প্রচলিত আইনেই গুলির বিধান রয়েছেঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশকতাকারীদের দমনে দেখামাত্র গুলির
ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সরকারের নির্দেশনা নিয়ে
সৃষ্ট ধূম্রজালের অবসান ঘটালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর।
তিনি
বলেছেন, দেখামাত্র গুলি নয়। তবে যারা নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকবেন, তাদের
বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর প্রচলিত আইনের
মধ্যেই প্রয়োজনে গুলি করার বিধানটি রয়েছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।
বুধবার
র্যাব হেডকোয়ার্টারে সংস্থাটির নবম বর্ষপূতিতে র্যাবের উর্ধ্বতন
কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে
এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক থেকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ট্রেন, রেলপথ সেতু ইত্যাদিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আর কোনো ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এমনকি নাশকতা ঠেকাতে প্রয়োজনে দেখা মাত্র গুলিরও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকরা স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে ওই বৈঠকের নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চান।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছেন, রেললাইন ও বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দিয়ে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করে নাশকতামূলক কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর ক্ষেত্রবিশেষে গুলি করাও আইনি এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে।
এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে যারা রাজনীতির অপচেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করে খালেদা জিয়ার দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্য সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
বুধবার দুপুরে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র সচিব পিকিউএম মোশতাক আহমেদ, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের ডিজি মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন দেশের আইন বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষকরা। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও ড. তুহিন মালিক বলেছেন, দেখামাত্র গুলির কোনো বিধান কোনো আইনে রয়েছে বলে তাদের জানা নেই। একই ধরনের মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুসারেও এটা করতে পারে না পুলিশ।’’
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘পুলিশ ধাপে ধাপে সব ধরনের ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার পর গুলি করার পদক্ষেপ নিতে পারে। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ইত্যাদি ব্যবস্থায় আইন-শৃঙ্খলাবিরোধীদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমাতে না পারলে তখন এ ধরনের পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’’
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠক থেকে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড যেমন ট্রেন, রেলপথ সেতু ইত্যাদিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আর কোনো ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এমনকি নাশকতা ঠেকাতে প্রয়োজনে দেখা মাত্র গুলিরও নির্দেশ দেওয়া হয় বলে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই সাংবাদিকরা স্বরাষ্টমন্ত্রীর কাছে ওই বৈঠকের নির্দেশনা সম্পর্কে জানতে চান।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, যারা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করে জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করছেন, রেললাইন ও বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দিয়ে জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করে নাশকতামূলক কাজ করছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আর ক্ষেত্রবিশেষে গুলি করাও আইনি এখতিয়ারের মধ্যেই পড়ে।
এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে যারা রাজনীতির অপচেষ্টা করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করে খালেদা জিয়ার দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্য সম্পর্কে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
বুধবার দুপুরে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, স্বরাষ্ট্র সচিব পিকিউএম মোশতাক আহমেদ, পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকার, র্যাবের ডিজি মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন দেশের আইন বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষকরা। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও ড. তুহিন মালিক বলেছেন, দেখামাত্র গুলির কোনো বিধান কোনো আইনে রয়েছে বলে তাদের জানা নেই। একই ধরনের মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক গাইডলাইন অনুসারেও এটা করতে পারে না পুলিশ।’’
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘পুলিশ ধাপে ধাপে সব ধরনের ব্যবস্থা ব্যর্থ হওয়ার পর গুলি করার পদক্ষেপ নিতে পারে। লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ইত্যাদি ব্যবস্থায় আইন-শৃঙ্খলাবিরোধীদের অপরাধমূলক কার্যকলাপ দমাতে না পারলে তখন এ ধরনের পুলিশি পদক্ষেপ নেওয়া যায়।’’
No comments