গাড়িতে আগুন ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে দিয়ে চলছে হরতাল
আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, সারা দেশে
গণহত্যার প্রতিবাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালেরর দাবিতে
বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকে বুধবার সকাল ৬টা থেকে
সারা দেশে টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে
হরতালের শুরুতেই রাজধানী ঢাকায় মারমুখী অবস্থায় নিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে
হরতালের সমর্থনে রাস্তায় মিছিল বের ও পিকেটিং করতে তত্পর রয়েছে বিরোধীদলীয়
নেতা-কর্মীরা। হরতাল সমর্থকরা বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন চলাচলে বাধা দেয়ার
চেষ্টা করছে। রাজধানীর গুলশানে হরতাল সমর্থনের মিছিল থেকে ৫টি ককটেল
বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মিছিলকারিরা। ১৮ দলের চলা হরতালের প্রথম দিনে বুধবার সকাল
পৌনে নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলশানের ইকবাল টাওয়ারের কাছে ছাত্রদলের ব্যানারে একটি ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলের এক পর্যায়ে পরপর ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। জানা গেছে, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয় এবং পুরো এলাকায় তল্লাসি শুরু করে। এসময় সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিনসহ ছাত্রদলের দুই কর্মী রুপম ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে পুলিশ।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। এ সময় মিছিল থেকে পিকেটাররা ৩টি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর ও একটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি কদমতলীর ইত্যাদি খেলার মাঠের সামনে থেকে বের হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচ থেকে একটি মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
১৮ দলীয় জোটের ডাকা চলমান হরতালের সমর্থনে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পিকেটাররা।হরতালের শুরুতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তবে পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে, কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময়ে পিকেটাররা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টায় হরতাল সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের পুরাতন কোর্ট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়।মিছিলটি শহরের গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক মোড় (ব্যাংকটি এখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড নামকরণ করা হয়েছে) হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে গলাচিপার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ পেছন থেকে মিছিলে ধাওয়া দেয়। এ সময় পিকেটাররা গলাচিপা মোড়ে ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর লাঠিপেটা করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে সকাল সাড়ে ৬টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল লাইনের ওপর টায়ারে আগুন দেয়। পরে রেল লাইন থেকে পোড়া টায়ার সরিয়ে নেয় পুলিশ।এর কিছুক্ষণ পরই উকিলপাড়া মোড়ে একটি ট্রাক ভাঙচুর করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে শুরু হয় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তবে পুলিশ ফাঁকা গুলি করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময়ে গলাচিপা মোড়ে পুলিশ আমাদের পেছন থেকে আক্রমণ করে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।”নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল জানান, “গলাচিপা ও উকিলপাড়ায় পৃথক ঘটনায় বিএনপির অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তবে আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, পিকেটাররা জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির সময়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন বিএনপির লোকজন পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আক্রমণ করলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সোমবার বিকেলে টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, রাজশাহীতে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ১৮ দলের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলশানের ইকবাল টাওয়ারের কাছে ছাত্রদলের ব্যানারে একটি ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলের এক পর্যায়ে পরপর ৫টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পরে। জানা গেছে, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয় এবং পুরো এলাকায় তল্লাসি শুরু করে। এসময় সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিনসহ ছাত্রদলের দুই কর্মী রুপম ও মোহাম্মদ আলীকে আটক করে পুলিশ।
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়। এ সময় মিছিল থেকে পিকেটাররা ৩টি পিকআপ ভ্যান ভাঙচুর ও একটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের উদ্যোগে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি কদমতলীর ইত্যাদি খেলার মাঠের সামনে থেকে বের হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নিচ থেকে একটি মিছিল বের করে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
