পদ টিকিয়ে রাখতে লড়ছেন জেনারেল আশফাক কায়ানি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কায়ানি এখন তাঁর পদ টিকিয়ে রাখার জন্য লড়ছেন। ওসামা বিন লাদেন হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এতে সেনাবাহিনীর ওপর জনরোষ ক্রমে বাড়ছে। অবস্থান টিকিয়ে রাখতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানে চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলা একেবারে বন্ধের নির্দেশও দিতে পারেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মূলত শীর্ষ পর্যায়ের ১১ জন অধিনায়কের মতৈক্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সম্মিলিতভাবে তাঁরা কোর কমান্ডার্স বলে পরিচিত। এর মধ্যে বেশির ভাগ কর্মকর্তার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জেনারেল কায়ানির সম্পর্ক খুব বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে। এমনকি সম্পর্ক চুকেও যেতে পারে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর অবস্থান জেনারেল কায়ানিকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে নিয়ে গেছে। এ চাপের মুখে তিনি যদি স্থানচ্যুত হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক মার্কিনবিরোধী সেনাপ্রধানের মুখোমুখি হতে পারে, যিনি হবেন আরও আপসহীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়মিত মাসিক বৈঠকের পর যে দীর্ঘ বিবৃতি দেওয়া হয়, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাঁদের ফুঁসতে থাকা মনোভাবের আভাস পাওয়া গেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বার্ষিক সহায়তা হিসেবে তারা কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলার দিচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ভেতর ও জনতার মধ্যে সমর্থন আবার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানে মার্কিন প্রশিক্ষণ বরাবরই ন্যূনতম পর্যায়ে ছিল। এখন এর অবসান ঘটেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উপজাতীয় এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলা কোনো পরিস্থিতিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিজের পদ ধরে রাখতে ড্রোন হামলা বন্ধ করার কড়া নির্দেশও দিতে পারেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইক রজার্স বলেছেন অ্যাবোটাবাদের নিরাপদ আবাসে আল-কায়েদা নেতা ওসামাকে পাকিস্তানের কিছু সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা সহায়তা দিয়েছেন।
রজার্স বলেন, গোপন গোয়েন্দা নথি ঘেঁটে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন, সে অনুযায়ী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কিছু কর্মকর্তা অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে ওসামার নিরাপদে বাস করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী মূলত শীর্ষ পর্যায়ের ১১ জন অধিনায়কের মতৈক্যের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। সম্মিলিতভাবে তাঁরা কোর কমান্ডার্স বলে পরিচিত। এর মধ্যে বেশির ভাগ কর্মকর্তার ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জেনারেল কায়ানির সম্পর্ক খুব বেশি জটিল আকার ধারণ করেছে। এমনকি সম্পর্ক চুকেও যেতে পারে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কট্টর অবস্থান জেনারেল কায়ানিকে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে নিয়ে গেছে। এ চাপের মুখে তিনি যদি স্থানচ্যুত হন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এমন এক মার্কিনবিরোধী সেনাপ্রধানের মুখোমুখি হতে পারে, যিনি হবেন আরও আপসহীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়মিত মাসিক বৈঠকের পর যে দীর্ঘ বিবৃতি দেওয়া হয়, এতে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাঁদের ফুঁসতে থাকা মনোভাবের আভাস পাওয়া গেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বার্ষিক সহায়তা হিসেবে তারা কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলার দিচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ভেতর ও জনতার মধ্যে সমর্থন আবার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে দেওয়া এ বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানে মার্কিন প্রশিক্ষণ বরাবরই ন্যূনতম পর্যায়ে ছিল। এখন এর অবসান ঘটেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উপজাতীয় এলাকায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সিআইএ পরিচালিত ড্রোন হামলা কোনো পরিস্থিতিতেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিজের পদ ধরে রাখতে ড্রোন হামলা বন্ধ করার কড়া নির্দেশও দিতে পারেন তিনি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান মাইক রজার্স বলেছেন অ্যাবোটাবাদের নিরাপদ আবাসে আল-কায়েদা নেতা ওসামাকে পাকিস্তানের কিছু সেনা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তা সহায়তা দিয়েছেন।
রজার্স বলেন, গোপন গোয়েন্দা নথি ঘেঁটে তিনি যে তথ্য পেয়েছেন, সে অনুযায়ী পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কিছু কর্মকর্তা অ্যাবোটাবাদের বাড়িতে ওসামার নিরাপদে বাস করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছেন।
No comments