মিলনায়তনে
আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে ফ্লাইওভার
যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
তিনি
বলেন, ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এয়ারপোর্ট সড়ক। এই ফ্লাইওভার দিয়ে
বৃহত্তর মিরপুরে বসবাসকারী লাখ লাখ মানুষ ঢাকা সেনানিবাসের ওপর দিয়ে
এয়ারপোর্ট রোডে যাতায়াত করতে পারবেন। এর ফলে দূরত্ব কমবে প্রায় ৮
কিলোমিটার। পাশাপাশি থাকবে না যানজটের ঝামেলা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার জিল্লুর রহমানের নামে নামকরণের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন সিদ্দিক। ফ্লাইওভার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। ২০০১ সালে যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেই তখন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ, সংযোগস্থল উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সে কাজগুলো আর এগোয়নি। এবার ক্ষমতায় এসে আবার এই কাজগুলো সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রাদেশিক সরকারের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, ভৌগোলিক দিক দিয়ে এত ছোট যে প্রদেশ করা কঠিন হয়ে যাবে। অযথা আরো প্রশাসনিক কাজ ও খরচ না বাড়িয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “সারা দেশ থেকে ৮/৯ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় আসতে পারবে, এ ধরনের একটি যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চাই। শুধু শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়েই সব যোগাযোগ করতে হবে এমন নয়। এরই মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট লাইন দিয়েছি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরির আবেদন করা, টেন্ডার দেওয়াসহ অনেক কাজ করতে ঢাকায় আসতে হয় না।”
তিনি বলেন, “পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা ১৯ হাজার ২৫০ কিলোমিটার সড়ক, এক লাখ ৩৫ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ ও এক হাজার ৫২টি গ্রোথ সেন্টারের উন্নয়ন করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমিয়েছি। পাঁচ কোটি মানুষ দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে।”
ফ্লাইওভার প্রকল্প
মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৃহত্তর মিরপুরবাসী ফ্লাইওভার ব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট সড়কে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের ১১ কিলোমিটার সড়কের পরিবর্তে মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ফ্লাইওভারের নিচে নির্মিত সার্ভিস রোড ব্যবহার করে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোডের উভয় পাশে অতি সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এতে রাস্তার ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা মহানগরীর বৃহত্তর মিরপুরবাসীর অসহনীয় যানজট নিরসন এবং স্বল্প সময়ে এয়ারপোর্ট পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ২০১০ সালের মার্চে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যদের নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতায় নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৩ মিটার ও প্রস্থ ১৫ দশমিক ৫২ মিটার। লেন সংখ্যা চারটি। এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার হোসেন লি:। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন এ প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের অধীনস্থ ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ান। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার জিল্লুর রহমানের নামে নামকরণের ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেনাপ্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, সড়ক বিভাগের সচিব এমএএন সিদ্দিক। ফ্লাইওভার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল। ২০০১ সালে যখন ক্ষমতা থেকে বিদায় নেই তখন খাদ্য উদ্বৃত্ত রেখে গিয়েছি। ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণ, সংযোগস্থল উন্নয়ন কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে সে কাজগুলো আর এগোয়নি। এবার ক্ষমতায় এসে আবার এই কাজগুলো সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রাদেশিক সরকারের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেন, ভৌগোলিক দিক দিয়ে এত ছোট যে প্রদেশ করা কঠিন হয়ে যাবে। অযথা আরো প্রশাসনিক কাজ ও খরচ না বাড়িয়ে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা শক্তিশালী করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “সারা দেশ থেকে ৮/৯ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকায় আসতে পারবে, এ ধরনের একটি যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টি করতে চাই। শুধু শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়েই সব যোগাযোগ করতে হবে এমন নয়। এরই মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত ইন্টারনেট লাইন দিয়েছি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরির আবেদন করা, টেন্ডার দেওয়াসহ অনেক কাজ করতে ঢাকায় আসতে হয় না।”
তিনি বলেন, “পল্লী অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা ১৯ হাজার ২৫০ কিলোমিটার সড়ক, এক লাখ ৩৫ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ ও এক হাজার ৫২টি গ্রোথ সেন্টারের উন্নয়ন করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমিয়েছি। পাঁচ কোটি মানুষ দরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত শ্রেণীতে উন্নীত হয়েছে।”
ফ্লাইওভার প্রকল্প
মিরপুর-এয়ারপোর্ট ফ্লাইওভার রাজধানীর পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বৃহত্তর মিরপুরবাসী ফ্লাইওভার ব্যবহার করে ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে এয়ারপোর্ট সড়কে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনের ১১ কিলোমিটার সড়কের পরিবর্তে মাত্র তিন কিলোমিটার সড়ক ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও ফ্লাইওভারের নিচে নির্মিত সার্ভিস রোড ব্যবহার করে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোডের উভয় পাশে অতি সহজে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এতে রাস্তার ধারণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা মহানগরীর বৃহত্তর মিরপুরবাসীর অসহনীয় যানজট নিরসন এবং স্বল্প সময়ে এয়ারপোর্ট পৌঁছানোর লক্ষ্যে সরকার যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ২০১০ সালের মার্চে মিরপুর-এয়ারপোর্ট রোড ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সদস্যদের নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতায় নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৩ মিটার ও প্রস্থ ১৫ দশমিক ৫২ মিটার। লেন সংখ্যা চারটি। এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার হোসেন লি:। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আওতাধীন এ প্রকল্পের কাজটি সম্পন্ন করেছে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্ক অর্গানাইজেশনের অধীনস্থ ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ান। ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৯৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
No comments