মিয়ানমারকে বিরত করায় আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা নিতে হবে- রোহিঙ্গা বিতাড়নের লক্ষ্য বাংলাদেশ হতে পারে না
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন আক্রমণ শুরু হওয়ায় বাংলাদেশকে উদ্বিগ্ন হতে হচ্ছে। প্রথমত, প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়।
দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশি অভিবাসী বলে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। প্রতিটি ঘটনার পর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে শরণার্থীদের ঢল আসতে থাকাও বাংলাদেশের জন্য মস্ত বড় সমস্যা।
রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর কায়াউকপুতে রোহিঙ্গাদের আট শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দেওয়া স্যাটেলাইট চিত্রে সেই ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১১২ জনের মৃত্যু এবং ২৮ হাজার মানুষের উচ্ছেদ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত জুন মাসের সহিংসতায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা ভিটেমাটি, সহায়সম্পদ হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছিল। এসব মানুষ প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে আসছে। কিন্তু এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। বাংলাদেশ কেন তাদের দায় নেবে? বাংলাদেশ সরকারকে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। বোঝাতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যাটির স্বরূপ। জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্ব-গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে মিয়ানমারের এই জাতিবিদ্বেষী ও অশান্তি সৃষ্টিকারী কার্যকলাপের প্রকৃত চিত্রও। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, আন্তর্জাতিক উদ্যোগেই এর সমাধান হতে হবে। বিশেষত, মিয়ানমারের শাসকদের নতুন বন্ধু ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বই এখানে বেশি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অর্ধেক জনগণই অবর্মী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। কারেন, কাচিংসহ এসব জনগণ বর্মীকরণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন জাতিগত নির্মূলকরণের শিকার রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমার থেকে বিতাড়নই’ সমাধান বলেছেন। তাই মিয়ানমারের উগ্র বর্ণবাদী আচরণের শিকার সে দেশের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশও। সে কারণেই মিয়ানমারের শাসক মহলের তরফে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অভিবাসী হিসেবে প্রচারের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী শত শত বছর ধরে বাস করে আসছে। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের আগে পর্যন্ত তারা সে দেশেরই নাগরিক ছিল। সুতরাং, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার কেবল স্ববিরোধিতাই নয়, তা সভ্য জগতের আইনকানুনের পরিপন্থী।
রাখাইন রাজ্যের উপকূলীয় শহর কায়াউকপুতে রোহিঙ্গাদের আট শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দেওয়া স্যাটেলাইট চিত্রে সেই ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ রয়েছে। এ পর্যন্ত ১১২ জনের মৃত্যু এবং ২৮ হাজার মানুষের উচ্ছেদ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত জুন মাসের সহিংসতায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা ভিটেমাটি, সহায়সম্পদ হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়েছিল। এসব মানুষ প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে আসছে। কিন্তু এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। বাংলাদেশ কেন তাদের দায় নেবে? বাংলাদেশ সরকারকে এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে। বোঝাতে হবে রোহিঙ্গা সমস্যাটির স্বরূপ। জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিশ্ব-গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে মিয়ানমারের এই জাতিবিদ্বেষী ও অশান্তি সৃষ্টিকারী কার্যকলাপের প্রকৃত চিত্রও। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা, আন্তর্জাতিক উদ্যোগেই এর সমাধান হতে হবে। বিশেষত, মিয়ানমারের শাসকদের নতুন বন্ধু ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বই এখানে বেশি। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার স্বার্থেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অর্ধেক জনগণই অবর্মী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ। কারেন, কাচিংসহ এসব জনগণ বর্মীকরণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আসছে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনা-সমর্থিত নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন জাতিগত নির্মূলকরণের শিকার রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমার থেকে বিতাড়নই’ সমাধান বলেছেন। তাই মিয়ানমারের উগ্র বর্ণবাদী আচরণের শিকার সে দেশের রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশও। সে কারণেই মিয়ানমারের শাসক মহলের তরফে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অভিবাসী হিসেবে প্রচারের বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থান নিতে হবে।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী শত শত বছর ধরে বাস করে আসছে। ১৯৮২ সালের নাগরিকত্ব আইনের আগে পর্যন্ত তারা সে দেশেরই নাগরিক ছিল। সুতরাং, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার কেবল স্ববিরোধিতাই নয়, তা সভ্য জগতের আইনকানুনের পরিপন্থী।
No comments