১৮ দলীয় জোটের ডাকা চলমান হরতালের সমর্থনে রাজধানীর ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে পিকেটাররা।হরতালের শুরুতে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে একটি ঝটিকা মিছিল বের করে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। তবে পুলিশ ধাওয়া দিলে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে, কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের কয়েক দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের সময়ে পিকেটাররা কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টায় হরতাল সমর্থনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে শহরের শায়েস্তা খান সড়কের পুরাতন কোর্ট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের হয়।মিছিলটি শহরের গ্রিন্ডলেজ ব্যাংক মোড় (ব্যাংকটি এখন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড নামকরণ করা হয়েছে) হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে গলাচিপার মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ পেছন থেকে মিছিলে ধাওয়া দেয়। এ সময় পিকেটাররা গলাচিপা মোড়ে ২টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ মিছিলকারীদের ওপর লাঠিপেটা করলে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এদিকে সকাল সাড়ে ৬টায় বিএনপি নেতাকর্মীরা শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল লাইনের ওপর টায়ারে আগুন দেয়। পরে রেল লাইন থেকে পোড়া টায়ার সরিয়ে নেয় পুলিশ।এর কিছুক্ষণ পরই উকিলপাড়া মোড়ে একটি ট্রাক ভাঙচুর করে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে শুরু হয় দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। তবে পুলিশ ফাঁকা গুলি করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় তারা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করার সময়ে গলাচিপা মোড়ে পুলিশ আমাদের পেছন থেকে আক্রমণ করে বেধড়ক লাঠিপেটা করে।”নারায়ণগঞ্জ শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল জানান, “গলাচিপা ও উকিলপাড়ায় পৃথক ঘটনায় বিএনপির অন্তত ৫ কর্মী আহত হয়েছেন। তাদের পরিচয় তাৎক্ষনিকভাবে জানা যায়নি। তবে আহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।”
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঞ্জুর কাদের জানান, পিকেটাররা জনস্বার্থ বিঘ্নিত করে ভাঙচুর ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির সময়ে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন বিএনপির লোকজন পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আক্রমণ করলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উল্লেখ্য, দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে সোমবার বিকেলে টানা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের ডাক দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে, রাজশাহীতে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ১৮ দলের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতাল।
হরতাল
শুরুতে বুধবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মহানগরীর কাদিরগঞ্জ মোড়ে বিএনপির
যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনুর নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে
মহানগর বিএনপি।মিছিলটি মালোপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় সবাই
রাস্তার ওপর বসে যান। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মিজানুর রহমান মিনু।
এক পর্যায়ে পাশ থেকে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে হরতাল
সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।পরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু,
দলের কেন্দ্রীয় সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মহানগর সাধারণ সম্পাদক
অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ প্রথম সারির নেতারা মালোপাড়ার কাবিল ম্যানসনে
অবস্থিত মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান নেন। এদিকে সকাল সাড়ে
৭টার সময় শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। শিবির কর্মীরা
মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকা থেকে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। এ সময় লোকনাথ
হাইস্কুলের সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ
ঘটায় তারা। পরে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে শতাধিক টিয়ারসেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও
রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।শিবির কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে পাল্টা
ইট-পাটকেল ছোড়ে। এসময় ইটের আঘাতে আনোয়ার নামের এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন।
এক পর্যায়ে জামায়াত-শিবির কর্মীরা পিছু হটলে পুলিশ হেতেমখাঁ ও রাজারহাটা
এলাকায় অভিযান চালায়। তবে এসময় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে, হরতালে নাশকতা এড়াতে বুধবার ভোরে ধরমপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনসার আলীকে আটক করে। বর্তমানে তাকে বোয়ালিয়া থানায় রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে আরও দশজনকে আটক করেছে পুলিশ।সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজশাহীতে বড় ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচল করছে না। মহানগরীতে রিকশা, অটো রিকশা, হিউম্যান হলারসহ হাল্কা যানবাহন চলাচল করছে।
হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতার রোধে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মহানগরীতে ৩ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি ও খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন রুটের ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
সকাল থেকেই মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মণিচত্বর, সোনাদীঘির মোড়, আলুপট্টি, কুমার পাড়া, লক্ষীপুর, গৌরহাঙ্গা রেলগেট, বিনোদপুর, তালাইমারী, ভদ্রা, কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বাস টার্মিনাল, কোর্ট, শালবাগান, নওদাপাড়াসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের বনানীর বাসায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মন্ত্রী বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ মোতাবেক হরতালের নাশকতা করলে বিরোধীদলীয় কর্মীদের গুলি করার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। গত ১১ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানকালে হামলা, ভাঙচুর শেষে পুলিশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৫৪ জন নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।
১২ মার্চ ফখরুল, সাদেক হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়ে ১৮ দলের আটক ১৫৪ জন নেতার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পল্টন থানা পুলিশ। দুই মামলায় আরো ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। গত ২০ মার্চ এ দুই মামলায় বিরোধীদলীয় ১৫১ জন নেতাকে মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তিন দিন ও বিস্ফোরণের মামলায় অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলী হোসেন পাঁচ দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড দেন।
গত রবিবার রিমান্ড চলাকালেই পুলিশের ওপর হামলা ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জায়নাল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান ও মো. শাজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এম জাহিদ হোসেন সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবকে মামলায় হুকুমের আসামি করে ১৮ দলের ১৪৮ জন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ সব ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার সারা দেশে বুধবার থেকে টানা ৩৬ ঘন্টার হরতালের ডাক দেয় ১৮ দল।
এদিকে, হরতালে নাশকতা এড়াতে বুধবার ভোরে ধরমপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এবং রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনসার আলীকে আটক করে। বর্তমানে তাকে বোয়ালিয়া থানায় রাখা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে আরও দশজনকে আটক করেছে পুলিশ।সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজশাহীতে বড় ধরণের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। হরতালে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটের বাস চলাচল করছে না। মহানগরীতে রিকশা, অটো রিকশা, হিউম্যান হলারসহ হাল্কা যানবাহন চলাচল করছে।
হরতালে যে কোনো ধরনের নাশকতার রোধে মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মহানগরীতে ৩ প্লাটুন বিজিবি টহল দিচ্ছে। সকালে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সিল্কসিটি ও খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন রুটের ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
সকাল থেকেই মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, মণিচত্বর, সোনাদীঘির মোড়, আলুপট্টি, কুমার পাড়া, লক্ষীপুর, গৌরহাঙ্গা রেলগেট, বিনোদপুর, তালাইমারী, ভদ্রা, কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বাস টার্মিনাল, কোর্ট, শালবাগান, নওদাপাড়াসহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দীন খান আলমগীরের বনানীর বাসায় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে এক জরুরি বৈঠকে মন্ত্রী বিরোধী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ মোতাবেক হরতালের নাশকতা করলে বিরোধীদলীয় কর্মীদের গুলি করার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। গত ১১ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানকালে হামলা, ভাঙচুর শেষে পুলিশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৫৪ জন নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়।
১২ মার্চ ফখরুল, সাদেক হোসেন খোকা ও আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে ছেড়ে দিয়ে ১৮ দলের আটক ১৫৪ জন নেতার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে পল্টন থানা পুলিশ। দুই মামলায় আরো ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। গত ২০ মার্চ এ দুই মামলায় বিরোধীদলীয় ১৫১ জন নেতাকে মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী তিন দিন ও বিস্ফোরণের মামলায় অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আলী হোসেন পাঁচ দিন করে মোট আট দিনের রিমান্ড দেন।
গত রবিবার রিমান্ড চলাকালেই পুলিশের ওপর হামলা ও হাতবোমা বিস্ফোরণের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় সংসদের বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ জায়নাল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ, আমান উল্লাহ আমান ও মো. শাজাহান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড. এম জাহিদ হোসেন সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিবকে মামলায় হুকুমের আসামি করে ১৮ দলের ১৪৮ জন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ সব ঘটনার প্রতিবাদে গত সোমবার সারা দেশে বুধবার থেকে টানা ৩৬ ঘন্টার হরতালের ডাক দেয় ১৮ দল।
No comments