রিয়াল-বার্সা অন্য লড়াই
ইউরোপীয় ক্লাব মৌসুম শেষ হয় মে মাসে। এরপর দুই মাসের ছুটি। নিরুত্তাপ ক্লাব ফুটবলে যা একটু উত্তাপ ছড়ানোর, সেটি হওয়ার কথা দলবদল নিয়ে। সেটিও খুব একটা জমছে না। কিন্তু এরই মধ্যে জমিয়ে তোলার ইঙ্গিত দিলেন সান্দ্রো রোসেল। পরশু এক সংবাদ সম্মেলনে একের পর এক তোপ দাগলেন রিয়াল মাদ্রিদকে তাক করে। রিয়ালের ‘ক্রীড়াবিরোধী আচরণ’ আর কোচ হোসে মরিনহোর কঠোর সমালোচনা করলেন বার্সেলোনার সভাপতি।
গত মৌসুমের শেষ দিকে ১৮ দিনের ব্যবধানে চার-চারটি এল ক্লাসিকো অন্য রকম উত্তাপ ছড়িয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের পর সংবাদ সম্মেলনে বার্সার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আনেন মরিনহো। একটি ছিল এমন, উয়েফা সব সময় বার্সার প্রতি পক্ষপাত করে!
সেসবেরই জবাব এত দিন পর দিলেন রোসেল, ‘আমরা মনে করি, এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ক্রীড়া-প্রতিদ্বন্দ্বিতার গ্রহণযোগ্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের ক্লাবের বিরুদ্ধে এমন কিছু অভিযোগ এনেছে যার কোনো ভিত্তি নেই। দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এবার আমরা ক্রীড়াসুলভ আচরণের সীমা ছাড়িয়ে যেতে দেব না। ফুটবলে স্বচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বিতা জরুরি। এবং সেটি রক্ষায় বার্সেলোনা সবকিছুই করবে।’ কী করবেন সেটিও বলে দিয়েছেন রোসেল, ‘দরকার হলে আমরা আইনি ব্যবস্থাও নেব। ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হব।’
কোচ মরিনহো, রিয়াল কর্তৃপক্ষ এবং মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকাগুলো একজোট হয়ে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে বলে মন্তব্য রোসেলের। মাদ্রিদের পত্রপত্রিকায় ‘কাদেনা কোপে’ নামের একটি রেডিওর দেওয়া খবরের সূত্র ধরে বার্সার কিছু খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ডোপ নেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়, পরে যেটি ভিত্তিহীন প্রমাণ হয়। অবশ্য বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে হাজির করেছিল মাদ্রিদের পত্রপত্রিকাগুলো। যদিও রিয়ালের আবেদনে সাড়া দিয়ে বার্সার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সে রকম কোনো ব্যবস্থা উয়েফা নেয়নি। বরং পেপে ও মরিনহো শাস্তি পান। বিরাট অঙ্কের জরিমানাও গোনেন মরিনহো।
রিয়াল কোচের বিরুদ্ধে রোসেলের অভিযোগ, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল প্রথম লেগ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ যেসব কথা বলেছেন, সেটি নিজেদের অ্যাথলেট পরিচয় দেওয়া যে কাউকেই লজ্জায় ফেলে দেওয়ার মতো। বার্সেলোনার কেউ যদি এমন কথাবার্তা বলত, আমরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতাম, তার বিরুদ্ধেই আদালতে যেতাম। আমরা রিয়াল মাদ্রিদের কাছেও এমনটা আশা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কিছুই করেনি।’
রোসেলের এমন মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর পাল্টা জবাব দিয়েছে রিয়াল। ক্লাবটির বিবৃতিতে অবশ্য আক্রমণাত্মক ভাষার পরিবর্তে বলা হয়েছে, ‘ফুটবলের মঙ্গলার্থে আমরা বার্সেলোনার সঙ্গে সম্ভাব্য ভালো সম্পর্কই বজায় রাখার সব রকম চেষ্টা করব, যেটা আমরা ইউরোপ ও বাকি বিশ্বের সবগুলো ক্লাবের সঙ্গেই সাধারণত করে থাকি।’ রোসেলের হুট করে এসব কথাবার্তার পেছনে কাতালান মিডিয়ার চাপ আছে বলে মনে করে রিয়াল। কাদেনা কোপে রেডিওর খবরটির সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাও অস্বীকার করেছে তারা।
গত মৌসুমের শেষ দিকে ১৮ দিনের ব্যবধানে চার-চারটি এল ক্লাসিকো অন্য রকম উত্তাপ ছড়িয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগের পর সংবাদ সম্মেলনে বার্সার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আনেন মরিনহো। একটি ছিল এমন, উয়েফা সব সময় বার্সার প্রতি পক্ষপাত করে!
