কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া লিবিয়া অভিযান বেআইনি হয়নি
লিবিয়া অভিযানে মার্কিন অংশগ্রহণের বৈধতা নিয়ে আইন পরিষদ কংগ্রেসের সমালোচনা উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি গত বুধবার বলেছেন, এই অভিযানের ফলে দেশের আইন লঙ্ঘিত হয়নি।
কংগ্রেসে পাঠানো ৩২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউস বলেছে, মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে দমনে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন চলমান অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের ব্যাপারে কংগ্রেসের অনুমোদনের দরকার নেই। কেননা এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র কেবল সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার একটি মার্কিন আইনে বলা আছে, ৬০ দিনের বেশি দীর্ঘ বৈরিতার ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। ওয়ার পাওয়ার্স রেজুলেশন নামে ওই আইন অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ অনুমোদিত এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা এমন কোনো সরাসরি যুদ্ধের পর্যায়ে যায়নি, যে কারণে ১৯৭৩ সালের ওই আইনের আওতায় আইনপ্রণেতাদের অনুমোদন নিতে হবে। লিবিয়ার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা, সেখানে উড্ডয়ন-নিষিদ্ধ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেই কেবল এই অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বহুজাতিক এই অভিযানে মার্কিন বাহিনী বাধ্য হয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
অনুমোদনের জন্য ৯০ দিনের বর্ধিত সময় চলে গেলেও আগামী রোববারের পর যুক্তরাষ্ট্রের লিবিয়া অভিযান অবৈধ হবে বলে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান নেতা জন বোয়েনার প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছিলেন। এরপর হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
রিপাবলিকান দল হোয়াইট হাউসের করা প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করছে। তারা বলেছে, প্রতিবেদনটিতে নতুন কিছু যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে। ফলে এগুলো আরও বিশ্লেষণ করার দরকার আছে।
উভয় দলের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য একজোট হয়ে অনুমোদন ছাড়া লিবিয়ায় সামরিক অভিযানে যোগ দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে মামলাও করেছেন। এতে ‘কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এককভাবে দেশকে যুদ্ধে জড়িত করতে পারার’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসও এ মামলার বিবাদী।
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় চলতি বছরের গোড়ার দিকে রাজনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পর্যন্ত সামরিক অভিযানসহ অন্যান্য খাতে মোট ৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ডলার।
ত্রিপোলিতে ন্যাটোর গোলাবর্ষণ: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বাব আল-আজিজিয়া সামরিক ব্যারাকের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গোলাবর্ষণ করেছে ন্যাটো বাহিনী। ব্যারাকটি গাদ্দাফির মূল বসবাসের জায়গা। ভোর পাঁচটার আগে মুহুর্মুহু গোলা নিক্ষেপ করে ন্যাটো। এতে একটি হোটেল ধ্বংস হয়ে যায়। এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। লিবিয়া সরকার এই অভিযানের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এদিকে ত্রিপোলির পথে অগ্রসরমাণ বিদ্রোহীরা পশ্চিমাঞ্চলীয় আরও তিনটি গ্রাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
কংগ্রেসে পাঠানো ৩২ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে হোয়াইট হাউস বলেছে, মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে দমনে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন চলমান অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণের ব্যাপারে কংগ্রেসের অনুমোদনের দরকার নেই। কেননা এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র কেবল সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়কার একটি মার্কিন আইনে বলা আছে, ৬০ দিনের বেশি দীর্ঘ বৈরিতার ক্ষেত্রে সরকারকে অবশ্যই কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। ওয়ার পাওয়ার্স রেজুলেশন নামে ওই আইন অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার করতে হবে।
হোয়াইট হাউসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ অনুমোদিত এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা এমন কোনো সরাসরি যুদ্ধের পর্যায়ে যায়নি, যে কারণে ১৯৭৩ সালের ওই আইনের আওতায় আইনপ্রণেতাদের অনুমোদন নিতে হবে। লিবিয়ার বেসামরিক লোকজনকে রক্ষা, সেখানে উড্ডয়ন-নিষিদ্ধ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতেই কেবল এই অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বহুজাতিক এই অভিযানে মার্কিন বাহিনী বাধ্য হয়ে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
অনুমোদনের জন্য ৯০ দিনের বর্ধিত সময় চলে গেলেও আগামী রোববারের পর যুক্তরাষ্ট্রের লিবিয়া অভিযান অবৈধ হবে বলে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার রিপাবলিকান নেতা জন বোয়েনার প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছিলেন। এরপর হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
রিপাবলিকান দল হোয়াইট হাউসের করা প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করছে। তারা বলেছে, প্রতিবেদনটিতে নতুন কিছু যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে। ফলে এগুলো আরও বিশ্লেষণ করার দরকার আছে।
উভয় দলের কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য একজোট হয়ে অনুমোদন ছাড়া লিবিয়ায় সামরিক অভিযানে যোগ দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে মামলাও করেছেন। এতে ‘কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এককভাবে দেশকে যুদ্ধে জড়িত করতে পারার’ নীতিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসও এ মামলার বিবাদী।
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় চলতি বছরের গোড়ার দিকে রাজনৈতিক সংকট শুরু হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ পর্যন্ত সামরিক অভিযানসহ অন্যান্য খাতে মোট ৭১ কোটি ৫০ লাখ ডলার খরচ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ডলার।
ত্রিপোলিতে ন্যাটোর গোলাবর্ষণ: লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে বাব আল-আজিজিয়া সামরিক ব্যারাকের কাছে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে গোলাবর্ষণ করেছে ন্যাটো বাহিনী। ব্যারাকটি গাদ্দাফির মূল বসবাসের জায়গা। ভোর পাঁচটার আগে মুহুর্মুহু গোলা নিক্ষেপ করে ন্যাটো। এতে একটি হোটেল ধ্বংস হয়ে যায়। এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি। লিবিয়া সরকার এই অভিযানের ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এদিকে ত্রিপোলির পথে অগ্রসরমাণ বিদ্রোহীরা পশ্চিমাঞ্চলীয় আরও তিনটি গ্রাম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
No comments