সরকারের শেষ বছরে দলীয় পদোন্নতি- এ ধরনের প্রক্রিয়া প্রশাসনকেই দুর্বলতর করবে
বর্তমান সরকারের পুরো মেয়াদেই নানা ধরনের
দলবাজি অব্যাহতভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়ে আসছে। বিবেকবান মানুষ এই দলবাজির
সমালোচনা করেছেন খোলাখুলিভাবে।
এই দলবাজির পথ ধরে অনেক
পদে অনেক অযোগ্য দলীয় লোকজন নিয়োগ পেয়েছেন ও পদোন্নতি পেয়েছেন। আবার
অনেকেই এই দলবাজির শিকার হয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত ও ন্যায়সঙ্গত সুযোগ-সুবিধা
থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, ওএসডি হয়েছেন, পদোন্নতিবঞ্চিতদের কেউ কেউ চাকরি
পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছেন। দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যরা নিয়োগ পেয়েছেন,
মেধাবীরা হয়েছেন বঞ্চিত। এর ফলে দক্ষ প্রশাসন গড়া সম্ভব হয়ে উঠছে না।
প্রশাসন মেধাশূন্য হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনে এক ধরনের অস্থিরতা স্থায়ী রূপ
নিয়েছে। প্রশাসনসহ সরকারের সব বিভাগে কর্মকর্তাদের রাজনীতিকায়নের করুণ
চালচিত্র দেখে মেধাবীরা আজ সরকারি চাকরিতে ঢুকতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।
ফলে প্রশাসন ক্রমেই মেধাশূন্যতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর পরও
সরকারের দলবাজি থামছে না। সরকারের শেষ বয়সে এখন যেসব পদোন্নতি দেয়া
হয়েছে, সেখানে স্পষ্টত দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি দেয়ার বিষয়টিই
প্রাধান্য পেয়েছে, যা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
নয়া দিগন্ত গতকাল এক খবরে জানিয়েছে, শেষ বছরে এসে সরকার প্রশাসনে ব্যাপক পদোন্নতি দিতে শুরু করেছে। খবর মতে, গত ৩১ জানুয়ারি ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। সর্বশেষ ১৪ মার্চ ১৮২ জন সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক দিনে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে ৬৪৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার পর এটি বড় ধরনের পদোন্নতির ঘটনা। জানা গেছে, ১৪ মার্চ উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ১৭তম ও ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এখন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির প্রস্তুতি চলছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই এ পদোন্নতি। একই সাথে চলছে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল। অভিযোগ উঠেছে, প্রচলিত আইনে মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে পদোন্নতি দেয়ার সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। দলীয় কর্মকর্তাদের চাপে সিনিয়রদের ডিঙিয়ে জুনিয়রেরা পদোন্নতি পেয়েছেন। বিগত দিনে অনেকেই পদোন্নতি পেলেও পদ পাননি। এতে প্রশাসনে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সাথে বেতনভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট। এ জন্য অবাধে দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি বাজেটের ওপরও বাড়তি চাপ পড়ছে।
এ দিকে অতি সম্প্রতি সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মাঠপ্রশাসনেও শুরু হয়েছে অসন্তোষ। জেলা-উপজেলা প্রশাসনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
দেশের দলনিরপেক্ষ বিবেকবান নাগরিক ও সুশীলসমাজ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, দেশে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন দলনিরপেক্ষ একটি প্রশাসন। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্তু সরকার এ বাধা দূর করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এবার অন্তত সরকার প্রশাসনে এই দলীয়করণ থেকে বেরিয়ে আসবেÑ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা তাই।
নয়া দিগন্ত গতকাল এক খবরে জানিয়েছে, শেষ বছরে এসে সরকার প্রশাসনে ব্যাপক পদোন্নতি দিতে শুরু করেছে। খবর মতে, গত ৩১ জানুয়ারি ১৭ জন অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। সর্বশেষ ১৪ মার্চ ১৮২ জন সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক দিনে উপসচিব, যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে ৬৪৯ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার পর এটি বড় ধরনের পদোন্নতির ঘটনা। জানা গেছে, ১৪ মার্চ উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ১৭তম ও ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এখন অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির প্রস্তুতি চলছে। আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখেই এ পদোন্নতি। একই সাথে চলছে প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল। অভিযোগ উঠেছে, প্রচলিত আইনে মঞ্জুরিকৃত পদের বিপরীতে পদোন্নতি দেয়ার সুস্পষ্ট বিধান থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। দলীয় কর্মকর্তাদের চাপে সিনিয়রদের ডিঙিয়ে জুনিয়রেরা পদোন্নতি পেয়েছেন। বিগত দিনে অনেকেই পদোন্নতি পেলেও পদ পাননি। এতে প্রশাসনে শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কর্মকর্তাদের পদোন্নতির সাথে বেতনভাতাসহ অন্য সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট। এ জন্য অবাধে দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি বাজেটের ওপরও বাড়তি চাপ পড়ছে।
এ দিকে অতি সম্প্রতি সরকারি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মাঠপ্রশাসনেও শুরু হয়েছে অসন্তোষ। জেলা-উপজেলা প্রশাসনে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।
দেশের দলনিরপেক্ষ বিবেকবান নাগরিক ও সুশীলসমাজ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, দেশে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন দলনিরপেক্ষ একটি প্রশাসন। দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। কিন্তু সরকার এ বাধা দূর করতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগে এবার অন্তত সরকার প্রশাসনে এই দলীয়করণ থেকে বেরিয়ে আসবেÑ সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা তাই।
No comments