সেসবেরই জবাব এত দিন পর দিলেন রোসেল, ‘আমরা মনে করি, এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ ক্রীড়া-প্রতিদ্বন্দ্বিতার গ্রহণযোগ্য সীমা ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের ক্লাবের বিরুদ্ধে এমন কিছু অভিযোগ এনেছে যার কোনো ভিত্তি নেই। দুই দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নতুন মৌসুমেও অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এবার আমরা ক্রীড়াসুলভ আচরণের সীমা ছাড়িয়ে যেতে দেব না। ফুটবলে স্বচ্ছ প্রতিদ্বন্দ্বিতা জরুরি। এবং সেটি রক্ষায় বার্সেলোনা সবকিছুই করবে।’ কী করবেন সেটিও বলে দিয়েছেন রোসেল, ‘দরকার হলে আমরা আইনি ব্যবস্থাও নেব। ক্রীড়া আদালতের দ্বারস্থ হব।’
কোচ মরিনহো, রিয়াল কর্তৃপক্ষ এবং মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকাগুলো একজোট হয়ে বার্সেলোনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে বলে মন্তব্য রোসেলের। মাদ্রিদের পত্রপত্রিকায় ‘কাদেনা কোপে’ নামের একটি রেডিওর দেওয়া খবরের সূত্র ধরে বার্সার কিছু খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ডোপ নেওয়ারও অভিযোগ আনা হয়, পরে যেটি ভিত্তিহীন প্রমাণ হয়। অবশ্য বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগের সপক্ষে ভিডিও ফুটেজ প্রমাণ হিসেবে হাজির করেছিল মাদ্রিদের পত্রপত্রিকাগুলো। যদিও রিয়ালের আবেদনে সাড়া দিয়ে বার্সার খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে সে রকম কোনো ব্যবস্থা উয়েফা নেয়নি। বরং পেপে ও মরিনহো শাস্তি পান। বিরাট অঙ্কের জরিমানাও গোনেন মরিনহো।
রিয়াল কোচের বিরুদ্ধে রোসেলের অভিযোগ, ‘চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল প্রথম লেগ হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল কোচ যেসব কথা বলেছেন, সেটি নিজেদের অ্যাথলেট পরিচয় দেওয়া যে কাউকেই লজ্জায় ফেলে দেওয়ার মতো। বার্সেলোনার কেউ যদি এমন কথাবার্তা বলত, আমরা এর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতাম, তার বিরুদ্ধেই আদালতে যেতাম। আমরা রিয়াল মাদ্রিদের কাছেও এমনটা আশা করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তারা কিছুই করেনি।’
রোসেলের এমন মন্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর পাল্টা জবাব দিয়েছে রিয়াল। ক্লাবটির বিবৃতিতে অবশ্য আক্রমণাত্মক ভাষার পরিবর্তে বলা হয়েছে, ‘ফুটবলের মঙ্গলার্থে আমরা বার্সেলোনার সঙ্গে সম্ভাব্য ভালো সম্পর্কই বজায় রাখার সব রকম চেষ্টা করব, যেটা আমরা ইউরোপ ও বাকি বিশ্বের সবগুলো ক্লাবের সঙ্গেই সাধারণত করে থাকি।’ রোসেলের হুট করে এসব কথাবার্তার পেছনে কাতালান মিডিয়ার চাপ আছে বলে মনে করে রিয়াল। কাদেনা কোপে রেডিওর খবরটির সঙ্গে কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতাও অস্বীকার করেছে তারা।
No comments