‘ইংলিশ বোলাররাই ম্যাচটা আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে’
প্রথমে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ড যখন ৩২৭ রান দাঁড় করালো, তখন নিদেনপক্ষে ভালো লড়াইয়ের প্রত্যাশাটিই ছিল আইরিশদের কাছে। স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ না করতেই যখন আয়ারল্যান্ডের প্রথম উইকেট পড়ে গেল, তখন অনেকেই মনে মনে প্রমাদ গুনে থাকতে পারেন, বিরক্তি প্রকাশ করতে পারেন, বিশ্বকাপে আরো একটি ম্যাড়মেড়ে ম্যাচের জন্য। আয়ারল্যান্ডের স্কোর যখন ৫ উইকেটে ১১১, তখনতো খেলা দেখাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। দু’একজন ‘অতি উত্সাহী’ ব্যক্তিবর্গ যাঁরা টিভি সেটের সামনে বসেছিলেন, তাঁরাই কিন্তু দিনশেষে সত্যিকারের ‘বিজয়ী।’ কারণ, তাঁরা যে তখন বিশ্বকাপ ইতিহাসের খুব দারুণ এক ঘটনার চাক্ষুষ সাক্ষী। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদেরও বোধকরি ঘোর কাটছে না এখনো, তাঁরা যে চোখ-চেয়ে দেখলেন এক অত্যাশ্চর্য ঘটনার, উপভোগ করলেন, কেভিন ও’ব্রায়েন নামের এক লাল চুলো ক্রিকেটারের অতিমানবীয় অথচ স্বপ্নীল এক ইনিংস। যে ইনিংস পুরো খেলারই দিক পরিবর্তন করে এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় অঘটনের জন্ম দিয়ে দিয়েছে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুতগতির সেঞ্চুরি করে কেভিন নিজের দেশকে জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। কোথায় উচ্ছাস থাকবে বাঁধভাঙা, কোথায় আবেগের হবেন আপ্লুত, কিন্তু সেই কেভিনই কাল বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে বলে ফেললেন এক নির্মম সত্য কথা। অনেকটা উপযাচক হয়েই যেন ইংলিশ দলকে জানিয়ে দিলেন, ‘এই বোলিং-ফিল্ডিং করলে তোমাদের বিশ্বকাপ জয়তো দূরে থাক, কোয়ার্টার ফাইনালেও যাওয়া হবে না।’
কেভিন ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের খেলাটা খেলে যাচ্ছিলাম।ইংল্যান্ডের বোলারদের বলগুলো ছিল খুবই বাজে। আমরা কেবল সেই বাজে বোলিংয়েরই পূর্ণ সদ্ব্যাহার করেছি।’
কেভিন যখন ব্যাট ঘুরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন টেলিভিশন সম্প্রচারই বলে দিচ্ছিল, তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবের উত্তর স্ট্রাউস, ব্রেসনান, ব্রড, সোয়ান, কলিংউডদের কাছে নেই। ফিল্ডিং দেখে মনে হচ্ছিল, আয়ারল্যান্ডের কাছে আসন্ন হারের চিন্তা, ইংলিশদের করে তুলেছে হত বিহ্বল। এতটাই যে, নিজেদের স্বাভাবিক ফিল্ডিংও যেন তাঁরা ভুলে বসে আছেন। ও’ব্রায়েন সেই ব্যাপারটিই কাজে লাগিয়ে আয়ারল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ইতিহাস সেরা এক অবিস্মরণীয় জয়।
‘আমরা কেবল ইংলিশদের দুর্বল বোলিং ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়েছি। আমাদের এই ব্যাটিংয়ের কোনো জবাব ইংলিশদের কাছে ছিল না।’ কেভিনের মন্তব্য।
ম্যাচে একটা সময় আয়ারল্যান্ডের আস্কিং রেট অনেক বেশি থাকলেও কেভিনের ব্যাটের ঝড়ে তা সহজ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কেভিন ও’ব্রায়েন ফিরে গেছেন তাঁর পুরনো কথাতেই। তিনি বলেন, ‘আস্কিং রেট বেশি থাকলেও ইংলিশ বোলাররা প্রতি ওভারেই একটি করে বাজে বল দিয়েছে আমাদের। তাতেই কাজটা সহজ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ইংলিশ বোলাররাই আমাদের হাতে ম্যাচটা তুলে দিয়েছে।’
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুতগতির সেঞ্চুরি করে কেভিন নিজের দেশকে জিতিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। কোথায় উচ্ছাস থাকবে বাঁধভাঙা, কোথায় আবেগের হবেন আপ্লুত, কিন্তু সেই কেভিনই কাল বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে বলে ফেললেন এক নির্মম সত্য কথা। অনেকটা উপযাচক হয়েই যেন ইংলিশ দলকে জানিয়ে দিলেন, ‘এই বোলিং-ফিল্ডিং করলে তোমাদের বিশ্বকাপ জয়তো দূরে থাক, কোয়ার্টার ফাইনালেও যাওয়া হবে না।’
কেভিন ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের খেলাটা খেলে যাচ্ছিলাম।ইংল্যান্ডের বোলারদের বলগুলো ছিল খুবই বাজে। আমরা কেবল সেই বাজে বোলিংয়েরই পূর্ণ সদ্ব্যাহার করেছি।’
কেভিন যখন ব্যাট ঘুরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন টেলিভিশন সম্প্রচারই বলে দিচ্ছিল, তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবের উত্তর স্ট্রাউস, ব্রেসনান, ব্রড, সোয়ান, কলিংউডদের কাছে নেই। ফিল্ডিং দেখে মনে হচ্ছিল, আয়ারল্যান্ডের কাছে আসন্ন হারের চিন্তা, ইংলিশদের করে তুলেছে হত বিহ্বল। এতটাই যে, নিজেদের স্বাভাবিক ফিল্ডিংও যেন তাঁরা ভুলে বসে আছেন। ও’ব্রায়েন সেই ব্যাপারটিই কাজে লাগিয়ে আয়ারল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন ইতিহাস সেরা এক অবিস্মরণীয় জয়।
‘আমরা কেবল ইংলিশদের দুর্বল বোলিং ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়েছি। আমাদের এই ব্যাটিংয়ের কোনো জবাব ইংলিশদের কাছে ছিল না।’ কেভিনের মন্তব্য।
ম্যাচে একটা সময় আয়ারল্যান্ডের আস্কিং রেট অনেক বেশি থাকলেও কেভিনের ব্যাটের ঝড়ে তা সহজ হয়ে যায়। এ ব্যাপারে কেভিন ও’ব্রায়েন ফিরে গেছেন তাঁর পুরনো কথাতেই। তিনি বলেন, ‘আস্কিং রেট বেশি থাকলেও ইংলিশ বোলাররা প্রতি ওভারেই একটি করে বাজে বল দিয়েছে আমাদের। তাতেই কাজটা সহজ হয়ে যায়। সবমিলিয়ে ইংলিশ বোলাররাই আমাদের হাতে ম্যাচটা তুলে দিয়েছে।’
No comments