সংলাপ: হাসিনা-খালেদাকে রুল হাইকোর্টের
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি সংলাপে
বসার বিষয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার অবাধ ও
স্বচ্ছভাবে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট
নিরসনে দুই নেত্রী এবং তাদের জোটের মধ্যে সংসদের ভেতরে অথবা বাইরে রাজনৈতিক
সংলাপ অনুষ্ঠানের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে এ রুল জারি
করেন বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি জাফর আহমদের বিশেষ বেঞ্চ। ৪
সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
একই
সঙ্গে রাজনৈতিক অধিকার অথবা কর্মকাণ্ডের নামে বেআইনিভাবে বোমা ও ককটেল
নিক্ষেপ এবং গাড়ি-ঘোড়ায় অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে
না- তা জানতে চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের প্রতি রুল জারি করা হয়েছে।
দুই নেত্রীকে সংলাপে বসার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে এসব রুল জারি করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ। সরকার পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
আদেশের পরে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত এ রুল জারি করেছেন।’’
এম কে রহমান বলেন, ‘‘আমি আদালতে বলেছি, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। আমরা আইনিভাবে এ রুলের মোকাবেলা করবো।’’
এর আগে শুনানিতে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আপনারা (আদালত) পারেন মুক্তি দিতে। কারণ, ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ভর করছে দুটি ইনটেনশনের ওপর। আমার ভয় হয়, দেশ কী ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলছে?। দুই নেত্রীকে সংলাপে বসাতে সব চাপ ব্যর্থ হচ্ছে। টকশো’ থেকে বন্ধু রাষ্ট্র ও বিশিষ্টজনেরা চাপ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংলাপে তারা বসছেন না। কেন তারা বসছেন না এর ব্যাখ্যা চাইতে পারেন আদালত। এ জন্য একটি রুল দেওয়ার আবেদন করছি।’’
এম কে রহমান শুনানিতে বলেন, ‘‘দুই জোটের অনেক দলই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়। নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সব দলকে ডেকেছিলো। কিন্তু বিরোধী দল তাতে যায়নি। এছাড়া এ রুল কার ওপরে দেওয়া হবে? আর রাজনৈতিক ইস্যুতে আদালত কিভাবে আদেশ দেবেন? আর আদেশ দিলেও তারা যদি বাস্তবায়ন না করেন, তখন কি হবে?’’
গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ। পরে ২০ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি জাফর আহমদের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও এ রিটের পক্ষে শুনানি করবেন বলে আদালতকে অবহিত করেন।
এরপর ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে ছুটি থাকায় আর শুনানি হয়নি।
এদিকে ২১ মার্চের পরে ওই অবকাশকালীন বেঞ্চের এখতিয়ার না থাকায় আবেদনকারীরা প্রধান বিচারপতির কাছে রিট শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি গত সোমবার একই বেঞ্চকেই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এ রিট শুনানি করতে অনুমতি দেন।
রিট আবেদনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট, নির্বাচন কমিশন (ইসি), বাংলাদেশ সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়।
এর আগের শুনানিতে রিট আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, “চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশে হরতাল-অবরোধ হচ্ছে। এ হরতাল-অবরোধের কারণে সম্প্রতি দেড় শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।
১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান পরিত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।”
দুই নেত্রীকে সংলাপে বসার নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে এসব রুল জারি করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ। সরকার পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান।
আদেশের পরে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আদালত এ রুল জারি করেছেন।’’
এম কে রহমান বলেন, ‘‘আমি আদালতে বলেছি, এই রিট গ্রহণযোগ্য নয়। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। আমরা আইনিভাবে এ রুলের মোকাবেলা করবো।’’
এর আগে শুনানিতে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বলেন, ‘‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে আপনারা (আদালত) পারেন মুক্তি দিতে। কারণ, ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য নির্ভর করছে দুটি ইনটেনশনের ওপর। আমার ভয় হয়, দেশ কী ব্যর্থ রাষ্ট্র হতে চলছে?। দুই নেত্রীকে সংলাপে বসাতে সব চাপ ব্যর্থ হচ্ছে। টকশো’ থেকে বন্ধু রাষ্ট্র ও বিশিষ্টজনেরা চাপ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংলাপে তারা বসছেন না। কেন তারা বসছেন না এর ব্যাখ্যা চাইতে পারেন আদালত। এ জন্য একটি রুল দেওয়ার আবেদন করছি।’’
এম কে রহমান শুনানিতে বলেন, ‘‘দুই জোটের অনেক দলই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত নয়। নির্বাচন কমিশন সীমানা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সব দলকে ডেকেছিলো। কিন্তু বিরোধী দল তাতে যায়নি। এছাড়া এ রুল কার ওপরে দেওয়া হবে? আর রাজনৈতিক ইস্যুতে আদালত কিভাবে আদেশ দেবেন? আর আদেশ দিলেও তারা যদি বাস্তবায়ন না করেন, তখন কি হবে?’’
গত ১৪ মার্চ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. মো. ইউনুস আলী আকন্দ। পরে ২০ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম ও বিচারপতি জাফর আহমদের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও এ রিটের পক্ষে শুনানি করবেন বলে আদালতকে অবহিত করেন।
এরপর ২১ মার্চ রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে ছুটি থাকায় আর শুনানি হয়নি।
এদিকে ২১ মার্চের পরে ওই অবকাশকালীন বেঞ্চের এখতিয়ার না থাকায় আবেদনকারীরা প্রধান বিচারপতির কাছে রিট শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ গঠনে আবেদন করেন। প্রধান বিচারপতি গত সোমবার একই বেঞ্চকেই বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে এ রিট শুনানি করতে অনুমতি দেন।
রিট আবেদনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট, নির্বাচন কমিশন (ইসি), বাংলাদেশ সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়।
এর আগের শুনানিতে রিট আবেদনকারী ইউনুস আলী আকন্দ বলেন, “চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশে হরতাল-অবরোধ হচ্ছে। এ হরতাল-অবরোধের কারণে সম্প্রতি দেড় শতাধিক মানুষ মারা গেছেন।
১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ, আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ, শান্তিপূর্ণ স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মুখোমুখি অবস্থান পরিত্যাগ করে দুই নেত্রীকে নিয়ে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে নির্দেশনা প্রার্থনা করছি।”
No comments