বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফির সরকারের আলোচনা হচ্ছে
লিবিয়ার নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির সরকার দেশের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছে। রাশিয়ার এক প্রতিনিধি গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন। তবে বিদ্রোহীরা আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। গতকাল শুক্রবার তারা বলেছে, গাদ্দাফিকে বিদায় নিতেই হবে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইতার-তাস জানায়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি আল-মাহমুদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রতিনিধি মিখাইল মার্গেলভ। এরপর মার্গেলভ বলেন, ‘বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের সরাসরি আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।’ এর আগে গত সপ্তাহে বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করেন মার্গেলভ।
মার্গেলভ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার এক পর্ব গতকাল প্যারিসে শেষ হয়েছে। আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে জানানো হয়েছে।’
তবে ফ্রান্স গতকাল জানিয়েছে, লিবিয়া সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে কোনো ধরনের আলোচনা তারা তত্ত্বাবধান করছে না।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিনিধি মার্গেলভও আলোচনার বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। আর বিদ্রোহীরাও আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
বিদ্রোহীদের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তাঁদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, ‘গাদ্দাফিকে বিদায় নিতেই হবে। তাঁকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে যদি কেউ আলোচনা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।’
রাশিয়ার অপর একজন প্রতিনিধি গতকাল জানান, আলোচনার জন্য গাদ্দাফির প্রতিনিধিরা জার্মানি, ফ্রান্স ও নরওয়েসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী মাহমুদি বৃহস্পতিবার ত্রিপোলিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাদ্দাফির অপসারণের প্রশ্নই আসে না। আমাদের লক্ষ্য লিবিয়ার সংহতি বজায় রাখা। আমাদের আলোচনা সে জন্যই।’
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের আগে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম বলেন, এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচন। ইতালির একটি সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণে এখনই নির্বাচন দিতে হবে।
সাইফের এ প্রস্তাবকে ‘একটু বেশি বিলম্বিত’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গাদ্দাফির ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ হয়ে আসছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার বিষয়ে এ ধরনের প্রস্তাব দিতে গাদ্দাফি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা দেরি করে ফেলেছেন। এখন গাদ্দাফির ক্ষমতা ছাড়ার সময় এসে গেছে।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইতার-তাস জানায়, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী বাগদাদি আল-মাহমুদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রতিনিধি মিখাইল মার্গেলভ। এরপর মার্গেলভ বলেন, ‘বিদ্রোহীদের সঙ্গে সরকারের সরাসরি আলোচনা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে আমাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।’ এর আগে গত সপ্তাহে বেনগাজিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করেন মার্গেলভ।
মার্গেলভ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার এক পর্ব গতকাল প্যারিসে শেষ হয়েছে। আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজিকে জানানো হয়েছে।’
তবে ফ্রান্স গতকাল জানিয়েছে, লিবিয়া সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে কোনো ধরনের আলোচনা তারা তত্ত্বাবধান করছে না।
অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিনিধি মার্গেলভও আলোচনার বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি। আর বিদ্রোহীরাও আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
বিদ্রোহীদের ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র গতকাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তাঁদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, ‘গাদ্দাফিকে বিদায় নিতেই হবে। তাঁকে ক্ষমতায় রাখার বিষয়ে বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে যদি কেউ আলোচনা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।’
রাশিয়ার অপর একজন প্রতিনিধি গতকাল জানান, আলোচনার জন্য গাদ্দাফির প্রতিনিধিরা জার্মানি, ফ্রান্স ও নরওয়েসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ শুরু করেছেন।
তবে প্রধানমন্ত্রী মাহমুদি বৃহস্পতিবার ত্রিপোলিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘গাদ্দাফির অপসারণের প্রশ্নই আসে না। আমাদের লক্ষ্য লিবিয়ার সংহতি বজায় রাখা। আমাদের আলোচনা সে জন্যই।’
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের আগে গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল-ইসলাম বলেন, এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ নির্বাচন। ইতালির একটি সংবাদপত্রকে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পর্যবেক্ষণে এখনই নির্বাচন দিতে হবে।
সাইফের এ প্রস্তাবকে ‘একটু বেশি বিলম্বিত’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, গাদ্দাফির ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ হয়ে আসছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার বিষয়ে এ ধরনের প্রস্তাব দিতে গাদ্দাফি ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা দেরি করে ফেলেছেন। এখন গাদ্দাফির ক্ষমতা ছাড়ার সময় এসে গেছে।
No comments