মাশুলের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে মতামত জানাবে অর্থ মন্ত্রণালয়
দেশের চারটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স নবায়নের জন্য প্রদেয় মাশুলের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে মতামত জানাবে অর্থ মন্ত্রণালয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান। খবর ইউএনবির।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর তরঙ্গ বরাদ্দের মাশুলের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে ১৫ দিনের মধ্যে জানানো হবে। তবে প্রস্তাবিত মাশুল কমানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে জানানোর পর তারাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
দেশের চারটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের প্রধান নির্বাহীরা অ্যামটবের (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) ব্যানারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অ্যামটবের সভাপতি ও সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় গ্রামীণফোনের সিইও টোরে জনসন, বাংলালিংকের সিইও আহমেদ আবু দোমা ও রবির সিইও মাইকেল কুয়েনার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, মাশুলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আরেকবার আলোচনা করার সুযোগ থাকবে।
মুহিত আরও বলেন, দেশে মোবাইল ফোনের প্রায় সাত কোটি গ্রাহক রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে বিরাট। তাই এই খাতের গুরুত্বও অনেক।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে মূলত তরঙ্গ বরাদ্দ মাশুলের উচ্চহার ছাড়াও লাইসেন্স নবায়ন দিকনির্দেশনার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে লাইসেন্স নবায়ন মাশুলের সঙ্গে তুলনা করেই বাংলাদেশের জন্য মাশুল নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
বর্তমানে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোতে যে হিসাব নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে, সেই নিরীক্ষা নিয়ে নানা সমস্যার কথা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
বৈঠকে অবশ্য তাঁরা বাজেটে সিম কার্ডের ওপর কর কমানোয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
চারটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান সরকারের খসড়া টেলিকম নীতিমালা পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে লাইসেন্স নবায়ন ও তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। একসঙ্গে এত টাকা দিলে তাদের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যতিকে গত এপ্রিল মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাংবাদিকদের জানান, লাইসেন্স নবায়ন ও তরঙ্গ বরাদ্দের মাশুলের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যে খসড়া নীতিমালা তৈরি করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে, তাতে লাইসেন্স নবায়নের জন্য অপারেটরগুলোর আবেদন করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ১০ মে পর্যন্ত। পরে তা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়।
সরকারের খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, এবার লাইসেন্স দেওয়া হবে ১৫ বছরের জন্য। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরদের এখন থেকে বেতার তরঙ্গ কিনে ব্যবহার করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে এক বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের এ কথা জানান। খবর ইউএনবির।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর তরঙ্গ বরাদ্দের মাশুলের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে ১৫ দিনের মধ্যে জানানো হবে। তবে প্রস্তাবিত মাশুল কমানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে জানানোর পর তারাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
দেশের চারটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলের প্রধান নির্বাহীরা অ্যামটবের (অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ) ব্যানারে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অ্যামটবের সভাপতি ও সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় গ্রামীণফোনের সিইও টোরে জনসন, বাংলালিংকের সিইও আহমেদ আবু দোমা ও রবির সিইও মাইকেল কুয়েনার উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, মাশুলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আরেকবার আলোচনা করার সুযোগ থাকবে।
মুহিত আরও বলেন, দেশে মোবাইল ফোনের প্রায় সাত কোটি গ্রাহক রয়েছে, যা নিঃসন্দেহে বিরাট। তাই এই খাতের গুরুত্বও অনেক।
অর্থমন্ত্রী আরও জানান, বৈঠকে মূলত তরঙ্গ বরাদ্দ মাশুলের উচ্চহার ছাড়াও লাইসেন্স নবায়ন দিকনির্দেশনার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে লাইসেন্স নবায়ন মাশুলের সঙ্গে তুলনা করেই বাংলাদেশের জন্য মাশুল নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী জানান।
বর্তমানে মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোতে যে হিসাব নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে, সেই নিরীক্ষা নিয়ে নানা সমস্যার কথা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীরা অর্থমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
বৈঠকে অবশ্য তাঁরা বাজেটে সিম কার্ডের ওপর কর কমানোয় অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
চারটি মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠান সরকারের খসড়া টেলিকম নীতিমালা পুনর্বিবেচনার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে। তারা বলছে, প্রস্তাবিত নীতিমালা বাস্তবায়িত হলে লাইসেন্স নবায়ন ও তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১৪ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে। একসঙ্গে এত টাকা দিলে তাদের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যতিকে গত এপ্রিল মাসে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সাংবাদিকদের জানান, লাইসেন্স নবায়ন ও তরঙ্গ বরাদ্দের মাশুলের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যে খসড়া নীতিমালা তৈরি করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে, তাতে লাইসেন্স নবায়নের জন্য অপারেটরগুলোর আবেদন করার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল ১০ মে পর্যন্ত। পরে তা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়।
সরকারের খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, এবার লাইসেন্স দেওয়া হবে ১৫ বছরের জন্য। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটরদের এখন থেকে বেতার তরঙ্গ কিনে ব্যবহার করতে হবে।
No comments