ড্রোন হামলা চালিয়ে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে যুক্তরাষ্ট্রঃ জাতিসঙ্ঘ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ড্রোন হামলা চালিয়ে
পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন এবং উপজাতীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে ফেলছে।
জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার তদন্তকারীরা এ কথা বলেন।
তারা আফগান
সীমান্তের কাছে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে চালানো এ মার্কিন ড্রোন
হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। আলজাজিরা ও রয়টার্স।
মানবাধিকার
ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি বেন এমারসন বলেন, আন্তর্জাতিক
আইনের রীতিনীতি লঙ্ঘন করে পাকিস্তানের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি
বা বৈধ সরকারের সম্মতি ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে
যাচ্ছে। শুক্রবার জেনেভায় জাতিসঙ্ঘের হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের
কার্যালয় থেকে ইস্যু করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বেন এমারসন বলেন,
অন্য রাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া তার ভূখণ্ডে শক্তির প্রয়োগ সে দেশের
সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন লঙ্ঘন ঘটে।
তদন্তের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে ছিলেন এমারসন। পাকিস্তানে বেসামরিক লোকদের ওপর ড্রোন হামলার প্রভাব এবং অন্য পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে এমারসন বলেছিলেন, তিনি পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ২৫টি ড্রোন হামলার ঘটনা তদন্ত করেছেন। আগামী অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে তিনি চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটন তেমন কিছু বলেনি। এমারসেনের বিবৃতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, আমরা তার বিবৃতি দেখেছি। এই গোপনীয় তথ্য সম্পর্কে আমি স্পষ্ট করে কিছুই বলব না।
এমারসন বলেন, পাকিস্তানের উদ্বেগের প্রতি এখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনোযোগ দেয়া উচিত এবং অন্য রাষ্ট্রের জোরপূর্বক হস্তপে ছাড়াই পাকিস্তানের পরবর্তী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সুযোগ, সহায়তা ও সমর্থন দেয়া উচিত দেশটিতে শান্তি স্থায়ী করতে। পাকিস্তান, রাশিয়া ও চীনের দাবির পরিপ্রেেিত এমারসনকে ড্রোন হামলার বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয় ব্রিটেন ও ইসরাইলও ড্রোন ব্যবহার করে। আরো অনেক দেশের ড্রোন তৈরির প্রযুক্তি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি নিউ আমেরিকা ফাউন্ডেশন নামে এক মানবাধিকার সংগঠন জানায়, ২০০৪ সালের পর থেকে পাকিস্তানে চালকবিহীন ড্রোন হামলায় অন্তত তিন হাজার ২৭৯ জন মানুষ হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই নিরীহ সাধারণ মানুষ।
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নামে আরেকটি সংগঠন জানায়, ২০০৪ সালের পর থেকে পাকিস্তানে ৩৬৫টি ড্রোন হামলায় তিন হাজার ৫৭৭ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ৮৪৪ জনই বেসামরিক নাগরিক।
তদন্তের অংশ হিসেবে চলতি সপ্তাহে তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে ছিলেন এমারসন। পাকিস্তানে বেসামরিক লোকদের ওপর ড্রোন হামলার প্রভাব এবং অন্য পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করেছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে এমারসন বলেছিলেন, তিনি পাকিস্তান, ইয়েমেন, সোমালিয়া, আফগানিস্তান ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ২৫টি ড্রোন হামলার ঘটনা তদন্ত করেছেন। আগামী অক্টোবরে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে তিনি চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটন তেমন কিছু বলেনি। এমারসেনের বিবৃতি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, আমরা তার বিবৃতি দেখেছি। এই গোপনীয় তথ্য সম্পর্কে আমি স্পষ্ট করে কিছুই বলব না।
এমারসন বলেন, পাকিস্তানের উদ্বেগের প্রতি এখনই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনোযোগ দেয়া উচিত এবং অন্য রাষ্ট্রের জোরপূর্বক হস্তপে ছাড়াই পাকিস্তানের পরবর্তী গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সুযোগ, সহায়তা ও সমর্থন দেয়া উচিত দেশটিতে শান্তি স্থায়ী করতে। পাকিস্তান, রাশিয়া ও চীনের দাবির পরিপ্রেেিত এমারসনকে ড্রোন হামলার বিষয়টি তদন্ত করার দায়িত্ব দেয় জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদ। শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয় ব্রিটেন ও ইসরাইলও ড্রোন ব্যবহার করে। আরো অনেক দেশের ড্রোন তৈরির প্রযুক্তি রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি নিউ আমেরিকা ফাউন্ডেশন নামে এক মানবাধিকার সংগঠন জানায়, ২০০৪ সালের পর থেকে পাকিস্তানে চালকবিহীন ড্রোন হামলায় অন্তত তিন হাজার ২৭৯ জন মানুষ হত্যা করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই নিরীহ সাধারণ মানুষ।
ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নামে আরেকটি সংগঠন জানায়, ২০০৪ সালের পর থেকে পাকিস্তানে ৩৬৫টি ড্রোন হামলায় তিন হাজার ৫৭৭ জন নিহত হয়। এর মধ্যে ৮৪৪ জনই বেসামরিক নাগরিক।
No comments