লিমনকে আপসের প্রস্তাব
র্যাবের গুলিতে বাঁ পা হারানো তরুণ লিমন হোসেনকে আপসের প্রস্তাব দিয়েছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস। প্রস্তাবটি হলো, লিমন হত্যাচেষ্টা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তার মা হেনোয়ারা বেগমকে নারাজি আবেদন প্রত্যাহার করতে হবে।
বিনিময়ে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবেন জেলা প্রশাসক।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে গত বুধবার দুপুরে লিমন ও তার মা হেনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ওই প্রস্তাব দেন।
যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাউখালীর ইউএনওর বাসভবনে হঠাৎ লিমন ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা হয়। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি লিমন ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। বলেছি, আইন অনুযায়ী তাঁরা ইচ্ছা করলে লিমনের নামে করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করতে পারেন। সরকার লিমনের মামলা প্রত্যাহার করলে লিমনও দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।’
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগমকে নারাজি আবেদন প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কোনো কথা বলেননি জেলা প্রশাসক। তবে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি তার (লিমন) দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নেয়, তবে তাঁকেও (লিমনের মা) মামলা তুলে নিতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।’
লিমন ও তার মা হেনোয়ারা বেগমের ভাষ্যমতে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাউখালীর ইউএনও রফিকুল ইসলামের গাড়িচালক কাউখালীতে লিমনদের ভাড়া বাসায় গিয়ে জানান, ইউএনও কথা বলবেন। পরে তিনি তাঁদের ইউএনওর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ইউএনও।
হেনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওইখানে ডিসি (জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস) স্যার আসবেন আমি জানতাম না। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর ডিসি স্যার আসেন। তিনি আমার কাছ থেকে লিমনের ঘটনার বর্ণনা শোনেন। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যদি আবেদন করেন, তা হলে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের করা দুটি মামলা প্রত্যাহার করতে আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করতে পারি। তবে এ ক্ষেত্রে আপনি র্যাবের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যে নারাজি আবেদন করেছেন, তা-ও তুলে নিতে হবে।’’ ডিসি স্যারের প্রস্তাব শুনে আমি বলেছি, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’
‘লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেড় বছর পার হলেও সরকারের কোনো কর্মকর্তা খোঁজখবর নেননি। এত দিন পর ডিসি স্যার কেন খোঁজখবর নিলেন, তা ঠিক বুঝতে পারছি না।’ বলছিলেন হেনোয়ারা বেগম।
কলেজছাত্র লিমন প্রথম আলোকে বলে, ‘জেলা প্রশাসক স্যারকে আমি বলেছি, আমার নামে র্যাব যে দুটি মামলা করেছে, তা সরকার প্রত্যাহার করে নিতে পারে। কারণ, মামলা দুটির বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। র্যাবের যে সদস্যরা আমাকে অন্যায়ভাবে গুলি করেছেন, তাঁদেরও বিচার করতে হবে।’
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গিয়ে গত বছরের ২৩ মার্চ র্যাবের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় লিমন। এ ঘটনায় লিমন ও সাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন র্যাবের উপসহকারী পরিচালক লুৎফর রহমান। এর একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে।
অপরদিকে লিমনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে লিমনের মা র্যাবের ছয়জন সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত ১৪ আগস্ট র্যাবের ওই ছয় সদস্যকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় রাজাপুর থানার পুলিশ। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা ৩০ আগস্ট ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুসরাত জাহানের আদালতে নারাজি আবেদন করেন। ১৭ অক্টোবর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়ার কথা।
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে গত বুধবার দুপুরে লিমন ও তার মা হেনোয়ারা বেগমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ওই প্রস্তাব দেন।
যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস গতকাল সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাউখালীর ইউএনওর বাসভবনে হঠাৎ লিমন ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা হয়। জেলা প্রশাসক হিসেবে আমি লিমন ও তার পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছি। বলেছি, আইন অনুযায়ী তাঁরা ইচ্ছা করলে লিমনের নামে করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করতে পারেন। সরকার লিমনের মামলা প্রত্যাহার করলে লিমনও দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারবে।’
লিমনের মা হেনোয়ারা বেগমকে নারাজি আবেদন প্রত্যাহারের প্রস্তাব দেওয়ার ব্যাপারে সরাসরি কোনো কথা বলেননি জেলা প্রশাসক। তবে তিনি বলেন, ‘সরকার যদি তার (লিমন) দুটি মামলা প্রত্যাহার করে নেয়, তবে তাঁকেও (লিমনের মা) মামলা তুলে নিতে হবে। এটাই স্বাভাবিক।’
লিমন ও তার মা হেনোয়ারা বেগমের ভাষ্যমতে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাউখালীর ইউএনও রফিকুল ইসলামের গাড়িচালক কাউখালীতে লিমনদের ভাড়া বাসায় গিয়ে জানান, ইউএনও কথা বলবেন। পরে তিনি তাঁদের ইউএনওর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ইউএনও।
হেনোয়ারা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওইখানে ডিসি (জেলা প্রশাসক অশোক কুমার বিশ্বাস) স্যার আসবেন আমি জানতাম না। ইউএনওর সঙ্গে কথা বলার কিছুক্ষণ পর ডিসি স্যার আসেন। তিনি আমার কাছ থেকে লিমনের ঘটনার বর্ণনা শোনেন। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা যদি আবেদন করেন, তা হলে লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের করা দুটি মামলা প্রত্যাহার করতে আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করতে পারি। তবে এ ক্ষেত্রে আপনি র্যাবের বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যে নারাজি আবেদন করেছেন, তা-ও তুলে নিতে হবে।’’ ডিসি স্যারের প্রস্তাব শুনে আমি বলেছি, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।’
‘লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেড় বছর পার হলেও সরকারের কোনো কর্মকর্তা খোঁজখবর নেননি। এত দিন পর ডিসি স্যার কেন খোঁজখবর নিলেন, তা ঠিক বুঝতে পারছি না।’ বলছিলেন হেনোয়ারা বেগম।
কলেজছাত্র লিমন প্রথম আলোকে বলে, ‘জেলা প্রশাসক স্যারকে আমি বলেছি, আমার নামে র্যাব যে দুটি মামলা করেছে, তা সরকার প্রত্যাহার করে নিতে পারে। কারণ, মামলা দুটির বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। র্যাবের যে সদস্যরা আমাকে অন্যায়ভাবে গুলি করেছেন, তাঁদেরও বিচার করতে হবে।’
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় বাড়ির কাছে মাঠে গরু আনতে গিয়ে গত বছরের ২৩ মার্চ র্যাবের হাতে গুলিবিদ্ধ হয় লিমন। এ ঘটনায় লিমন ও সাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে রাজাপুর থানায় দুটি মামলা করেন র্যাবের উপসহকারী পরিচালক লুৎফর রহমান। এর একটি অস্ত্র আইনে, অপরটি সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে।
অপরদিকে লিমনকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে লিমনের মা র্যাবের ছয়জন সদস্যের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। গত ১৪ আগস্ট র্যাবের ওই ছয় সদস্যকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় রাজাপুর থানার পুলিশ। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লিমনের মা ৩০ আগস্ট ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুসরাত জাহানের আদালতে নারাজি আবেদন করেন। ১৭ অক্টোবর নারাজি আবেদনের ওপর শুনানি হয়। আগামী ১২ ডিসেম্বর আবেদনের ওপর আদেশ দেওয়ার কথা।
No comments