খালেদা জিয়ার মুখোশ খুলে গেছেঃ প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খালেদা
জিয়ার মুখোশ খুলে গেছে। তিনি যে দেশের স্বাধীনতা চাননি, তা প্রমাণিত
হয়েছে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি তাঁর পছন্দ নয় বলেই যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ
নিয়ে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে দেশে তিনি তাণ্ডব চালাচ্ছেন।
আজ
শনিবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভায় সূচনা বক্তব্যে
প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘খুনিদের রক্ষা ও লালন-পালন করা,
মদদ দেওয়া জন্মলগ্ন থেকেই বিএনপির চরিত্র। স্ব্বাধীনতা বিরোধীদের স্থানে
চলে যাওয়ায় এখন দেশের জনগণ খালেদা জিয়ার বিচার করবে।’
যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে ক্ষমতায় গেলে ট্রাইব্যুনাল করে বর্তমান সরকারের শীর্ষ পর্যায়সহ সবার বিচার করা হবে।
খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০১ সালের পর তারা যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার সমস্ত ডকুমেন্ট আছে। বিএনপির চরিত্র এখনো বদলায়নি। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে, পুলিশসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এসবের দায়ভারও খালেদা জিয়াকে নিতে হবে। তাই আগে এসবের বিচার হওয়া উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভালো একটা গুণ হলো, সর্প হয়ে দংশন করা, ওঝা হয়ে ঝাড়া। নিজেই তাণ্ডব সৃষ্টি করে আবার নিজেই সংখ্যালঘুদের সহানুভূতি জানাচ্ছেন। তবে জনগণ তাঁর এই নাটক বুঝতে সক্ষম হয়েছে।’ জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী অপকর্ম করছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিককালের তাণ্ডবের দায়ভার খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জুমার নামাজ শেষে সালাম ফেরানোর আগেই যারা তাণ্ডব শুরু করে, তারা কেমন মুসলমান? তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজ একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চেয়েছে বলে খালেদা জিয়া তাদের যা ইচ্ছা বলেছেন।
অতীতেও বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সেনাবাহিনীর বহু অফিসারকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৭ সালে ৬৬৫ জন বিমানবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, এটা বিরোধীদলীয় নেতা চান না। একাত্তরের পরাজিতদের পাশে থাকা, তাদের সাহায্য করা তাঁর চরিত্র।
যারা অপরাধ করবে, তাদের বিচার হবেই—উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে বিডিআরে একটা ক্যু হয়েছিল। কিন্তু সেটা ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা কোনো কিছু ধামাচাপা দেইনি। বিডিআরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদসহ উপদেষ্টামণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে, সেটাকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে ক্ষমতায় গেলে ট্রাইব্যুনাল করে বর্তমান সরকারের শীর্ষ পর্যায়সহ সবার বিচার করা হবে।
খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। আহসানউল্লাহ মাস্টার, শাহ এ এম এস কিবরিয়াসহ অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০১ সালের পর তারা যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার সমস্ত ডকুমেন্ট আছে। বিএনপির চরিত্র এখনো বদলায়নি। তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর সারা দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর যে হামলা হয়েছে, পুলিশসহ নিরীহ মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, এসবের দায়ভারও খালেদা জিয়াকে নিতে হবে। তাই আগে এসবের বিচার হওয়া উচিত।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার ভালো একটা গুণ হলো, সর্প হয়ে দংশন করা, ওঝা হয়ে ঝাড়া। নিজেই তাণ্ডব সৃষ্টি করে আবার নিজেই সংখ্যালঘুদের সহানুভূতি জানাচ্ছেন। তবে জনগণ তাঁর এই নাটক বুঝতে সক্ষম হয়েছে।’ জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধীদলীয় নেত্রী অপকর্ম করছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাম্প্রতিককালের তাণ্ডবের দায়ভার খালেদা জিয়াকেই নিতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জুমার নামাজ শেষে সালাম ফেরানোর আগেই যারা তাণ্ডব শুরু করে, তারা কেমন মুসলমান? তিনি বলেন, দেশের তরুণ সমাজ একাত্তরের ঘাতকদের বিচার চেয়েছে বলে খালেদা জিয়া তাদের যা ইচ্ছা বলেছেন।
অতীতেও বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে সেনাবাহিনীর বহু অফিসারকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৭ সালে ৬৬৫ জন বিমানবাহিনীর অফিসারকে হত্যা করা হয়। ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে বিএনপি অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে থাকুক, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, এটা বিরোধীদলীয় নেতা চান না। একাত্তরের পরাজিতদের পাশে থাকা, তাদের সাহায্য করা তাঁর চরিত্র।
যারা অপরাধ করবে, তাদের বিচার হবেই—উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বলেন, ‘বিএনপি আমলে বিডিআরে একটা ক্যু হয়েছিল। কিন্তু সেটা ধামাচাপা দেওয়া হয়। কিন্তু আমরা কোনো কিছু ধামাচাপা দেইনি। বিডিআরের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তোফায়েল আহমেদসহ উপদেষ্টামণ্ডলীর অধিকাংশ সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
No comments