সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশকে চাপ দিতে পারে বৃটেন
বাংলাদেশে সহিংসতা যাতে বৃদ্ধি না পায় এবং
তা যাতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে না পারে সে জন্য বন্ধু হিসেবে যথার্থ
চাপ দিতে পারে বৃটেন। এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ
এমপি রুশনারা আলী।
সিলেটের বিশ্বনাথে জন্মগ্রহণকারী
রুশনারা বৃটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক ছায়া মন্ত্রীও। তিনি
রাজনীতিবিদদের বলেছেন, বৃটিশ পার্লামেন্টে আমরা যারা আছি আমাদের নিশ্চিত
করতে হবে বাংলাদেশের মতো দেশকে আমাদের সমর্থনের বিষয়টি, যাতে আগেভাগেই
ব্যবস্থা নেয়া হয়। সোমবার অনলাইন ইস্ট লন্ডন এডভারটাইজার এ খবর দিয়েছে। এর
শিরোনাম- ‘টাওয়ার হ্যামলেটস এমপি কলস ফর কাম ইন বরো ফলোয়িং ভায়োলেন্ট
ক্ল্যাশেস্ ইন বাংলাদেশ’। ক্লোই মায়ারের লেখা ওই প্রতিবেদনে বলা হয়,
টাওয়ার হ্যামলেটের বেথনাল অ্যান্ড বো এলাকার প্রতিনিধিত্ব করেন এমপি
রুশনারা। বাংলাদেশে যে সহিংস সংঘাত শুরু হয়েছে তার ওপর তার আহ্বানে বৃটিশ
পার্লামেন্টে বিতর্ক হয়েছে ১৯শে মার্চ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়
সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর দু’নেতাকে মৃত্যুদণ্ড
দেয়ার পর ওই দলের সমর্থক ও অন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ
শুরু হয়। এতে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশের এই অস্থির পরিস্থিতি
স্পর্শ করেছে বৃটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশী সমপ্রদায়কেও। হোয়াইট চ্যাপেল
সড়কের পাশে আলতাব আলী পার্কে সপ্তাহের ছুটির দিনে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ
সমাবেশ হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করতে আন্তর্জাতিক
সমপ্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে। গত ১৯শে মার্চ টাওয়ার হ্যামলেটসে
বিক্ষোভের প্রসঙ্গ বৃটিশ পার্লামেন্টের বিতর্কের সময় তুলে ধরেন রুশনারা
আলী। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে ও প্রতি শুক্রবার আমার
নির্বাচনী আসনের বড় পার্ক আলতাব আলী পার্কে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। যারা এতে
অংশ নেন তাদের প্রতি আমার অনুরোধ- বিক্ষোভ যেন শান্তিপূর্ণ হয় এবং তারা যেন
তাদের দাবি-দাওয়া বা উদ্বেগের বিষয়টি শান্তিপূর্ণ উপায়ে তুলে ধরেন। তারা
যদি দায়িত্বহীনের মতো আচরণ করেন তাতে বাংলাদেশের নারী-পুরুষের জন্য ভাল
কিছু করতে পারবেন না।
No comments